Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Corona

ফিরছে গত বছরের স্মৃতি, মোদীকে চিঠি ইউনিয়নের

প্রতিষেধকের দাম নিয়ে কেন্দ্রের নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশে প্রতিষেধকের দাম ভারতীয় মুদ্রায় এ দেশের চেয়ে কম বলেও দাবি করেছে সংগঠনগুলি।

দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ফের নিজের জায়গায় ফেরার ব্যস্ততা পরিযায়ী শ্রমিকদের।  সম্প্রতি গুরুগ্রামের বাসস্ট্যান্ডে।

দেশ জুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ফের নিজের জায়গায় ফেরার ব্যস্ততা পরিযায়ী শ্রমিকদের। সম্প্রতি গুরুগ্রামের বাসস্ট্যান্ডে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২১ ০৫:০৫
Share: Save:

গত বছর অতিমারির প্রথম ঝাপটা সামাল দিতে যখন অর্থনীতির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তখন সবচেয়ে বেশি যাঁরা ধাক্কা খেয়েছিলেন, তাঁদের প্রথম সারিতে ছিলেন শিল্প ক্ষেত্র ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক এবং পরিযায়ী শ্রমিকেরা। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ যখন আংশিক ভাবে হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রকে বিঘ্নিত করছে, তখনও সবচেয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যে তাঁদের ভবিষ্যৎই। এই অবস্থায় সেই শ্রমিকদের সুরক্ষা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। যেখানে রয়েছে নিখরচায় প্রতিষেধক প্রয়োগ, হাসপাতালে যথেষ্ট বেডের ব্যবস্থা, করোনাকালে শ্রমিকদের রোজগারের সুরক্ষা-সহ একগুচ্ছ দাবি।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, করোনার প্রথম ঝাপটা যখন অর্থনীতিকে নুইয়ে দিয়েছিল, তখন বিভিন্ন ক্ষেত্রকে ঋণ দিয়েই কর্তব্য সেরেছিল কেন্দ্র। নিচু আয়ের মানুষের হাতে নগদের জোগান দেওয়ার কার্যত কোনও চেষ্টাই করেনি তারা। প্রথম সারির বহু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সত্ত্বেও। এমনকি, লকডাউনের মধ্যে নিজের রাজ্যে ফিরতে গিয়ে কত জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তারও ছিঁটেফোঁটা হিসেব ছিল না কেন্দ্রের কাছে। অথচ তখন সংসদে সংখ্যার জোরে বিতর্কিত শ্রম বিধি পাশ করানো হয়। আর এ দফায় করোনা প্রতিষেধকের প্রয়োগ শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বাজার দর ঠিক করার স্বাধীনতা।

শ্রমিক সংগঠনগুলির বক্তব্য, করোনা প্রতিরোধের নামে কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত যা যা করেছে, তার অধিকাংশই বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে নিচু আয়ের মানুষের জীবনে। ঠিক আগের বছরের মতো। সেই প্রেক্ষিতেই এ দিন আইএনটিইউসি, সিটু, এআইটিইউসি, এআইইউটিইউসি, এইচএমএস, ইউটিইউসি-সহ ১০টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা ভিডিয়ো বৈঠক করেন। তার পরেই চিঠি পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

এ দিনের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১১ দফা দাবি সনদ পেশ করেছে ইউনিয়নগুলি। সেখানে গত বছর পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা মনে করিয়ে দিয়ে এ বারে তাঁদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার দাবি জানানো হয়েছে। সংগঠনগুলির বক্তব্য, অতিমারির ‘সুযোগ’ নিয়ে শ্রম আইন সংশোধন এবং কৃষি আইন চালুর মতো পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। এমন একটা সময়ে, যখন ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করাও সম্ভব ছিল না। সেগুলি বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে বলেছে দেশে দ্রুত অক্সিজেন তৈরি বাড়ানো, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সকলের জন্য নিখরচায় প্রতিষেধক প্রয়োগ, হাসপাতালে যথেষ্ট বেডের ব্যবস্থা করার কথাও।

নিয়োগকারী যাতে কর্মী ছাঁটাই কিংবা বেতন হ্রাস করতে না-পারে তার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ, আয়করের বাইরে থাকা পরিবারগুলিকে মাসে ৭৫০০ টাকা অনুদান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণের নীতি প্রত্যাহারের দাবিও তোলা হয়েছে। প্রতিষেধকের দাম নিয়ে কেন্দ্রের নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশে প্রতিষেধকের দাম ভারতীয় মুদ্রায় এ দেশের চেয়ে কম বলেও দাবি করেছে সংগঠনগুলি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy