প্রতীকী ছবি।
শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের সবথেকে বড় স্পোর্টস কার্নিভাল — টাটা আইপিএল। প্রতি বছর এই সময়টায় গোটা দেশ ক্রিকেট উন্মাদনায় মেতে ওঠে। অতিমারি কাটিয়ে দীর্ঘ ৩ বছর পরে অবশেষে ফের পুরনো ফরম্যাটে ফিরে এসেছে আইপিএল। গোটা লিগে থাকছে আগের মতোই হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ। কিন্তু ২০২৩-এর মরশুমে উল্লেখযোগ্য ভাবে টাটা আইপিএল-এর প্রধান আকর্ষণ ডিজিটাল হোম হিসাবে জিও সিনেমার প্রবেশ।
পরিসংখ্যান বলছে, শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই এই আইপিএল-এর মরশুম যথেষ্ট নজর কেড়েছে। ইতিমধ্যেই জিও সিনেমায় টাটা আইপিএল-এর সম্প্রচার ভেঙে দিয়েছে বেশ কয়েকটি রেকর্ড। আইপিএল শুরু হওয়ার পরে প্রথম সপ্তাহের শেষ দিনে ১৪৭ কোটি ভিডিয়ো ভিউজ পেয়েছে জিও সিনেমা। এই সংখ্যাটি, আইপিএল-এর শেষ মরশুমে ডিজিটালে যত মানুষ আইপিএল দেখেছিল, তার থেকে অনেকটাই বেশি। এমনকি ২০২২ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিজিটালের দর্শক সংখ্যা থেকেও বেশি।
কিন্তু কেন ভারতীয়রা আইপিএল দেখার জন্য বার বার টিভি ছেড়ে জিও সিনেমাকেই বেছে নিচ্ছে? এর উত্তর দিতে হলে, বেশ কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে। যা কার্যত জিও সিনেমাকে এক অন্য স্তরে নিয়ে গিয়েছে।
৪কে ছবিতে টাটা আইপিএল: এই প্রথম বার দর্শকরা টাটা আইপিএল দেখতে পারবেন ৪কে ছবির মাধ্যমে। মোবাইল থেকে ট্যাব, কিংবা স্মার্ট টিভি যে কোনও ৪কে ডিভাইসেই দর্শকরা এই লিগ দেখতে পারবেন।
হাইপ ফিচার: সদ্য সমাপ্ত এসএ২০ এবং টাটা ডব্লিউপিএল-এ এই বৈশিষ্ট্যটির কিছু ঝলক দেখিয়েছে জিও সিনেমা। কিন্তু টাটা আইপিএল-এর সেই বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পূর্ণভাবে উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা। এই বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা লাইভ অ্যাকশনের পাশাপাশি টিম স্কোরিং রেট, ব্যাটসম্যানদের স্কোরিং এরিয়া, বোলারদের হিট ম্যাপ, ওয়াগন হুইলসহ বিভিন্ন পরিসংখ্যানও দেখতে পারবে এবং বিশ্লেষণ করতে পারবে। পাশাপাশি, ‘লীন-ব্যাক’ থেকে ‘লীন-ফরোয়ার্ড’ দু’ভাবেই লাইভ স্পোর্টস দেখার অভিজ্ঞতা পাবেন দর্শকরা।
মাল্টিক্যাম সেটআপ: জিও সিনেমায় আইপিএল ২০২৩-এর অন্যতম সেরা ফিচার হল মাল্টিক্যাম সেটআপ। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একাধিক ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলে খেলা দেখতে পারবেন। যেমন মেইন ক্যাম, কেবল ক্যাম, বার্ডস আই ক্যাম, স্ট্যাম্প ক্যাম, এবং ব্যাটার ক্যাম। অর্থাৎ সূর্যকুমারের ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটিংই হোক বা ধোনির হেলিকপ্টার শট, ডিজিটালে টাটা আইপিএল দেখার সময় বিভিন্ন দিক থেকে সেই শটটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা। একইসঙ্গে কী ভাবে, এবং কোন দিক থেকে দর্শকরা খেলা দেখতে চাইছেন, তার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে দর্শকদেরই।
বিভিন্ন ভাষায় উপলব্ধ: জিও সিনেমার আরও একটি আকর্ষণীয় ফিচার হল এই বছর দর্শকরা তাদের নিজস্ব ভাষাতে আইপিএল উপভোগ করতে পারবেন। দর্শকরা ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটি, পঞ্জাবি, বাংলা, ভোজপুরি, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লাম এবং ওড়িয়ার মতো মোট ১২টি ভাষায় এই খেলার দেখা যাবে। এর সঙ্গে আরও নতুন নতুন ভাবে যাতে দর্শকদের মনোরঞ্জন করা যায়, তার জন্য জিও সিনেমা ইনসাইডার্স ফিড, হ্যাংআউট ফিড, ফ্যান্টাসি ফিড এবং ফ্যানজোন ফিড সহ মোট ১৬টি ফিড প্রদান করছে। এর পাশাপাশি, জিও সিনেমা, টাটা আইপিএল-এর জন্য একটি সুর্নিদিষ্ট প্যানেলও তৈরি করেছে। যে প্যানেলে রয়েছেন সুরেশ রায়না, ক্রিস গেইল, এবি ডিভিলিয়ার্স, অনিল কুম্বলে, রবিন উথাপ্পা, আরপি সিং, জহির খান, ইয়ন মরগান, গ্রেম স্মিথ এবং স্কট স্টাইরিসের মতো কিংবদন্তী খেলোয়াড়রা।
সবার জন্য বিনামূল্যে: বিগত বছরগুলিতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার পরেই ডিজিটাল মাধ্যমে খেলা উপভোগ করতে পারতেন দর্শকরা। তবে এই বছর থেকে জিও সিনেমায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টাটা আইপিএল দেখানো বন্দোবস্ত করেছে সংস্থা। সঙ্গে আরও বিভিন্ন এনগেজিং ফিচার তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে টাটা আইপিএল ২০২৩-এর প্রতিটি ম্যাচে এক নিদারুণ অভিজ্ঞতা দর্শকদের উপহার দিচ্ছে জিও সিনেমা।
এই প্রতিবেদনটি ‘জিও সিনেমা’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy