Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

রাতভর অভিযানে ২ জঙ্গি নিহত চট্টগ্রামে

বুধবার মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অভিযান চালানোর পরে শহরে বড়সড় হামলার ছক ভেস্তে দেওয়ার দাবি জানাল বাংলাদেশ পুলিশ। অভিযানে অবরুদ্ধ হয়ে দুই জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করলেও এক মহিলা-সহ দু’জন রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেতে পেরেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঢাকা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:০৭
Share: Save:

বুধবার মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অভিযান চালানোর পরে শহরে বড়সড় হামলার ছক ভেস্তে দেওয়ার দাবি জানাল বাংলাদেশ পুলিশ। অভিযানে অবরুদ্ধ হয়ে দুই জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করলেও এক মহিলা-সহ দু’জন রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেতে পেরেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অস্ত্র-বিস্ফোরকের সঙ্গে ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান রেস্তরাঁর হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের মিল রয়েছে।

পুলিশের বিশেষ বাহিনী র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জঙ্গিদের ওপর নিরন্তর নজরদারি চালিয়ে তাঁরা চট্টগ্রামের আদালত ও কয়েকটি ভবনে হামলার চক্রান্তের খবর পাচ্ছিলেন। গোয়েন্দা সূত্রে খবর মেলে, নগরীর উপকণ্ঠে মিরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ধারে ‘চৌধুরী ম্যানসন’ নামে একটি একতলা বাড়িতে এক মহিলা-সহ জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-র চার জঙ্গি ঘাঁটি গেড়েছে। বুধবার গভীর রাতে র‌্যাবের বাহিনী সোনাপাহাড় এলাকার ওই বাড়িটি চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলে। হাত-মাইকে জঙ্গিদের বলা হয় আত্মসমর্পণ করতে। কিন্তু বাড়িটি থেকে র‌্যাবকে লক্ষ করে গুলি ও বোমা ছোড়া শুরু হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। থেমে থেমে রাতভর গুলি ও পাল্টা গুলি চলতে থাকে। পুলিশের আশঙ্কা, সেই সময়েই মহিলা ও এক জঙ্গি অন্ধকারে গা-ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। এর পরে সকালে বাড়িটির মধ্যে প্রচণ্ড শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরে সেখান থেকে গুলি চালনা থেমে যায়। অত্যাধুনিক যন্ত্র নিয়ে বিস্ফোরক অনুসন্ধানী দল আসার পরে সকাল ১১টা নাগাদ র‌্যাবের বাহিনী বাড়িটির ভেতরে ঢুকে দুই জঙ্গির ছিন্নভিন্ন দেহ দেখতে পায়। তাদের গায়ে আত্মঘাতী জ্যাকেট লাগানো ছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার সাফায়াত জামিল ফাহিম জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জঙ্গিরা পরিচয় লুকিয়ে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল। চারটি ঘরের একটি তারা অস্ত্রাগার হিসাবে ব্যবহার করত। সেখান থেকে একটি একে-২২ রাইফেল, তিনটি পিস্তল, বেশ কিছু ধারাল অস্ত্র, পাঁচটি গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম মিলেছে। এই অস্ত্রগুলির সঙ্গে গুলশনের হোলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার অস্ত্রশস্ত্রের মিল রয়েছে। ফাহিমের দাবি, এই অভিযানে চট্টগ্রামে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। বাড়িটির মালিক ও কেয়ারটেকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rapid Action Battalion Dhaka Terror
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE