ইতিমধ্যেই কলকাতার অন্যতম সেরা কলেজ হিসেবে নিজের জায়গা পাকা করেছে দ্য হেরিটেজ কলেজ। স্নাতক স্তরে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিশেষ পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত এই প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি, শিক্ষাজগতে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে হেরিটেজের অন্যান্য বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। যার মধ্যে রয়েছে হেরিটেজ স্কুল, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, হেরিটেজ বিজনেস স্কুল, হেরিটেজ আকাদেমি এবং হেরিটেজ ল কলেজ। এই প্রতিটি প্রতিষ্ঠান কল্যাণ ভারতী ট্রাস্ট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।
মাত্র ৭ বছর আগে, ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে দ্য হেরিটেজ কলেজ। অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে কৃতী প্রাক্তণীদের একটি লম্বা তালিকা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। এঁদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলিতে কাজ করছেন। অনেকে আবার বিদেশের বিভিন্ন নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উচ্চতর পড়াশুনাও করছেন।
সম্প্রতি ২০২০ ব্যাচের ইকোনমিকস অনার্সের শিক্ষার্থী রুদ্র নারায়ণ গুপ্ত ২০২২ সালে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিকসে স্নাতোকত্তর বিভাগে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। ২০২১ ব্যাচের ওই একই বিভাগের অনার্সের ছাত্র শ্রীদীপ মিত্র বর্তমানে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে স্নাতোকত্তর পর্যায়ে পড়াশুনা করছেন। সম্প্রতি শ্রীদীপ জাতিসংঘের ১৭তম জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে, সিওপি২৭-এর যুব সম্মেলনে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেন।
কলেজ জীবনের কথা বলতে গিয়ে নস্টালজিয়ায় ভেসে যান রুদ্র। বলেন, “কলেজে পড়ার সময় ইকোনমিকসে আমায় আরও শক্তিশালী তৈরি করার জন্য আমি আমার কলেজের প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ফ্যাকাল্টি সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁদের জন্যই আজ আমি এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছি।”
২০২২ সালে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স নিয়ে বি.কম অনার্স পাস করেন আয়ুস ঘোষাল ও মহাশ্বেতা দে। বর্তমানে তাঁরা ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় ও লিভারপুল বিদ্যালয়ে স্নাতোকত্তর কোর্স পড়ছেন।
এমন উদাহরণ আরও রয়েছে। যেমন ২০২২ সালে পাশ করা কেমিস্ট্রি ও ফিজিক্স বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভারতে আইআইটি, আইআইএসসি, এবং এনআইটি-তে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়াশুনা করছেন। একই সালে অঙ্কে অনার্স নিয়ে পাশ করা বহু শিক্ষার্থী ডেলয়েট-এ সিস্টেম অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।
এই বিষয়ে কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী ঐশী চক্রবর্তী জানান, “হেরিটেজ কলেজের সময়টা আমার কাছে সারা জীবন মনে থাকবে। শুধুমাত্র পড়াশোনাই নয়, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত ক্রিয়াকলাপ থেকে শুরু করে ক্লাসরুমের শিক্ষার বাইরে আমাদের প্রতিভাকে লালন করার জন্য বার বার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে এই কলেজ।” বর্তমানে ঐশী জার্মানির স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করছেন।
দ্য হেরিটেজ কলেজের টিচার-ইন-চার্জ অমিতাভ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র শিক্ষার ক্ষেত্রেই তৈরি করি না। বরং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে খেলাধুলা, বিতর্ক, ফেস্টসহ বিভিন্ন অতিরিক্ত পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপের মধ্যে ব্যস্ত রাখা হয় যাতে তাদের দক্ষতা বাড়ে। আমাদের বিভিন্ন ক্লাব এবং সোস্যাইটি রয়েছে। যেমন কমার্স সোস্যাইটি, ইকোনমিক্স সোস্যাইটি ইত্যাদি। যেখানে শিক্ষার্থীরা ফ্যাকাল্টি সদস্যদের নির্দেশনায় সক্রিয়ভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, প্যানেল তৈরি করে আলোচনা, সেমিনার, ইত্যাদির আয়োজন করে। তা ছাড়াও কলেজের প্রাক্তনীদের থেকে পাওয়া ক্রমাগত সমর্থন আমাদের শিক্ষার্থীদের সেরাটা বের করে আনে।”
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের শিক্ষা মানচিত্রে এক অনন্য ছাপ ফেলেছে দ্য হেরিটেজ কলেজ। পাশাপাশি, আইআইটি জ্যাম, সিএসআইআর নেট, ইত্যাদির মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই কলেজের শিক্ষার্থীদের অসাধারণ পারফরম্যান্স অভিভাবকদের মধ্যে কলেজ সম্পর্কে একটি ইতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। ২০২২ সালে কেমিস্ট্রি বিভাগের দুই প্রাক্তন শিক্ষার্থী দৈবিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মোহনা সাহা আইআইটি জ্যাম-এ যথাক্রমে ১২ ও ৮৭ ব়্যাঙ্ক করে পুরো কলেজকে গর্বিত করেছিল। কেমিস্ট্রি বিভাগেরই আরও এক প্রাক্তনী তুষার সাউ ওই এক বছরেই সিএসআইআর নেট-এ ৩৮ ব়্যাঙ্ক অর্জন করে।
এই প্রতিবেদনটি ‘দ্য হেরিটেজ কলেজ’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy