Same Sex Marriage

সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির দাবিতে মামলার রায় মঙ্গলে, কী বলতে পারে সুপ্রিম কোর্ট? জল্পনা

শুনানিপর্বে ৩৭৭ ধারা সংশোধন প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত বলেছিল, ‘‘যদি সমকামিতা অপরাধ না হয়, তা হলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গের মানুষের বিয়ের মতো স্থিতিশীল বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধা কোথায়?’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ২২:০৭

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতি সংক্রান্ত একগুচ্ছ আবেদনের মামলায় রায় মঙ্গলবার ঘোষণা করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। টানা ১০ দিনর শুনানি পর্বের শেষে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গত ১১ মে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল। মঙ্গলবার শেষ হচ্ছে সেই সময়সীমা। সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্য সদস্যেরা হলেন, বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি এস নরসিংহ।

Advertisement

নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাশাপাশি, এ বিষয়ে সাতটি রাজ্যের সরকার তাদের মতামত জানিয়েছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং রাজস্থান সরকার সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতার দাবির বিরোধিতা করেছে। কেন্দ্রের তরফে সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতির বিরোধিতা করে জানানো হয়, এটা নেহাতই ‘শহুরে অভিজাত সমাজের ভাবনা’। পাশাপাশি, এমন ‘স্পর্শকাতর বিষয়ে’ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার সংসদের হাতে তুলে দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মোদী সরকারের বক্তব্য— ‘সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের কোনও রায় সঠিক পদক্ষেপ হবে না’!

কেন্দ্রের ওই অবস্থানের সমালোচনায় মে মাসের শুনানিতে বিচারপতি ভট্ট বলেন, ‘‘সাংবিধানিক বেঞ্চে এ সংক্রান্ত মামলায় ‘রিট’ আকারে রায়দান করে। যা মেনে নিতে হবে। এই ব্যবস্থাতেই আমরা চলছি। রাষ্ট্রের সীমারেখা থাকা উচিত।’’ অন্য দিকে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় গোড়া থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। কখনও বলেছেন, ‘‘সমকামিতা যে কেবল শহুরে বিষয়, এমন কোনও পরিসংখ্যান নেই সরকারের কাছে।’’ কখনও বলেছেন, ‘‘সমকামী সম্পর্কগুলি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক, স্থিতিশীল সম্পর্কও।’’ আবার কখনও তাঁর মন্তব্য, ‘‘নারী-পুরুষের সংজ্ঞা শুধু মাত্র জননাঙ্গের উপর নির্ভর করে না।’’ এমনকি, সমলিঙ্গে বিয়ে আইনি স্বীকৃতি না পেলে সমকামী দম্পতির সামাজিক পরিচয় কী হবে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

২০১৮-র ৬ সেপ্টেম্বর, ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭৭ ধারাকে সংশোধন করে সমকামিতাকে যে ‘অপরাধ’-এর তকমা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সে কথাও কেন্দ্রকে মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘যদি সমকামিতা অপরাধ না হয়, তা হলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক সমলিঙ্গের মানুষের বিয়ের মতো স্থিতিশীল বন্ধনে আবদ্ধ হতে বাধা কোথায়?’’ প্রসঙ্গত, সমলিঙ্গে বিয়ের আইনি স্বীকৃতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে জমে থাকা মামলাগুলিকে একত্র করে গত জানুয়ারিতে একসঙ্গে শুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। মঙ্গলবার ঘোষিত হবে সেই রায়।

আরও পড়ুন
Advertisement