আমাদের বুদ্ধি, কল্পনা শক্তি, ভাবনা ও চিন্তাশক্তি ও আত্মসচেতনাকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করে আজ্ঞা চক্র
আমাদের সূক্ষ্ম দেহে যে আজ্ঞা চক্র আছে, তার অনেক নাম। কেউ আজ্ঞা চক্রকে গুরু চক্র বলে থাকেন, কেউ আবার বলেন তৃতীয় নয়ন। আজ্ঞা চক্র অবস্থান করে দুই ভ্রূ'র মাঝখানে। এই চক্রের প্রতীক একটি নীল রঙের দ্বিদল বিশিষ্ট পদ্ম। আমাদের বুদ্ধি, কল্পনা শক্তি, ভাবনা ও চিন্তাশক্তি ও আত্মসচেতনাকে মূলত নিয়ন্ত্রণ করে আজ্ঞা চক্র। এই চক্রকে তৃতীয় নয়ন বলা হয় কারণ এর মাধ্যমে উচ্চতর চেতনার স্তরগুলিকে অনুভব করা যায়। আমাদের মস্তিষ্ক যা চিন্তা করে, অনেক সময় জিহ্বার দ্বারা তা প্রকাশ পায়। মস্তিষ্ক থেকে মুখে এই ভাবেই মানসিক দূষণও প্রবাহিত হয়। দেহের অভ্যন্তরে তৈরি হওয়া ব্লকেজ বা স্মৃতির ভার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে আজ্ঞা চক্র।
বাস্তু মতে এই চক্রের দিক হল বাড়ির পশ্চিম দিক, নিয়ন্ত্রণকারী গ্রহ শনি। আজ্ঞা চক্র অবরুদ্ধ হলে ব্যক্তির দূরদর্শিতা চলে যায়, মনোসংযোগ করতে পারে না, দুঃস্বপ্ন দেখে, দৃষ্টিভ্রম তৈরি হয়। বিচারক্ষমতা লোপ পায়। এই চক্রটি ভারসাম্য হারালে, বিশুদ্ধ চক্রও প্রভাবিত হয় এবং সেই প্রভাব কোনও না কোনওভাবে অনাহত চক্রেও পড়ে।
আমাদের আজ্ঞা চক্র যদি সঠিক ভাবে কাজ না করে, তা হলে এই নিম্নলিখিত সমস্যাগুলি হতে পারে:
(১) আজ্ঞা চক্র থেকে যে শক্তি পাই তা হচ্ছে বোধি বা ইনটিউশন। যার আজ্ঞা চক্র ব্লক থাকে, সে বোধি বা ইনটিউশন সংক্রান্ত সব কিছুকে পরিহার করে চলবে। এরা কখনও সৃজনশীলতাকে অনুভব করে না।
(২) হয় এরা খুব বেশি মাত্রায় যুক্তিবাদী হয়, বা খুব বেশি মাত্রায় আবেগপ্রবণ হয়।
(৩) এদের মধ্যে ভাবনা চিন্তাগুলি সে ভাবে সক্রিয় হয়ে কাজ করবে না। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ ভাবনা বা পরিকল্পনাগুলি।
(৪) এরা অভ্যাসগত ভাবে বাস্তব জীবন সংগ্রামকে পাশে ফেলে রেখে দিবা স্বপ্নের শিকার হয়ে পড়ে।
(৫) অত্যধিক মাত্রায় জাগতিক জীবনের প্রতি অনুরক্ত হয়ে অর্থ, স্ট্যাটাস নির্ভর জীবনে আসক্ত হয়ে পড়ে।
(৬) এরা উচ্চতর নৈতিক বা আত্মিক জীবনের প্রতি কোনও আগ্রহ অনুভব করে না।
(৭) আজ্ঞা চক্র ব্লক থাকলে, সেই ব্যক্তি যে সম্পর্কগুলি গড়ে তোলে, তার মধ্যে অন্তরের কোনও যোগ থাকে না। অন্যের প্রতি যে বিশ্বাস থাকা দরকার, তা কাজ করে না।
(৮) আজ্ঞা চক্র ব্লক থাকলে জাতক/জাতিকা গোঁড়া, একগুঁয়ে স্বভাবের হয়ে ওঠে।
(৯) চোখের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। নানা ধরনের ইলিউশনের শিকার হতে হয়।
যাদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে (ইংরেজি মতে) ৫, ৭ এবং ৮ সংখ্যা নেই অথবা ৫, ৭ বা ৮ সংখ্যা দু-বারের বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে আজ্ঞা চক্র বা থার্ড আই চক্রের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন, কারো জন্ম তারিখ ১১ জুন ১৯৯৯ হলে, মিলিয়ে দেখুন এই জন্ম তারিখে একটিও ৫, ৭ বা ৮ নেই। ১১.০৬.১৯৯৯ = {(১+১)+(০+৬)+(১+৯+৯+৯)} = (২+৬+২৮) = ৩৬ ➡️ (৩+৬) = ৯
অন্যদিকে ২৬ মে ১৯৮৮, এই তারিখটি লক্ষ্য করে দেখুন ২৬.০৫.১৯৮৮ = {(২+৬)+(০+৫)+(১+৯+৮+৮)} = (৮+৫+২৬) = ৩৯ ➡️ (৩+৯) = ১২ ➡️ (১+২) = ৩। এই তারিখে ৮ সংখ্যাটি তিনবার ব্যবহার হয়েছে। এই ধরনের তারিখে যাদের জন্ম তাদেরও থার্ড আই চক্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যাদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে দু-বারের বেশি ৫ বা দু-বারের বেশি ৭ থাকে, তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এর পাশাপাশি যদি বাড়ির পশ্চিম দিকে কোনও বাস্তুদোষ বা দূষণ থাকে, যেমন টয়লেট, ডাস্টবিন, সেপটিক ট্যাঙ্ক, মিটার বক্স, ইলেকট্রিক্যাল জিনিসপত্র, লাল রঙের উপস্থিতি, প্রচুর গাছপালা ইত্যাদি যদি থাকে সেক্ষেত্রে আজ্ঞা চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আপনারা ফেসবুকে SRI MONI BHASKAR পেজ এবং ইউটিউবে DREAM DESTINY চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন। পাশাপাশি এই সমস্যায় প্রয়োজনে জ্যোতিষীয় এবং বাস্তুগত পরামর্শও নিতে পারেন। অনেক সময় Symbol Meditation-ও (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তুশাস্ত্র-জ্যোতিষ বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy