ওমদয়াল গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশন
২১ শতকে দাঁড়িয়ে বদলে গিয়েছে শিক্ষার পরিভাষা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং গবেষণার উপর জোর দিচ্ছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যাতে শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ন হওয়ার পরে নিজের মতো করে ভাল কেরিয়ার তৈরি করতে পারে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই পথ চলা শুরু করেছিল ভারতের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওমদয়াল গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান আর্কিটেকচার ও ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার ক্ষেত্রে এই রাজ্যে নজির স্থাপন করেছে। যে প্রতিষ্ঠানের মূল হাতিয়ার শৃঙ্খলাবদ্ধ পদ্ধতি এবং আগামীর দর্শন।
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এই প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে ন্যাক, এআইসিটিই এবং সিওএ-র স্বীকৃতি। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, একটি প্রাণবন্ত শিক্ষা সম্প্রদায় তৈরি করা যারা সমাজে ভবিষ্যতের পথিকৃৎ হতে পারবে। দক্ষ পেশাদারদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠান আগামী দিনের মনকে লালন করতে প্রস্তুত।
যাত্রা শুরুর উপকথা:
২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে ওমদয়াল গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশন। সেই শুরুর সময় থেকেই এই প্রতিষ্ঠান একটি সাহসী পদক্ষেপ করেছে যা তরুণদের মনে বৈজ্ঞানিক কৌতূহল এবং জ্ঞানের চেতনা জাগিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। সেই পদক্ষেপ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বিভিন্ন মাইলফলক অতিক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার মশালকে প্রজ্জ্বলিত করবে। এবং আগামী সময়ের চিন্তাবিদ ও নেতৃত্বদের তৈরি করবে।
বিভিন্ন কোর্স:
এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কোর্সের মধ্যে রয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি.টেক। এ ছাড়াও ২০২১ সালে শুরু হয়েছে আর্বান ডেভেলপমেন্ট এম.আর্ক.কোর্স। প্রতিটি বিভাগ তাদের নিজস্ব নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে একটি সামগ্রিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন করার নেপথ্যে প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দর্শন ও পরিকাঠামো শিক্ষাদান:
বলা হয়, যে কোনও প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি হল প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামো। এই প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকেই সামগ্রিকতা ও স্থায়িত্বের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কোনও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যা যা পরিকাঠামো প্রয়োজন তার সবটাই রয়েছে এখানে। পাশাপাশি, এই প্রতিষ্ঠান বহু বিভাগীয় শিক্ষাকে প্রচার করেই এগিয়ে চলেছে নিজের মতো করে।
পাঠ্যক্রম:
ম্যাকাউটের তৈরি করা পাঠ্যক্রম মেনেই পড়ানো হয় এখানে। জোর দেওয়া হয় বাস্তব শিক্ষার উপরেও। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পাঠ্য়ক্রমের পাশাপাশি পাঠ্যক্রমের বাইরে গিয়েও বিভিন্ন বিষয়কে শিক্ষার্থীদের সামনে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরেন এখানকার শিক্ষক ও অনুষদরা। সর্বোপরি, পড়ানোর সময় তাত্ত্বিক বোঝাপড়া ও ব্যবহারিক প্রয়োগের মধ্যে ভারসাম্যও বজায় রাখা হয়। প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাস, এই পদ্ধতির মাধ্যমেই একমাত্র শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ দৃঢ় করা সম্ভব। যে কারণে, শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত এবং ইংরেজিতে ব্রিজ কোর্সের মতো কোর্সেও পড়ার বিভিন্ন সুযোগ প্রদান করা হয়। শুধু তাই নয়, অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার উপরে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় এখানে। পড়ানো হয় কোডিং এবং কমিউনিকেশনের বিভিন্ন বিষয়ও।
শিক্ষার ক্ষেত্রে, বরাবর একটা কথা প্রযোজ্য — অতীতকে সামনে রেখে ভবিষ্যতের আলোর পথ খুঁজে নেওয়া। তাই প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বক্তৃতা, সেমিনার, ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দেখা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, ক্যুইজ, পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মতো সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত করেছে এই ওমদয়াল গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশন। যে বিষয়গুলিতে ভাল ফল করলে শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত পয়েন্ট অর্জন করতে পারে।
ওমদয়াল গ্রুপ অব ইন্সটিটউশন বিশ্বাস করে যে শিক্ষাকে প্রথাগত পরিসর থেকে বের করে তাকে বাইরেও প্রসারিত করা উচিত। যে কারণে, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সহ-পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা হয়, যা দলের মনোভাব, পরিকল্পনা করার ক্ষমতা, সাংস্কৃতিক উপলব্ধি এবং নৈতিক মূল্যবোধের মতো বিভিন্ন দক্ষতার বিকাশে সহায়তা করে। এই অভিজ্ঞতাগুলি কোনও শিক্ষার্থীকে আদতে এক জন সক্ষম ব্যক্তি হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায্য করে। ওমদয়ালে, শুধু শিক্ষাবিদ নয়, আসলে আগামী দিনের নেতৃত্বকে তৈরি করা হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘ওমদয়াল গ্রুপ অব ইনস্টিটিউশন’এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy