—প্রতীকী চিত্র।
দূর পাল্লার ট্রেনে শিশুদের জন্য আসন বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে ভাড়ার নীতি বদলের পরে সাত বছরে ওই খাতে রেলের আয় হয়েছে ২৮০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে গত অর্থবর্ষে (২০২২ -২৩) রোজগার সর্বোচ্চ, ৫৬০ কোটি। তথ্যের অধিকার আইনে করা প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানিয়েছে রেলের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা তথা টিকিট ব্যবস্থার নিয়ামক ক্রিস (সেন্টার ফর রেলওয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম)।
অতীতে ১২ বছরের কম বয়সি শিশুদের অর্ধেক ভাড়া দিয়ে সংরক্ষিত কামরায় (টু টিয়ার, থ্রি টিয়ার এবং প্রথম শ্রেণি) আসন বা বার্থ নেওয়া যেত। ২০১৬-র ৩১ মার্চ নীতি বদলে রেল জানায়, ৫-১২ বছর বয়স হলেও সফরের সময় শিশুর জন্য অতিরিক্ত বার্থ নিলে পুরো ভাড়া গুনতে হবে। অভিভাবকেরা নিজেদের আসনে তাদের নিয়ে গেলে দিতে হবে অর্ধেক। তবে ৫ বছরের কম বয়সি শিশু অভিভাবকের সঙ্গে একই আসনে সফর করলে ভাড়া লাগবে না।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সাত বছরে প্রায় ১৩.৫ কোটি ৫-১২ বছর বয়সি রেলে সফর করেছে। এর মধ্যে ৩.৫ কোটি অর্ধেক ভাড়া দিয়েছে, ১০ কোটি পুরো। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দূর পাল্লার ট্রেনে একই আসনে ছোটদের নিয়ে বড়দের লম্বা রাস্তা যাওয়া অসুবিধাজনক। ফলে বেশিরভাগই পুরো ভাড়া দিয়ে শিশুর জন্য আলাদা আসন নিতে বাধ্য হয়েছেন। যাত্রীদের অসুবিধাজনক পরিস্থিতি রেলের আয় বাড়িয়েছে। অতিমারির বছরেও ওই খাতে ঘর এসেছে ১৫৭কোটি টাকা।
এক রেল কর্তার অবশ্য দাবি, যাত্রী পরিবহণে এখনও রেলকে টিকিটের দামে প্রায় ৪৭% ভর্তুকি গুনতে হয়। এই বোঝা কমাতেই শিশু যাত্রীর ভাড়া-নীতি বদল হয়। একাংশের ক্ষোভ, যাত্রীদের সমস্ত সুরাহাই ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। যে কারণে প্রবীণদের টিকিটেও ছাড় তুলে নিয়েছে রেল। ভর্তুকির বোঝা কমিয়ে কোষাগার ভরছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy