সৃজন দ্য রয়্যাল গ্যাঞ্জেস
জানালা খুললেই বয়ে চলেছে গঙ্গা। বিকেলে গঙ্গার পাড়ে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা। চোখের পলকে জোয়ার চলে যায়। সূর্য যায় পাটে। ফেরিঘাটের জাহাজের ব্যস্ততা জানান দেয় সন্ধ্যে হয়েছে। প্রাত্যাহিক জীবনে গঙ্গাপাড়ের সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে দিতেই বাটানগরে তৈরি হচ্ছে দ্য রয়্যাল গ্যাঞ্জেস। নেপথ্য়ে সৃজন রিয়েলটি প্রাইভেট লিমিটেড। প্রকল্প শুরুর সময় থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে চূড়ান্ত আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বহু মানুষ। আর ফলাফল? সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ৭0 শতাংশ ফ্ল্যাট বুক হয়ে গিয়েছে।
এই প্রকল্পের সব থেকে বড় চমক ছিল গঙ্গার ধার ধরে ১ কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা জগিং ও সাইক্লিং ট্র্যাক। সেই সঙ্গে প্রতিটি ফ্ল্য়াট ১০০ শতাংশ গঙ্গামুখী। স্বভাবতই, জীবনের ছন্দে গঙ্গাকে জড়িয়ে নেওয়ার এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউই।
বাটানগরে গঙ্গার ধারে তৈরি হওয়া এই প্রকল্পের ৩৯ লাখ বর্গফুটের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে থাকছে উচ্চমানের অত্যাধুনিক বাংলো, ভিলামেন্ট, টাওয়ার। পাশাপাশি ১৯ একর খোলা জায়গা থাকবে এই নির্মাণে। শান্ত পরিবেশের সঙ্গে বিলাসবহুল জীবনযাত্রার এমন মেলবন্ধনে কার্যত মুগ্ধ হয়েছেন প্রত্যেক ক্রেতাই।
শহর জুড়ে যখন এই প্রকল্পের হোর্ডিং পড়েছিল এবং প্রচার শুরু হয়েছিল, তখন বহু মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল প্রকল্পের অবস্থান নিয়ে। অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন ‘বাটানগর’এর নাম শুনে। কিন্তু যাঁরা এই প্রকল্পে ফ্ল্যাট কিনেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের উত্তর একটাই — ‘প্রকল্প তো মোটেই দূরে নয়। বরং যাতায়াতের ক্ষেত্রে আরও সুবিধা করে দেওয়ার জন্য সব রকম পরিকল্পনা করেছে সৃজন রয়্যাল গ্যাঞ্জেস।’ সত্যিই তাই! সম্প্রীতি ফ্লাইওভার ধরে নিউ আলিপুর থেকে গাড়িতে মাত্র ২০ মিনিটের পথ। অফিসপাড়ায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত থাকছে নিজস্ব জেটি ও ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাও। মাত্র ৩৫ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্যে। আবাসিকদের জন্য থাকছে ‘পিক-আপ’ ও ‘ড্রপ’ –এর সুবিধাও। সামনেই তারাতলা মেট্রো। সেখানে যাওয়ার জন্যও থাকছে শাটল বাস সার্ভিস। আরামপ্রিয় বাঙালির এর থেকে বেশি আর কীই বা চাই!
শুধু মাত্র নজরকাড়া লোকেশনই নয়, সৃজন রয়্যাল গ্যাঞ্জেস আবাসিকদের উপহার দিতে চলেছে আধুনিক বিলাসবহুল জীবনযাপনও। ফুটবল মাঠ, টেনিস কোর্ট, ক্রিকেট সিমুলেটর, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, রক ক্লাইম্বিং ওয়াল থেকে অ্যাম্ফিথিয়েটার, মন্দির, বাচ্চা ও বয়স্কদের আড্ডার জায়গা, ওপেন লাউঞ্জ সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা থাকছে এখানে। থাকছে ৭০,০০০ বর্গফুটের দ্য রিভার ক্লাব এবং অলিম্পিক সাইজের ইনফিনিটি পুল। সঙ্গে রয়েছে জাকুজি আর অ্যাকোয়া জিম।
এখানেই শেষ নয়। প্রকল্পের মধ্যেই থাকছে সমস্ত পরিষেবা। এটিএম, ওষুধের দোকান, রেষ্টুরেন্ট, সাঁলো, রোজকার খুচরো কেনাকাটার জায়গা, সব কিছু। সব থেকে আকর্ষণীয় যেটি তা হল গঙ্গা-ভিউইং ডেক এবং একটি বিশাল ল্যান্ডস্কেপ লন যা সোজা গিয়ে মিলবে নদীর সঙ্গে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের সঙ্গে লেগে থাকবে প্রশস্ত গঙ্গামুখী বারান্দা। বিকেলের গোধুলি আলোয় যেখান থেকে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যাবে গঙ্গার সৌন্দর্য্য।
মোট তিনটি সারিতে এই প্রকল্পকে ভাগ করা হয়েছে। গঙ্গাপারের ঠিক সামনেই থাকবে বাংলো। তার সঙ্গে রান্নাঘর, গঙ্গামুখি নিজস্ব বাগান, বারান্দা, উন্মুক্ত গঙ্গা ভিউয়িং ডেক ইত্যাদি। এর পরেই রয়েছে ১৫০টিরও বেশি চোখ ধাঁধানো ডুপ্লেক্স ভিলামেন্ট। শেষ সারিতে থাকছে দুই ও তিন কামরার ফ্ল্যাট। মোট ২২টি টাওয়ার থাকছে এখানে — জি+৩০, জি+৩১, জি+৩২ ও জি+৩৫। সব মিলিয়ে মোট ২৫০০টি ইউনিট রয়েছে এই প্রকল্পে। যার মধ্যে ৭0 শতাংশ ইউনিট ইতিমধ্যেই বুকিং হয়ে গিয়েছে। প্রকল্প শুরু হতে না হতেই, এভাবে বুকিং রিয়েল এস্টেটের জগতে সত্যিই নজিরবিহীন। সংস্থার আশা, আর মাস খানেকের মধ্যে বাকি ইউনিটগুলিও বিক্রি হয়ে যাবে। কারণ, গঙ্গাপারে হওয়া এমন প্রকল্প এই মূহূর্তে শহরে আর দ্বিতীয়টি নেই।
তা হলে আর দেরি কেন? গঙ্গার পারে এমন অসাধারণ জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা পেতে আজই ভিজিট করুন সৃজনের ‘দ্য রয়্যাল গ্যাঞ্জেস’। ফোন করুন এই নম্বরে — ০৩৩ ৪০৪০১০১০ নম্বরে, অথবা ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে — www.theroyalganges.com
আগামী দিনে কলকাতা শহরের গর্ব হয়ে উঠতে চলেছে এই প্রকল্প।
এই প্রতিবেদনটি 'সৃজন দ্য রয়্যাল গ্যাঞ্জেসের' এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy