ভাষার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সন্ত্রাসদীর্ণ বাংলাদেশ। পরপর জঙ্গি হানায় বিপর্যস্ত পর্যটনকে ছন্দে ফেরাতে এ বার আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছে তারা। বাংলাদেশের অসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জ্যোতির্ময় বর্মণ শনিবার বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে চায়। পাশে চায় ভারতকে। ভারত-বাংলাদেশ যুগ্ম ভাবে লড়াই চালালে সন্ত্রাসকে আটকানো সম্ভব। সেই লড়াইয়ের সব থেকে বড় হাতিয়ার পর্যটন।’’
বাংলাদেশের পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি তরফে সে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ওই ভ্রমণের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সরকার। নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভাষার টানে’।
সরকারি এই পরিকল্পনায় সে দেশের ভ্রমণ সংস্থাগুলিও যথেষ্ট উৎসাহী। তাদের একাংশের বক্তব্য, সন্ত্রাসের জন্য পুজোর মরসুমে পর্যটন বড় ধাক্কা খেয়েছে। ‘ভাষার টানে’ সেই ধাক্কাকে সামাল দিতে সক্ষম হবে বলেই তাঁদের আশা। বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গুলশনের রেস্তোরাঁয় হামলার পরে বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সরকার এখন অনেক বেশি সচেতন। ‘ভাষার টানে’ উপলক্ষে যাঁরা সে দেশে যাবেন, তাঁদের নিরাপত্তার দিকটিও সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। পর্যটন পুলিশও সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ দিন বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, ওই ভ্রমণের বিষয়ে তারা সব রকম সাহায্য করবে। হাইকমিশনের তরফে মহম্মদ মাইনুল কবির বলেন, ‘‘বাংলাদেশের কাছে এই যাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ভিসা পেতে যাতে কারও কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা আমরা দেখব।’’ বাংলাদেশের পর্যটন দফতর জানায়, ‘ভাষার টানে’র জন্য এ রাজ্যের ২৫টি ভ্রমণ সংস্থাকে বাছা হবে। সেই নির্বাচন হবে পর্যটন মেলায় আবেদনপত্রের মাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy