দেবী লক্ষ্মী নিয়ন্ত্রণ করেন শুক্র গ্রহকে
“বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”। প্রাচীনকালে লক্ষ্মীপুজো শেষে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন বণিকরা। সেই সময় জন্ম নেয় এই প্রবাদটি, আসলে দেবী লক্ষ্মী নিয়ন্ত্রণ করেন শুক্র গ্রহকে। শুক্র গ্রহ কী ভাবে বাণিজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত, আজকের পর্বে সে বিষয়েই আলোচনা করবো।
ব্যবসার কাজে নিজে পারদর্শী হলে তা সব সময়ই লাভজনক। ক্ষুদ্র ব্যবসার একেবারে প্রাথমিক স্তরে এমনটা তো সমস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গেই হয়। ছোট ব্যবসা মানে, নিজেই নিজের চাকরি করা, এবং বাস্তবে নিজেই নিজের চাকরি করে ব্যবসা দাঁড় করানো, প্রকৃত চাকরিজীবীদের তুলনায় অনেক অনেক কঠিন। যারা চাকরি করেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে(৮-১০ ঘন্টা), সপ্তাহে এক বা দু-দিন ছুটি, ভালো কাজ করলে পদোন্নতি, মোটা অঙ্কের মাইনে এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা। চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা ছাড়া, খুব একটা বড়-সড় আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা চাকরিজীবীদের অন্তত নেই। কিন্তু যে কোনও ব্যবসাতেই আর্থিক লোকসান, ঋণে জড়িয়ে পড়ার একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। এবং এক্কেবারে প্রাথমিক স্তরের ব্যবসায়ীদের তো কাজের সময়সীমা থেকে শুরু করে ছুটি-ছাটা, অ্যাপ্রাইজাল কোনও কিছুই থাকে না, কারণ সেই ব্যবসায় তিনিই মালিক, তিনিই কর্মচারী। এবং এভাবে ব্যবসার ক্ষেত্রে রাতারাতি বিরাট অঙ্কের রোজগারও সম্ভব নয়। তবে ধীরে ধীরে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উন্নতি অবশ্যই সম্ভব। যেমন ব্যবসা একটু বাড়াতে পারলেই, আমরা একটি অফিস খুলি, ধীরে ধীরে সেখানে একজন-দুজন করে কর্মচারী নিযুক্ত হয়, যিনি মালিক তাঁর উপর কাজের চাপ কমতে থাকে। দেখা যায়, প্রত্যেকদিন তিনি হয়তো অফিসে যাচ্ছেন, কিন্তু প্রত্যেকটি কাজে সরাসরি তাঁকে যুক্ত হতে হচ্ছে না।
ঠিক এর পরের স্তরে থাকেন সেই সমস্ত ব্যবসায়ীরা, যাঁদের প্রত্যেকদিন সরাসরি অফিসে না গেলেও চলে। নির্দিষ্ট বিভাগ অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মীরা তাঁর অধীনে চাকরি করেন, অর্থাৎ তিনি তখন একজন চাকরিদাতা। তাঁর কাজ তখন বিনিয়োগ করা, ব্যবসাবৃদ্ধির জন্য নতুন নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন এবং মাঝেমধ্যে তদারকি। এর উপরের স্তরের ব্যবসায়ী যাঁরা, তাঁদের কাজ শুধুমাত্র বিনিয়োগ এবং নিত্য-নতুন বিজনেস আইডিয়া প্রদান। এই স্তরের ব্যবসায়ীদের সরাসরি অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, তাঁদের ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা চলতে থাকে। কর্মীরাই তখন অফিস চালান।
আসলে ব্যবসায় সফল হতে গেলে কমিউনিকেশন স্কিল, নিগোশিয়েশন স্কিল, বিজনেস প্রোমোশন ইত্যাদি স্কিলও দরকার। প্রয়োজন, সেলফ ইনভেন্টরি। আপনি কী পারেন? আর কী পারেন না? আপনার স্ট্রেংথ ও দুর্বলতা কি? ব্যবসায় সাফল্যের মূলমন্ত্র হচ্ছে নিজের স্ট্রেংথ এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা, যাতে সাকশেসফুল আইডিয়াজ, প্রফিট অ্যান্ড গ্রোথ আসে। এই তিনটিই নিয়ন্ত্রিত হয় শুক্র গ্রহ দ্বারা, কারণ ন্যাচারাল জোডিয়াকের দ্বিতীয় এবং সপ্তম ঘর নিয়ন্ত্রণ করে শুক্র। মনে রাখতে হবে, কখনই সবকিছু প্ল্যান মোতাবেক হয় না। কিছু না কিছু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ঘটবেই। তার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। মাঝারী থেকে বড় শিল্পপতি যাঁরা, এই মানসিক প্রস্তুতি তাঁদের প্রত্যেকেরই থাকে।
এবার আসবো বড় বড় শিল্পপতি-উদ্যোগপতিদের কথায়, যাঁরা বড় বড় কল-কারখানা, প্রতিষ্ঠানের মালিক। হাজার-হাজার কর্মচারী সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, বিজনেস আইডিয়া দেওয়ার জন্যও সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে যোগ্য-অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা নিযুক্ত থাকেন। এই স্তরের ব্যবসায়ীদের বছরের বেশিরভাগ সময়টাই হয়তো কেটে যায় বিভিন্ন বিজনেস ট্যুর বা মিটিংয়ে... এককথায় বিনিয়োগ ছাড়া অন্য বিষয়ে তাঁদের বিশেষ মাথা ঘামাতে হয় না। ব্যবসায় এই পর্যায়ের সাফল্য পেতে হলে জাতক/জাতিকার জন্মছকে বুধ, শনি এবং শুক্র এই তিনটি গ্রহের শুভ প্রভাব থাকতেই হবে। বুধ, শনি বা শুক্রের মধ্যে যে কোনও একটি বা দুটি গ্রহ জন্মছকে দুর্বল / অশুভ থাকলে টাটা-বিড়লা-নারায়ণমূর্তি বা আম্বানি স্তরের উদ্যোগপতি হওয়া যায় না।
অর্থাৎ ব্যবসায় চূড়ান্ত সাফল্য পেতে বুধ, শনির পাশাপাশি শুক্রের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুক্র গ্রহ বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে, এর আগের পর্বগুলিতে বেশ কিছু সূত্র আপনাদের জানিয়েছি। আজ জানাবো কোন কোন পেশায় সফল হতে শুক্রের ভূমিকা অবশ্যম্ভাবী...
সিনেমা জগৎ, গান-বাজনার সঙ্গে যুক্ত, সঙ্গীত বা যন্ত্রশিল্পী, প্রসাধনী, বিউটি পার্লার, সালোঁ, হোটেল-লজ, সুগন্ধি, অলংকার, ফ্যাশন, গ্ল্যামার, লাক্সারি দ্রব্য, ফটোগ্রাফি, রান্না-বান্না, মিষ্টি, বেকারি(কনফেকশনারি), ফুল বা ম্যাট্রিমনি(বিবাহ বিষয়ক অন্যান্য) ব্যবসার সঙ্গে যারা যুক্ত অথবা সোশ্যাল মিডিয়া, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ছবি আঁকা প্রভৃতি কাজ করেন, বা কবি, সাহিত্য জগতের সঙ্গে যুক্ত, ইন্টিরিয়র ডেকরেটর, টেলিভিশন শো-তে আসেন, বিনোদন দুনিয়ায় কর্মরত, পাবলিক রিলেশন সামলাতে হয়, সোশ্যাল স্কিল বা যে কোনও ধরনের ক্রিয়েটিভ, সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের সাফল্যের জন্য শুক্রের শুভ ভাব আবশ্যক।
কিন্তু যদি জন্মছকে শুক্র অশুভ হয়, তখন দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর কাঞ্জানুর গ্রামের “অগ্নিশ্বরার” মন্দিরে অভিজ্ঞ যাজকের উপস্থিতিতে তাঁর পরামর্শ অনুসারে শুক্র গ্রহের “অভিষেকম”, যজ্ঞক্রিয়াদি ধর্মানুষ্ঠান পালন এবং নিয়মিত “লক্ষ্মী-নারায়ণ হৃদয়ম স্তোত্রম” পাঠের মাধ্যমে শুক্র গ্রহের অশুভত্বের অনেকাংশে নিরাময় সম্ভব। বাস্তুর দক্ষিণ-পূর্ব অংশের যাবতীয় দূষণ সরিয়ে ফেললেও শুক্রের অশুভত্ব হ্রাস পায়। এছাড়াও আপনাদের সাহায্যার্থে Symbol Meditation(প্রয়োজনে নির্দিষ্ট মুদ্রা সহযোগে) রয়েছে।
Guided Symbol Meditation এবং বাস্তু বিষয়ক পরামর্শ পেতে WhatsApp - 86173 72545 / 98306 83986 (Payable & Non-Refundable)।
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy