সাত নম্বর চক্র ক্রাউন বা সহস্রার চক্র। বৃহস্পতি গ্রহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সহস্রার চক্রের অবস্থান মাথার ঠিক উপর। এই চক্রের সহস্রটি দল, রং বেগুনি (বেগুনি রঙের সহস্র দল বিশিষ্ট পদ্ম সহস্রার চক্রের প্রতীক)। ক্রাউন চক্র বা সহস্রার চক্রে ঈশ্বরের বসবাস। মানুষের জীবনে যখন বড় কোনও বিপর্যয় আসে, চাকরি চলে যায়, উন্নতি হয় না, বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়, প্রিয়জন কেউ পাশ থেকে সরে যান, মৃত্যু কাউকে ছিনিয়ে নেয় প্রচণ্ড কষ্টের সেই সময়গুলিতে, বিধ্বংসী ঝড়ের সেই রাতগুলিতে সাহারা দেন একমাত্র ঈশ্বর। এমনটা বলছি না যে আমাদের কষ্টের সময়ে অন্য কেউ আমাদের পাশে থাকেন না, তবে অধিকাংশ সময়েই পাশে থাকাটা হয় ছদ্ম-পাশে থাকা। প্রকৃতপক্ষে সাহারা দেন একমাত্র পরমেশ্বর। তিনিই বিরাজ করেন ক্রাউন চক্রে।

সহস্রার চক্রের উপাদান হল আদি তত্ত্ব বা ঈশ্বর তত্ত্ব। এই তত্ত্ব হল আদি অনাদি। আদি মানে "শুরু ছাড়া", অনাদি মানে "শেষ ছাড়া" - তাই অসীম। এই চক্র আমাদের উচ্চ চেতনা বা অধিচেতনা, অর্ন্তদৃষ্টি, বোধিসত্ব চেতনা, দিব্য চেতনা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, দিব্যশক্তির খেলায় দিব্যজ্ঞান আসে। আমরা জাগতিক ও মহাজাগতিক বিষয় অনুধাবন করতে পারি। সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে অনুভূতি জন্মায়। সহস্রার চক্র জাগরিত হলে, আপনি এক অজ্ঞাত দিব্য উচ্ছ্বাসে আনন্দিত হবেন। সহস্রার চক্রের জাগরণ মানে ঐশ্বরিক মহিমা প্রকাশ এবং পরম চেতনা অর্জন। এই চক্র ব্রহ্মরন্ধ্র (ব্রহ্মের দরজা) এবং আলোর উৎস হিসাবেও পরিচিত।

বাস্তু মতে উত্তর-পূর্ব দিক এবং বাড়ির মধ্যস্থান ক্রাউন চক্রকে প্রভাবিত করে। আগেই বলেছি এই চক্রে ঈশ্বরের বসবাস। ঈশ্বরের অনুকম্পা লাভ করলে কোনও ব্লকেজ আমাদের স্পর্শ করতে পারে না। কিন্তু যদি ঈশ্বরের অনুকম্পা না থাকে, সহস্রার চক্র যদি ভারসাম্য হারায়? সহস্রার চক্র ভারসাম্য হারালে বা অবরুদ্ধ হলে আমরা ঈশ্বরের অনুকম্পা লাভে বঞ্চিত হই।

কী কী হয় ক্রাউন চক্র অবরুদ্ধ হলে:

(১) ক্রাউন চক্র অবরুদ্ধ হলে মানুষ অবসাদের শিকার হয়।

(২) আসক্তি তৈরি হয়, ছটফট করতে থাকে।

(৩) অতিমাত্রায় ধর্মভীরু এবং গোঁড়া হয়।

(৪) অধিক মাত্রায় বিচার প্রবণতা বা নাস্তিকতা তৈরি হয়।

(৫) এঁরা যাঁদেরকে বিশ্বাস করে, তারাই এদের ক্ষতি করে।

(৬) গুরুর আশীর্বাদ বা পিতাস্থানীয় কোনও ব্যক্তির আশীর্বাদ/ছত্র ছায়া মাথার উপর থাকে না।

(৭) ঈশ্বরের অনুকম্পা লাভে বঞ্চিত হতে হয়।

যাদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে (ইংরেজি মতে) ১, ৫ এবং ৮ সংখ্যা নেই অথবা ১, ৫ বা ৮ সংখ্যা দু’বারের বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে সহস্রার চক্র বা ক্রাউন চক্রের ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন, কারো জন্ম তারিখ ২২ জুন ২০০০ হলে, মিলিয়ে দেখুন এই জন্ম তারিখে একটিও ১, ৫ বা ৮ নেই। ২২.০৬.২০০০ {(২+২)+(০+৬)+(২+০+০+০)} = (৪+৬+২) = ১২ (১+২) = ৩

অন্যদিকে ২৫ মে ১৯৯৫, এই তারিখটি লক্ষ্য করে দেখুন ২৫.০৫.১৯৯৫ {(২+৫)+(০+৫)+(১+৯+৯+৫)} = (৭+৫+২৪) = ৩৬ (৩+৬) = ৯। এই তারিখে ৫ সংখ্যাটি তিনবার রয়েছে। এই ধরনের তারিখে যাদের জন্ম তাদেরও ক্রাউন চক্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যাদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখে দু’বারের বেশি ১ বা দু’বারের বেশি ৮ থাকে, তাদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এর পাশাপাশি যদি বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে কোনও বাস্তুদোষ বা দূষণ থাকে, যেমন টয়লেট, ডাস্টবিন, সেপটিক ট্যাঙ্ক, মিটারবক্স, ইলেকট্রিক্যাল জিনিসপত্র, লাল, কমলা, গোলাপি বা সবুজ রঙের উপস্থিতি, ব্যালকনি, কাটিং বা এক্সটেনশন ইত্যাদি যদি থাকে বা বাস্তুর মধ্যস্থলে যদি স্টোরেজ, গোডাউন বা অন্য কিছু বাস্তুদোষ থাকে সে ক্ষেত্রে সহস্রার চক্র অবরুদ্ধ হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তৈরি হয়।

এ বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আপনারা ফেসবুকে SRI MONI BHASKAR পেজ এবং ইউটিউবে DREAM DESTINY চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন। পাশাপাশি এই সমস্যায় প্রয়োজনে জ্যোতিষীয় এবং বাস্তুগত পরামর্শও নিতে পারেন। অনেক সময় Symbol Meditation-ও (প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) আপনাদের সহায়ক হতে পারে।

Guided Symbol Meditation এবং বাস্তুশাস্ত্র-জ্যোতিষ বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable).

ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।