ছবি: সংগৃহীত।
নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি সামগ্রীর কেনাকাটা মানেই কি বাড়ির পাশের মুদির দোকান? নাকি সপ্তাহের শেষে ঝাঁ চকচকে সুপারমার্কেট ঘুরে গোটা মাসের বাজার? আসলে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে মানুষের অভ্যাস বদলেছে। এখনও বহু মানুষের কাছে বাড়ির পাশের মুদি দোকান সহজ গন্তব্য মনে হলেও সেখানে কোনও অফার তো পাওয়াই যায় না, বরং অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে আরও পাঁচটা দোকান ঘুরতে হয় ক্রেতাদের। উল্টো দিকে, সুপারমার্কেট এই সমস্যার সমাধান দিতে পারলেও, সব সময় হাতের কাছে সুপারমার্কেটের খোঁজ কোথায়? বাড়ির পাশের মুদি দোকান ও সুপারমার্কেট— এই দু’য়ের মাঝামাঝি জায়গাতেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছে আরামবাগ ফুডমার্ট, মধ্যবিত্তের ভরসার কনভেনিয়েন্স স্টোর। যেখানে একই ছাদের তলায় নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি সামগ্রী তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে সুপারমার্কেটের মতোই চোখ-ধাঁধানো পরিবেশ ও আকর্ষণীয় ছাড়।
পরিবেশ ও পরিচালনার ধরন খানিকটা সুপারমার্কেটের মতো হলেও আরামবাগ ফুডমার্টের গায়ে কিন্তু লেগে রয়েছে বাড়ির পাশে মুদি দোকানের নস্টালজিয়ার পরত। ১৯৯৭ সালে শুরু হওয়া এই রিটেইল চেইনটি বর্তমানে জনসাধারণের কাছে হয়ে উঠেছে মুদি সামগ্রী কেনাকাটার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক স্টোর।
বলা বাহুল্য, আরামবাগ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল তাদের প্রক্রিয়াজাত খাবার ও চিকেনের দোকান ‘আরামবাগ চিকেন’—এর মাধ্যমে। ১৯৯৭ সালে এমনই একটি দোকানকে রিটেইল স্টোরে রুপান্তরিত করে পথ চলা শুরু করে আরামবাগ ফুডমার্ট। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জনপ্রিয় ধারণা ‘৭-১১’ অনুসারে চালু হয় এই রিটেইল স্টোরগুলি। অভিনব এমন ভাবনার উপরে ভিত্তি করেই খুব কম সময়ের মধ্যেই সাফল্য়ের মুখ দেখে আরামবাগ ফুডমার্ট।
যে বিষয়গুলি বাড়ির পাশের মুদি দোকান কিংবা সুপারমার্কেটের থেকে আরামবাগ ফুডমার্টকে আলাদা করে দিয়েছে, সেগুলি হল—
কী কী পাওয়া যায় আরামবাগ ফুডমার্টে?
আর্থিক সাশ্রয় তো বটেই, ছোট স্টোরে, হাতের নাগালে সব কিছু এক সঙ্গে থাকার ফলে সময়ও বাঁচে গ্রাহকদের। আর সেই কারণেই বয়স্ক দম্পতি, চাকুরিজীবী থেকে মধ্যবিত্ত পরিবার— এদের প্রত্যেকের বিশ্বস্ত গন্তব্য হয়ে উঠেছে আরামবাগ ফুডমার্ট।
শুধুমাত্র কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ফুডমার্টের এই অভিনব ভাবনার উপরে ভর করে গোটা দেশ জুড়ে সাফল্যের খতিয়ান লিখেছে ফুডমার্ট। ব্যবসাও বেড়ে পাল্লা দিয়ে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেই ৭৫টিরও বেশি রিটেইল স্টোর রয়েছে আরামবাগের। যার মধ্যে কলকাতাতেই রয়েছে ৩৯টি স্টোর এবং উত্তরবঙ্গে রয়েছে ১১টি স্টোর। বাকি ২৫টি স্টোর রয়েছে টিয়ার ২ শহরগুলিতে।
সময়কে সাক্ষী রেখে আরামবাগ ফুডমার্টের ঝুলিতে এসেছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। ২০২২ সালে কোকাকোলা গোল্ডেন স্পুন অ্যাওয়ার্ডে সুপারমার্কেট চেইন (পূর্ব) বিভাগে ২০২২ সালের সব থেকে বেশি প্রশংসিত ফুড ও গ্রসারি বিক্রেতার খেতাবও পায় আরামবাগের ফুডমার্ট। কনভেনিয়েন্স স্টোর বিভাগেও রয়েছে সর্বাধিক প্রশংসিত বছরের সেরা রিটেইলারের পুরস্কার। আরামবাগের এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে সংস্থার সঙ্গে জুড়ে থাকে কর্মীরা। যাঁদের লড়াইয়ের ফসল হিসেবে বর্তমানে দেশের অন্যতম সেরা অফলাইন গ্রসারি মার্কেটপ্লেস হয়ে উঠেছে আরামবাগ ফুডমার্ট।
এই প্রতিবেদনটি ‘আরামবাগ ফুডমার্ট’-এর সঙ্গে আনন্দবাজার ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো দ্বারা যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy