বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশু বা স্পেশ্যাল চাইল্ড
গোলাম মোস্তাফা লিখেছিলেন,
“ভবিষ্যতের লক্ষ আশা মোদের মাঝে সন্তরে
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে।”
সন্তানসুখ প্রায় সব মানুষই চায়। এ হল মানুষের জীবনের এক সুপ্ত বাসনা। বিয়ের পর এক জন ব্যক্তির জীবনে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটা হল সন্তানের জন্ম। সন্তান কারও জীবনে সঠিক সময়ে আসে, কারও বাসনা থাকলেও সন্তানসুখ লাভ হয় না। আবার কারও জীবনে সন্তান এলেও সে স্বাভাবিক হয় না। শারীরিক ও মানসিক ভাবে বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে বেড়ে ওঠে। এদেরকেই সমাজ বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশু বা স্পেশ্যাল চাইল্ড বলে চিহ্নিত করে।
কেন এমনটা হয়? কেন তারা আর পাঁচটা স্বাভাবিক শিশুর থেকে আলাদা? এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে মা-বাবার জন্মছক বিচার করলে। প্রত্যেক অভিভাবকের কাছেই সন্তান একটা আবেগের জায়গা। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে মা-বাবারা সব সময়েই চিন্তায় থাকেন। কিন্তু বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ জীবন একটা চ্যালেঞ্জ। তার নিজের কাছে তো বটেই, তার অভিভাবকদের কাছেও। চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি সত্ত্বেও এই শিশুদের স্বাভাবিক জীবন উপহার দেওয়ার সুযোগ এখনও নেই।
বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশু জন্মের ব্যাপারে জ্যোতিষশাস্ত্র ঠিক কী বলছে?
সন্তান ও জন্মপত্রিকায় বিভিন্ন গ্রহ/ভাব/ লগ্নের অবস্থান, বিশেষ ভাবে সক্ষম সন্তান জন্মের একটা কারণ:
আমাদের পূর্বজন্ম বা অতীত জীবনের ছায়া পড়ে বর্তমান জীবনে। সকলেই অতীত জীবন এবং অতীত কর্ম থেকে কর্মের একটা বোঝা বহন করে। আগের জন্মে করা ভাল বা খারাপ কাজ আমাদের বর্তমান জীবনের উন্নতি ও অবনতি ঠিক করে দেয়। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রামাণ্য গ্রন্থ বৃহৎ পরাশর হোরা শাস্ত্র অনুযায়ী, পঞ্চম ঘর বুদ্ধিমত্তা, বৈষম্য শক্তি, গভীর চিন্তা, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ এবং ভাল ও খারাপ মানসিক প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। সুসন্তানের আগমন ঘটে আমাদের অতীতের সুকর্মের উপরে নির্ভর করে। কারও জীবনে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুর আগমন, তার পূর্বপুরুষের কর্মফলের উপরেও কিছুটা নির্ভর করে। এ ছাড়া খানিকটা নির্ভর করে মা-বাবার জন্মপত্রিকার উপরেও। মায়ের জন্মছকে পঞ্চম ঘরে কোনও নেগেটিভ অবস্থান থাকলে এবং তা ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ সূত্রে যুক্ত থাকলে বিশেষ ভাবে সক্ষম সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা থাকতে পারে। জৈমিনি সুত্র অনুযায়ী মায়ের জন্মছকে পঞ্চম ঘরে রাহু অবস্থান করলে বা পঞ্চম পতি লগ্নে ষষ্ঠ ভাবে অবস্থান করলে বা পঞ্চম ঘরের পতির ওপর যদি শনি বা মঙ্গলের অশুভ দৃষ্টি পড়ে, কিংবা শনি বক্রী অবস্থায় থাকে, সে ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সক্ষম সন্তান জন্মের সম্ভাবনা থাকে। বাবার জন্মছকে বৃহস্পতি বা শুক্রর অবস্থানের গুরুত্বও ভীষণ ভাবে থাকে এই ধরনের শিশুর জন্মের নেপথ্যে। পঞ্চম ঘরের অধিপতি হল বৃহস্পতি। বৃহস্পতির অবস্থান ষষ্ঠ, অষ্টম, দ্বাদশ ঘরের অশুভ যোগ থাকলে, কিংবা অশুভ রাহুর দৃষ্টি, অথবা পঞ্চম ঘরে বিষযোগ তৈরি হলেও সন্তানের সুস্থতার উপরে তার প্রভাব পড়ে।
বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রে এমন ক্ষতিকারক অনেক গ্রহ রয়েছে, যা শাস্তিদাতা হিসাবে পরিচিত। তারা তাদের মতো কাজ করে, যারা ন্যায়বিচার দেয়। এরা উদার হলে ন্যায়বিচার করা যায় না। তাই এই গ্রহগুলি আমাদের রাশিফলের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে। এই অশুভ গ্রহের সময়কালে (দশা কাল- মহাদশা ও অন্তর্দশা) পঞ্চম ঘরে পঞ্চম অধিপতি সিদ্ধান্ত নেয় সেই ব্যাক্তির সন্তান বিশেষ ভাবে সক্ষম হতে পারে কি না।
জন্মপত্রিকায় বিশেষ ভাবে সক্ষম সন্তান জন্মানোর অনুরূপ সংমিশ্রণ:
ব্যাক্তির জন্মছকের পঞ্চম ঘরে অশুভ গ্রহ থাকলে তা সন্তানস্থানে সমস্যার সৃষ্টি করে। পঞ্চম ঘরে অশুভ গ্রহের দৃষ্টি সন্তানের স্বাস্থ্যের সমস্যা তৈরি করে। জৈমিনি জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, অশুভ গ্রহের রাশি দৃষ্টি (দৃষ্টি) অশুভ ফল দেয়। আবার পঞ্চম ঘরে শনি বা নবমশা (D9 চার্ট) তালিকায় পঞ্চম অধিপতির থেকে দুর্ভোগে, এমন শিশু জন্মের সম্ভাবনা থাকে। সূর্য ও চন্দ্রের ঘনিষ্ঠ সংযোগ বা এর দৃষ্টি এবং পঞ্চম ঘরের সংমিশ্রণ, এমন এক শিশুর জন্ম দেয় যে, স্বাভাবিক হয় না। এই শিশুরা নতুন কিছু খুব ধীর গতিতে শেখে। যদি ছায়া গ্রহগুলি সূর্য বা চন্দ্রকে পঞ্চম ঘর অথবা D9 চার্টের পঞ্চম অধিপতিকে সংযুক্ত করে, তা হলে শিশু সব সময়েই দ্বিধাদন্দ্বের মধ্যে থাকে এবং কোনও সিদ্ধান্তের উপরে আস্থা রাখতে পারে না।
সপ্তমসা বা D7 (7ম বিভাগীয় চার্ট)এর বিশেষত্বঃ-
সপ্তম ঘর হল কোনও ব্যাক্তির পত্নীর স্থান এবং সপ্তম বিভাজন হল সন্তানের স্থান, যা সেই ব্যাক্তির আরোহণের ৭ তম বিভাগ, যা সপ্তমস চার্ট হিসাবে পরিচিত।
D7 চার্ট বিশ্লেষণ করলে কোনও ব্যাক্তির সন্তান কেমন হবে, তা জানতে পারা যায়। সপ্তম তালিকার বিশ্লেষণ থেকেই শিশুর জীবনের চ্যালেঞ্জ ও দুর্ভোগ দেখা যায়।
আপনার জন্মছক অনুযায়ী বিশেষ ভাবে সক্ষম সন্তানের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে নীচের বিষয়গুলো বিচার করা উচিত।
পঞ্চম ঘরের দুর্বল অবস্থা সন্তানকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করতে পারে। পঞ্চম ঘরের দুর্বলতা শারীরিক সুস্থতা সংক্রান্ত সমস্যা দেয়। পঞ্চম ঘরে অমাবস্যা বা ছায়া গ্রহ দ্বারা গ্রহণ বা D7 চার্টে পঞ্চম অধিপতি এমন সন্তানের জন্ম দেওয়ায়, যারা বাহ্যিক কর্মের প্রতি খুব একটা আগ্রহী হয় না।
আমাদের প্রাচীন ঋষিরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছিলেন, তারা জানতেন কোনও ব্যাক্তির কুকর্মগুলো তার জীবনে বিভিন্ন রূপে ফিরে আসে– যেমন মা-বাবা, কর্মজীবন, স্ত্রী এবং সন্তানের রূপে। পঞ্চম ঘর ব্যাক্তি জীবনে সন্তান সুখের নির্দেশ দেয়। এটা বিশুদ্ধ চেতনার ঘর, তাই সুস্থ সন্তান লাভের জন্য কখনও জীবনে তঞ্চকতা বা ষড়যন্ত্র করা উচিত নয়। এই ধরনের কাজ পঞ্চম ঘরকে বিকৃত করে যা পরোক্ষ ভাবে সন্তানের জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।
তাই সন্তান পরিকল্পনা করার আগে কোনও দম্পতির অভিজ্ঞ জ্যোতিষশাস্ত্রবিদের পরামর্শ নেওয়া ও তাদের নির্দেশ অনুসরণ করা উচিত।
জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত এমন নানা বিষয়ে জানতে দেখুন: youtube.com/@dr.sohinisastribestastrolo2355/
প্রখ্যাত জ্যোতিষশাস্ত্রবিদ ডাঃ সোহিনী শাস্ত্রীর সঙ্গে কথা বলুন।
দূরভাষ +91 91635 32538 / +91 90381 36660
বিশদ জানতে দেখুন: sohinisastri.com/।
ফেসবুক পেজ: - https://www.facebook.com/drsohinisastri
ডিসক্লেইমার: এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন এবং বিজ্ঞাপনদাতার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত। প্রতিবেদনে প্রকাশিত সমস্ত বক্তব্য / মন্তব্য একান্তই বিজ্ঞাপনদাতার নিজস্ব। এর সঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy