—প্রতীকী চিত্র।
২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি চালু হওয়ার পরবর্তী মাসগুলিতে এই পরোক্ষ কর সংগ্রহ ৮৫-৯৫ হাজার কোটি টাকার আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তা বাড়তে বাড়তে এখন ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা পার করেছে। গত এপ্রিলে সেই অঙ্ক ছিল ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। জিএসটি আধিকারিকদের দাবি, আর্থিক কর্মকাণ্ড যে জায়গা পৌঁছেছে, তাতে মাসে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ এখন স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু জিএসটি ব্যবস্থার ছ’বছর পূর্তির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তাঁদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলছে অন্য একটি বিষয়। জিএসটি প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে কার্যত প্রতিযোগিতা করেই ডানাপাখা মেলেছে কর ফাঁকির চক্র। তারা তৈরি করছে প্রতারণার নিত্যনতুন পদ্ধতি। আধিকারিকদের বক্তব্য, এই অপরাধ ঠেকাতে পারলে কর সংগ্রহ আরও বাড়বে।
জিএসটি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সবচেয়ে বেশি প্রতারণা হচ্ছে কাঁচামালের খরচ বাবদ আগে মেটানো কর ফেরতের (ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট) দাবির ক্ষেত্রে। অনেক সময়ে ভুয়ো সংস্থা এবং ইনভয়েস তৈরি করে কর ফেরতের দাবি করছে প্রতারকেরা। সূত্রের খবর, জিএসটি চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এই কারণে মোট ৩ লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে সরকারের। শুধু ২০২২-২৩ অর্থবর্ষেই তা ছিল ১ লক্ষ কোটি। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই অপরাধ রুখতে তথ্য বিশ্লেষণ, কৃত্রিম মেধা এবং মেশিন লার্নিংয়ের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ভুয়ো সংস্থা চিহ্নিত করতে সম্প্রতি দু’মাসের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি)। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের সম্ভাব্য ৬০ হাজার সংস্থাকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার ভিত্তিতে মিলেছে ১১,১৪০টি ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন। কিন্তু পরামর্শদাতা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) বক্তব্য, পণ্য কিংবা পরিষেবা সরবরাহের ভুয়ো দাবি চিহ্নিত করার জন্য প্রয়োজন জিএসটির প্রযুক্তি ব্যবস্থাকে (জিএসটিএন) আরও আধুনিক করা।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জিএসটি পরিষদ তৈরি হয়। সেখানে আলোচনার ভিত্তিতে জিএসটির চারটি হার (৫%, ১২%, ১৮% এবং ২৮%) ঠিক হয়েছিল। তা ছাড়াও রয়েছে জিএসটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া পণ্য, হিরে ও দামি পাথরের উপরে বিশেষ হার। বিরোধীদের অভিযোগ, তড়িঘড়ি চালু করার ফলে কর ব্যবস্থা সরল হওয়ার বদলে উল্টে জটিল হয়েছে। বারবার জিএসটি আইন সংস্কার করতে হচ্ছে। নিষ্পত্তি হয়নি পেট্রোপণ্যকে এই ব্যবস্থার আওতায় আনার বিষয়টিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy