আমাদের স্থূল শরীর মূলত কয়েকটি সূক্ষ্ম শরীর দিয়ে তৈরি। এই সূক্ষ্ম শরীরের আবার বিভিন্ন রং রয়েছে, যাকে ইংরেজিতে ‘অরা’ বলে। জানেন কি, এই সূক্ষ্ম শরীর পরিচালিত হয় আমাদের দেহের স্নায়ু-সন্ধি কেন্দ্র বা শক্তি চক্র থেকে? বর্তমানে সারা বিশ্বে এই বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে। আমাদের দেহের প্রধান ৭টি শক্তি কেন্দ্র ১) মূলাধার চক্র, ২) স্বাধিষ্ঠান চক্র, ৩) মনিপুর চক্র, ৪) অনাহত চক্র, ৫) বিশুদ্ধ চক্র, ৬) আজ্ঞা চক্র এবং সহস্রার চক্র নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আমি আলোচনা করে চলেছি। জন্মছকের ১২টি ভাব বা ঘর এবং ৯টি গ্রহের সাহায্যে আমরা যেমন আমাদের জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকি। তেমনই এই সাতটি চক্র যদি ঠিক না থাকে, আমাদের জীবনের ছন্দ ঠিক থাকে না। কারও দেহেই সবগুলি চক্র সমান ভাবে খোলা থাকে না, কোন কোনও চক্র অবরুদ্ধ থাকে বা চক্রগুলির ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই ভারসাম্যহীনতা নেপথ্যে জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্রের ভূমিকা যেমন রয়েছে, তেমনই সংখ্যার ভূমিকাও রয়েছে।
যেমন কোনও ব্যক্তির সম্পূর্ণ জন্মতারিখে (ইংরেজি মতে) যদি ২, ৮ এবং ৯ সংখ্যাগুলি না থাকে অথবা ২, ৮ এবং ৯-এর মধ্যে কোনও একটি অথবা দুটি সংখ্যা দু-বারের বেশি রিপিট করে, তাহলেও আমি দেখেছি সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে মূলাধার চক্র ভারসাম্য হারায়। এই তথ্য কোনও গ্রন্থে স্পষ্ট ভাবে লেখা নেই, কিন্তু আমার ২৩ বছরের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, যাদের যাদের জন্মতারিখে ২, ৮ বা ৯ সংখ্যা নেই অথবা আধিক্য রয়েছে তাদের মূলাধার চক্র হয় অবরুদ্ধ নতুবা ভারসাম্যহীন। এর সঙ্গে যদি বাড়ির দক্ষিণ দিক অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কোনও দূষণ বা বাস্তুদোষ থাকে, তাহলে তো কথাই নেই, মূলাধার চক্র বা রুট চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
যেমন, মনে করা যাক কোনও একজন ব্যক্তির জন্মতারিখ 22 ডিসেম্বর 1982 অর্থাৎ 22.12.1982। সম্পূর্ণ জন্মতারিখটি যোগ করলে আমরা দেখতে পাবো..... {(2+2)+(1+2)+(1+9+8+2)} = (4+3+20) = 27 (2+7) = 9। লক্ষ্য করে দেখুন এই জন্মতারিখে চারটে 2 রয়েছে। অর্থাৎ 2 সংখ্যার আধিক্যের জেরে এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে মূলাধার চক্র অবরুদ্ধ হওয়া অথবা ভারসাম্য হারানোর সম্ভাবনা প্রবল। অন্যদিকে যদি কারো জন্মতারিখ 16 মে 1983 অর্থাৎ 16.05.1983 হয়, সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণ জন্মতারিখটি যোগ করলে আমরা পাচ্ছি..... {(1+6)+5+(1+9+8+3)} = (7+5+21) = 33 (3+3) = 6। লক্ষ্য করে দেখুন এই জন্মতারিখে 8, 9 সংখ্যা দুটি থাকলেও একটিও 2 নেই। এখানে 2 সংখ্যার অনুপস্থিতি মূলাধার চক্রকে প্রভাবিত করবে। একই ঘটনা পরম্পরা আমি লক্ষ্য করেছি, যাদের সম্পূর্ণ জন্মতারিখে ৮ বা ৯ সংখ্যার আধিক্য থাকে অথবা ৮ বা ৯ সংখ্যা একেবারেই থাকে না। সেখানেও একইভাবে মূলাধার চক্রের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এর পাশাপাশি যেমনটা আগেও উল্লেখ করেছি যদি বাস্তুর দক্ষিণ দিকে টয়লেট, নিকাশি নালা, ডাস্টবিন ইত্যাদি থাকে বা বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে নীল রং, টয়লেট, আবর্জনা, ড্রেন, সেপটিক ট্যাঙ্ক, ইত্যাদি কোনও ধরণের দূষণ বা বাস্তুদোষ থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের মূলাধার চক্রে তার প্রভাব পড়ে।
কারও মূলাধার চক্র ব্লক থাকলে অন্যের উপর নির্ভরশীল জীবন হয়ে থাকে। রুট চক্র বা মূলাধার চক্র অবরুদ্ধ হলে সেই ব্যক্তি অতি প্রতিক্রিয়াশীল, উদ্বিগ্ন এবং ভীত হয়। কর্মক্ষেত্রে সম্পর্কের মধ্যে স্থিতিশীলতার অভাব দেখা দেয়। আগ্রাসী মনোভাব, লোভ তৈরি হয় অথবা সেই ব্যক্তি কোনও লোভী ব্যক্তির পাল্লায় পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের আর্থিক সুরক্ষা এবং মানসিক সুরক্ষা দেয় রুট চক্র বা মূলাধার চক্র। রুট চক্র অবরুদ্ধ হলে আমাদের আর্থিক ও মানসিক সুরক্ষার উপর তার প্রভাব পড়ে।
অপর ৬টি চক্র নিয়ে এভাবেই বিস্তারিত আলোচনা করবো পরবর্তী পর্বগুলিতে। এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আপনারা ফেসবুকে SRI MONI BHASKAR পেজ এবং ইউটিউবে DREAM DESTINY চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন। পাশাপাশি এই সমস্যায় প্রয়োজনে জ্যোতিষীয় এবং বাস্তুগত পরামর্শও নিতে পারেন। অনেক সময় Symbol Meditation-ও (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তুশাস্ত্র-জ্যোতিষশাস্ত্র বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।