প্রতীকী ছবি।
লোকসভা নির্বাচন শেষ হতেই বাড়তে শুরু করেছিল তেলের দর। আশঙ্কা ছিল, ভোটের আগে বা সেই সময়ে কিছুটা থমকে থাকা দামই দৌড় শুরু করল কি না। মে মাসের শেষ থেকে অবশ্য এখনও পর্যন্ত উতরাইয়ের পথেই পেট্রল-ডিজেল। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, কিছু দিন আগে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল ও চাহিদার অভাবে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমার সুবিধাই এখন মিলছে দেশের বাজারে।
১ জুন থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু পেট্রলের দাম কমেছে ১.৬০ টাকা। আর ডিজেল কমেছে ২.৫১ টাকা। দুই জ্বালানির দামই মাঝ-জানুয়ারির কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। রবিবার লিটার পিছু দুই জ্বালানির দাম ছিল যথাক্রমে ৭২.১৯ ও ৬৫.৭৬ টাকা (সোমবারও একই দর রয়েছে)।
চাহিদার অভাবে বিশ্ব বাজারে পেট্রল-ডিজেলের দাম কম। ভারতেও দেখা যাচ্ছে একই ধারা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তেল মন্ত্রকের পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেলের হিসেব অনুসারে মে মাসে দেশে জ্বালানির চাহিদা ছিল ১.৮৪ কোটি টন। গত বছরের মতোই। এপ্রিলের সংশোধিত হিসেব অনুসারে, তা ২০১৮ সালের তুলনায় কম ছিল। অনেকের মতে, তেলের চাহিদা তেমন না-বাড়ার এই ছবি ভারতের আর্থিক কর্মকাণ্ডের অভাবের দিকেই ইঙ্গিত করে। বিশেষ করে শিল্প যখন ঝিমিয়ে এবং আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০১৮-১৯ সালে দাঁড়িয়েছে পাঁচ বছরে সর্বনিম্ন।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে সাধারণত অশোধিত তেলের দরের প্রভাব পড়তে দুই সপ্তাহ লাগে। তেলের ট্যাঙ্কারে হানা ও ওপেক-সহ তেল রফতানিকারী দেশগুলির উৎপাদন ছাঁটাই বজায় রাখার ইঙ্গিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে জোগান নিয়ে। ফলে
বিশ্ব বাজারে ফের বাড়তে শুরু করেছে অশোধিত তেলও। সৌদি আরব যদিও বলছে ২০২০ সালের আগে তেলে ভারসাম্য আসবে। তবে আগামী ক’দিন ভারতে অশোধিত তেলের দর বাড়ার প্রভাব পড়ে, নাকি দামের নিম্নগতিই বজায় থাকে, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy