প্রধান অভিযুক্ত আজিজ মিয়া।—নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামাত নেতা ও গাইবান্ধার প্রাক্তন সাংসদ আবু সালেহ মহঃ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ-সহ ছ’জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। বুধবার বিচারপতি মহঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল এই রায় দিল। আজিজ ছাড়া বাকি আসামিরা হল- রুহুল আমিন, আব্দুল লতিফ, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলি, নাজমুল হুদা এবং আব্দুর রহিম মিয়া। দণ্ডদেশ পাওয়া ছ’জনের মধ্যে লতিফ ছাড়া বাকিরা পলাতক।
আরও পড়ুন: হাসিনা থাকলে ভোট হবে না, দাবি খালেদার
মামলার রায়ে বলা হয়েছে, প্রসিকিউশনের আনা তিনটি অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আসামিদের সাজা কার্যকর করতে হবে। অভিযোগের মধ্যে প্রথমটিতে গাইবান্ধার মৌজামালি বাড়ি গ্রামে গিয়ে লুটপাট, স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে আটক, অপহরণ ও নির্যাতন এবং পরে দাড়িয়াপুর ব্রিজে নিয়ে একজনকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে হত্যার ঘটনায় আসামিদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
দ্বিতীয় অভিযোগ- সুন্দরগঞ্জ থেকে ছাত্র লিগ নেতা মহঃ বয়েজ উদ্দিনকে ধরে মাঠেরহাট রাজাকার ক্যাম্প এবং থানা সদরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন এবং পরে গুলি করে হত্যা করে লাশ মাটির নীচে চাপা দেওয়ার ঘটনায় ছয় আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুর চেয়ারম্যানকে গুলি করে খুন ভদ্রেশ্বরে, নেপথ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
তৃতীয় অভিযোগ- সুন্দরগঞ্জ থানার পাঁচটি ইউনিয়নে স্বাধীনতার পক্ষের ১৩ জন চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে আটক করে আটকে রেখে নির্যাতন এবং পরে নদীর ধারে নিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনাতেও আসামিদের সবার প্রাণদণ্ডের রায় এসেছে।
এই ছয় যুদ্ধপরাধীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর। তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর রিপোর্ট চূড়ান্ত করে প্রসিকিউশন শাখায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। এর পর ২০১৬ সালের ২৮ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই ছয় আসামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy