Anubrata Mondal

অনুব্রত-'ঘনিষ্ঠ' অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দিল বীরভূমের কোর কমিটি! নেপথ্যে গোষ্ঠী-রাজনীতি?

২০১৮ সাল থেকেই মামন কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং দলের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত প্রধান থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজকর্মই দেখতেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ উপপ্রধান মামন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০১
অনুব্রত মণ্ডল।

অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

তৃণমূলের কোর কমিটির শনিবারের বৈঠকের পরেই কঙ্কালীতলার অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরানো হলো ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেতা তথা কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ ওহিদ উদ্দিন ওরফে মামনকে। তৃণমূল সূত্রে খবর, আপাতত অঞ্চল পরিচালনা করবে পাঁচ সদস্যের কমিটিই।

Advertisement

অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে মামনকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ ও ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই ২০১৮ সাল থেকেই মামন কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হওয়ার পাশাপাশি অঞ্চল সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পান। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত প্রধান থাকা সত্ত্বেও পঞ্চায়েতের সমস্ত কাজকর্মই দেখতেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ উপপ্রধান মামন।

এর পর থেকে গত কয়েক বছরে মামনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে, এমনকি ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে তাঁর।

অনুব্রত জেলায় ফিরে আসার পর কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েত ও কাঞ্চি দেশ উৎসব কমিটির উদ্যোগে সম্প্রতি কঙ্কালীতলায় একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত। তবে দেখা যায়নি জেলা সভাধিপতি কাজল শেখকে, যা নিয়ে নানা মহলে শুরু হয় জল্পনা। গত বুধবার সেই কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতেই নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি ও বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হানিফ শেখ-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পঞ্চায়েত প্রধানকে নিয়ে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের বিষয়ে একটি বৈঠকে বসেন। কিন্তু সেই বৈঠকে মামন-সহ পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যদের দেখা যায়নি, যা নিয়ে ফের দলের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে। এর পরেই কোর কমিটির বৈঠকে মামনকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ নিয়ে জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের বক্তব্য, “রাজ্য নেতৃত্ব বিগত দিনে যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল, তা হল এক ব্যক্তি এক পদে বহাল থাকবে। মামন উপপ্রধানের পাশাপাশি অঞ্চল সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তাই এক ব্যক্তি এক পদে থাকুক এই আবেদন জানিয়ে আমি নানুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক, নানুরের বিধায়ক, ব্লক সভাপতি ও কোর কমিটিকে চিঠি দিয়েছিলাম। সেইমতো কোর কমিটি তাঁকে অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয়। যদিও তিনি উপপ্রধান পদে বহাল থাকবেন।”

প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই দলীয় বৈঠকের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বার্তা মেনেই প্রায় দু’মাস পর অবশেষে শনিবার বৈঠকে বসে বীরভূমে তৃণমূলের কোর কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ।

Advertisement
আরও পড়ুন