স্বাধিষ্ঠান চক্র বা স্যাক্রাল চক্র শরীরের তৃপ্তি বা সন্তোষ সাধন ও চিন্তা শক্তির (উদ্ভাবনী শক্তি) প্রধান কেন্দ্রবিন্দু
স্বাধিষ্ঠান চক্র বা স্যাক্রাল চক্রটি আমাদের শরীরে নাভি থেকে প্রায় এক ইঞ্চি নীচে অবস্থান করে। সূক্ষ্ম শরীরে এই চক্রটি কমলা রঙের। এই চক্রকে দ্বিতীয় চক্র বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। প্রথম স্থানে মূলাধার, দ্বিতীয় স্থানে স্বাধিষ্ঠান চক্র। এই চক্র হল শরীরের তৃপ্তি বা সন্তোষ সাধন এবং চিন্তা শক্তির (উদ্ভাবনী শক্তি) প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। মানুষের সঙ্গে মানুষের যে মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, মানে ভাবের আদান প্রদান, তা এই চক্র থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এই চক্র ব্লক থাকলে আমাদের ব্যক্তিগত ভালবাসার সম্পর্ক, পারিবারিক, সামাজিক, বন্ধুত্বের সম্পর্ক, এমনকি বৈবাহিক সম্পর্কও বাধা পায়। স্যাক্রাল চক্র অবরুদ্ধ হলে সেই ব্যক্তি নিজেকে গুটিয়ে নেন, ঘনিষ্ঠতায় ভয় পান। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়া বা ম্যানুপুলেটিভ হওয়া স্যাক্রাল চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার অন্যতম লক্ষ্মণ। এই চক্র নিয়ন্ত্রণ করে শুক্র গ্রহ এবং বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিক। জন্মছকে শুক্রের নেতিবাচক প্রভাব অথবা বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাস্তুদোষ থাকলে স্যাক্রাল চক্রে প্রভাব পড়ে। এর প্রভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।
স্যাক্রাল চক্র বা স্বাধিষ্ঠান চক্র অবরুদ্ধ হলে সেই ব্যক্তির মধ্যে ক্রিয়েটিভিটি থাকে না। তিনি নতুন নতুন ভাবনার জন্ম দিতে পারেন না। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে দাঁড়িয়ে যেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারানোর ভয় পাচ্ছেন, কারণ তাঁদের প্রতিস্থাপন করার জন্য নানান অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) বা রোবট চলে এসেছে, সেখানে শুধু মাত্র দক্ষতা নির্ভর হয়ে থাকলে সমূহ বিপদ। এক মাত্র নতুন ভাবনাই আমাদের বাঁচাতে পারে। যারা নিত্যনতুন উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিতে পারবেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তাঁদের উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাঁদের ক্ষেত্রে চাকরি-ব্যবসা-কেরিয়ার কোনওটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এই সৃজনশীল ভাবনার জন্য স্বাধিষ্ঠান চক্র শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত আবশ্যক।
পেশাদার জীবনে অসংখ্য কেস স্টাডি করে আমি দেখেছি, যাঁদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে (ইংরেজি মতে) ৬ এবং ৪ সংখ্যা থাকে না অথবা দু’বারের বেশি থাকে না, তাঁদের স্বাধিষ্ঠান চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
যেমন যদি কারও জন্ম তারিখ হয় ১১ নভেম্বর ১৯৭৯। লক্ষ্য করে দেখুন এই জন্ম তারিখে একটিও ৪ বা ৬ নেই। জন্ম তারিখের প্রত্যেকটি সংখ্যা যোগ করেও ৪ বা ৬ আসছে না। ১১.১১.১৯৭৯ = {(১+১)+(১+১)+(১+৯+৭+৯)} = (২+২+২৬) = ৩০ (৩+০) = ৩। এই ব্যক্তির জন্মতারিখ অনুসারে স্বাধিষ্ঠান চক্রের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার থাকে। আবার যদি কারও জন্মতারিখ ১৪ এপ্রিল ১৯৮৪ হয়, দেখুন এই জন্ম তারিখে চারটি ৪ রয়েছে। ১৪ তারিখে একটি ৪, এপ্রিল মাসের জন্য একটি ৪, ১৯৮৪ সালে একটি ৪, এবং সম্পূর্ণ জন্মতারিখ যোগ করে যে ডেস্টিনি নম্বর পাওয়া যাচ্ছে তাও ৪। ১৪.০৪.১৯৮৪ = {(১+৪)+৪+(১+৯+৮+৪)} = (৫+৪+২২) = ৩১ (৩+১) = ৪। ৪ সংখ্যার আধিক্যের জন্য এই জন্ম তারিখের জাতক/জাতিকার স্বাধিষ্ঠান চক্রের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বিপুল। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমি দেখেছি যাদের জন্ম তারিখে দু’বারের বেশি ৬ সংখ্যাটি থাকে তাঁদের ক্ষেত্রেও।
এর পাশাপাশি যদি এই ব্যক্তির বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কাটিং, এক্সটেনশন, শৌচাগার, রিজার্ভার, নিকাশি নালা, সেপটিক ট্যাঙ্ক, নীল বা কালো রঙের উপস্থিতি ইত্যাদি কোনও বাস্তুদোষ বা দূষণ থাকে তা হলে স্বাধিষ্ঠান চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার অব্যর্থ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আপনারা ফেসবুকে SRI MONI BHASKAR পেজ এবং ইউটিউবে DREAM DESTINY চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন। পাশাপাশি এই সমস্যায় প্রয়োজনে জ্যোতিষীয় এবং বাস্তুগত পরামর্শও নিতে পারেন। অনেক সময় Symbol Meditation-ও (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তুশাস্ত্র-জ্যোতিষ বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy