সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্য়ালয়
রাজকীয় বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠীত হল সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নবীন বরণ অনুষ্ঠান বা বেনেডিকশন প্রোগ্রাম, যার পোশাকি নাম— নিবধতা। এর মধ্যে দিয়েই নবাগত ছাত্রছাত্রীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি পরিবারের অঙ্গ হল।
কলেজের প্রথম কয়েকটা দিন মানে নবাগতদের রোমাঞ্চিত এবং অভিভূত হওয়ার পর্ব। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই হাতে ধরে নবাগতদের SNU-এর দর্শনে দীক্ষিত করা হল। নবীন বরণ বা বেনেডিকশন সেরিমনি ছাত্রছাত্রীদের কাছে জ্ঞান, সম্পদ, নতুন সুযোগ, এবং যোগাযোগ স্থাপনের ঝুলি নিয়ে হাজির হয়েছিল যা, আগামী দিনে তাদের শিক্ষাগত, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত ভাবে সফল হতে সাহায্য করবে। এই অনুষ্ঠানেই অধ্যাপক এবং প্রধান অতিথিরা ছাত্রছাত্রীদের আগামী দিনের জন্য আশীর্বাদ করেন। নবীনদের বরণ করার জন্য শিক্ষক দিবসকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল।
SNU-এর স্তবগান “সিস্টার নিবেদিতা তুমি” দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তার পর হয় প্রদীপোজ্জ্বলন।
এই অনুষ্ঠানে নিজের ভাষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য শ্রী সত্যম রায়চৌধুরী, ছাত্রছাত্রীদের স্বামী বিবেকানন্দ এবং ভগিনী নিবেদিতার মন্ত্রে দীক্ষিত হতে বলেন, যাতে আগামী দিনে তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে সেরার সেরা হয়ে ওঠে। নবাগত ছাত্রছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাগত জানিয়ে আচার্য বলেন যে তিনি আশাবাদী যে ছাত্রছাত্রীরা SNU-তে তাদের সময়কাল উপভোগ করবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পেশাদারি জীবনে সাফল্য পেতে, এবং ভালো মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে বলেও তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
পরিচয়পর্বের অঙ্গ হিসেবে নবাগত পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ঝলক দেখানো হয়। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সুমন চট্টোপাধ্যায় একটা অ্যানিমেশন দেখান। এই অ্যানিমেশনে হ্যারি এবং স্যালি নামে দুই চরিত্রের হাত ধরে সকলকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘুরিয়ে দেখানো হয়। এই অ্যানিমেশনের পর একটা অডিও-ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের সাফল্যের গল্পগুলোকে তুলে ধরা হয়।
এর পর হয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান, যেখানে পড়ুয়ারা পড়াশোনার প্রতি সমর্পিত থাকা, নিজেদের প্যাশনের প্রতি নিয়োজিত থাকা এবং নিজেদের সেরাটা হয়ে ওঠার শপথ নেন।
এই বিশ্ববিদ্যালয় কী কী কৃতিত্ব অর্জন করেছে এবং আগামী দিনে পড়ুয়াদের জন্য আরও কী কী অপেক্ষা করছে, উপাচার্য অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় পড়ুয়াদের সামনে তা তুলে ধরেন। উপাচার্যের এই প্রেজেন্টেশন পড়ুয়াদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে প্রভাজিকা আত্মদীপাপ্রাণা এবং স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ। বাস্তব জীবনের উদাহরণ এবং পেপ-টক দিয়ে তারা নবাগতদের উদ্বু্ধ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে ছিল অয়ন মুখার্জি ও তার ব্যান্ডের ফিউশন যন্ত্রসঙ্গীতের একটা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। অনুষ্ঠানের একবারে শেষে অধ্যাপক দেবব্রত চৌধুরীর আঁকা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রী সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের লাইভ স্কেচ ছিল মধুরেণ সমাপয়েৎ।
এই প্রতিবেদনটি ‘সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্য়ালয়’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy