বিশেষজ্ঞদের মতে, উঁচু বাজারে সংশোধন প্রত্যাশিত ছিল। প্রতীকী চিত্র
মহারাষ্ট্র, কেরল-সহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ফের মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা। পাশাপাশি সুদের হার বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে বাড়ছে বন্ডের প্রকৃত আয় বা ইল্ড। যা আতঙ্ক তৈরি করেছে লগ্নিকারীদের মনে। যে কারণে হাতের শেয়ার বিক্রি করে মুনাফার টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে তাদের মধ্যে। ফলে পড়ছে বাজারও। সোমবার সেনসেক্স পড়েছে ১১৪৫.৪৪ পয়েন্ট। দু’মাসে এত বড়
পতন হয়নি। সূচকটি নেমে এসেছে ৫০,০০০-এর নীচে। নিফ্টি পড়েছে ৩০৬.০৫ পয়েন্ট। এই নিয়ে টানা পাঁচ দিন পড়ল বাজার। শুধু সোমবারই বিএসই-র লগ্নিকারীরা হারিয়েছেন ৩.৭ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উঁচু বাজারে সংশোধন প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে বন্ডের ইল্ড। কেন্দ্র বাজেটে বাজার থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। চড়া ইল্ড তাতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও এমডি ভাস্কর সেন বলেন, ‘‘বন্ডের চাহিদা কমলেই তার দাম কমে। পাল্লা দিয়ে ইল্ড। সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাই এই বৃদ্ধিতে রসদ জোগায়। এ দিকে সুদ বাড়লে শিল্পে লগ্নির জন্য মূলধন সংগ্রহের খরচ বাড়ে। যার বিরূপ প্রভাব বাজারে পড়াটাই স্বাভাবিক।’’ তাঁর মতে, ‘‘বন্ডের বাজার খারাপ হলে বেশি সুদে বন্ড ছেড়ে ঋণ নিতে হবে কেন্দ্রকে। এর জেরে হওয়া ঘাটতি মেটাতে করের হার বাড়াতে বাধ্য হতে পারে সরকার।’’
এ দিন দেশে বন্ডের ইল্ড নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্টও। তাদের মতে বাজেটের পর থেকে ইল্ড বেড়েছে ৩১ বেসিস পয়েন্ট। যা মোটেও ভাল কথা নয়। অবিলম্বে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ককে ব্যবস্থা নিতেও আর্জি জানিয়েছে তারা।
তার উপরে বিভিন্ন দেশে ত্রাণ ঘিরে সংশয়, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির ভারতে শেয়ার বিক্রি, দেশে করোনার প্রভাবে ফের বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের সম্ভাবনা এবং বিশ্ব বাজারের প্রভাবও সূচকে পড়েছে। এই দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতে ৮৯৩.২৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। দেশীয় সংস্থাগুলি করেছে ৯১৯.৮৩ কোটির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy