— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বেপরোয়া গতি নিয়ে বেধেছিল বিবাদ। সেই গাড়িরই চাকার নীচে প্রাণ দিতে হল প্রৌঢ়কে। শনিবার রাতে গুজরাতের সুরাটে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, ‘প্রতিশোধ’ নিতেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন ওই চালক।
রবিবার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম জিতেন্দ্র কাঠারিয়া (৫৬)। তিনি সুরাটেরই বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় বাইকে ছেলের সঙ্গে রত্নমালা মোড় এলাকায় ট্র্যাফিক সিগনালে অপেক্ষা করছিলেন ওই প্রৌঢ়। আচমকা একটি টেম্পো বেপরোয়া গতিতে পিছন থেকে এসে তাঁদের বাইকে ধাক্কা দেয়। এর পরেই চালকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। সিগনাল সবুজ হতেই প্রৌঢ়কে ধাক্কা মেরে ফেলে টেনে হিঁচড়ে বেশ কিছু দূর নিয়ে যান টেম্পোর চালক। প্রৌঢ়ের ছেলে টেম্পোটিকে থামানোর চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। তড়িঘড়ি এলাকা ছেড়ে চম্পট দেন চালক।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনিবারই টেম্পোর চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ময়ূর। পুলিশের অনুমান, বচসার জেরে ‘প্রতিশোধ’ নিতেই এই কাজ করেছেন ময়ূর। যদিও ময়ূরের দাবি, রাস্তার মাঝে ওই প্রৌঢ় ও তাঁর ছেলে তাঁর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এর পর দু’জনে তাঁর উপর চড়াও হন। প্রাণে বাঁচতে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন ওই প্রৌঢ়। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। তদন্ত শুরু হয়েছে। ঠিক কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটল, তা এখনও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।