'কাবেরী অন্তর্ধান' ছবির একটি দৃশ্য
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি মানেই গতে বাঁধা ধারণা থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু। দর্শকদের কাছে যেন এক নতুন প্রাপ্তি। বলা বাহুল্য, বিগত কয়েক বছর ধরে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। এ বারেও যেন তাঁর অন্যথা হল না। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ যেন উনিশ শতকের শেষ পর্যায়ে ফিরিয়ে নিয়ে গেল দর্শকদের। যে সময় রাজ্য-রাজনীতি নকশাল আন্দোলনে উত্তাল। সেই সঙ্গে এই ছবির মাধ্যমেই এমন এক গল্প উপহার পেলেন দর্শকরা যা তাঁদের বহুদিন মনে থাকবে।
ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ‘কাবেরী অন্তর্ধান’-এর গল্পের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে রয়েছে নকশাল সময়ের কথা। ‘হাতিমারা’ নামে একটি জায়গা ঘিরেই কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এই ছবির গল্প বুনেছেন। যে ছবিতে উঠে এসেছে উত্তরবঙ্গের ছবি। সেখানকার মানুষের ছবি। সম্পর্ক গড়ে ওঠার ছবি। পরিচালক নিজেও সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ এমন এক বিষয়বস্তু কেন?
উত্তরে পরিচালক বললেন, “এই সিনেমা করার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের এই যৌবনকে খানিক অন্য ভাবে তুলে ধরা। যৌবন যেমন বিপ্লব চায়, তেমনই যৌবন প্রেমও খোঁজে। উত্তরবঙ্গের যে প্রেক্ষাপটে ছবিটা শুরু হচ্ছে সেই প্রেক্ষাপটে এক বুক প্রেম নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষেরা বিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গেই কী ভাবে প্রেম করছেন, সেই সময়ের গল্পই আজকের নতুন প্রজন্মের কাছে এই ছবির মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”
কিন্তু উত্তরবঙ্গই কেন? কেনই বা কাবেরীর অন্তর্ধানের প্রেক্ষাপট? উত্তরে পরিচালক জানালেন, “এই কাবেরী না থাকার রহস্য ও তার সঙ্গে আরও অন্য যে প্রেক্ষাপটগুলিকে ছবিতে চিত্রায়ণ করা হয়েছে, তার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে গভীর মানবিক সম্পর্ক। অন্য দিকে যে হেতু নকশাল আন্দোলনের শুরু উত্তরবঙ্গ থেকেই, তাই ওখানকার গল্প বলার কথা আমি ভেবেছি। বলা যায়, ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ আদতে একটি সাসপেন্স থ্রিলার। যে গল্পের পরতে পরতে লেগে রয়েছে প্রেমের আখ্যান।”
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, এই ছবি নিয়ে মোট চার বার জোট বাঁধলেন তাঁরা। এই দু’য়ের যুগলবন্দি বরাবরই নতুন কিছু উপহার দেয় দর্শকদের। এই জুটি সম্পর্কে কী মত পরিচালকের? তিনি জানালেন, “এই ছবি আসলে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের বা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি নয়। এই ছবিটা সবার মিলিত প্রয়াসেই তৈরি করা। বলা যায়, ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ একটি অস্থির সময়ের দলিল যা আমরা দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
এই প্রতিবেদনটি 'সুরিন্দর ফিল্মসের’ -এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy