এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ট্যাব-কাণ্ডে গ্রেফতার আরও পাঁচ। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে ওই অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিশ। এঁদের প্রতারণা চক্রের অন্যতম অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে গায়ের করার ঘটনায় এই নিয়ে মোট ১৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার দুপুরে ইসলামপুর থানার সামনে নাকা তল্লাশি করছিল দক্ষিণ দিনাজপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের একটি যৌথ দল। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে চলছিল অভিযুক্তদের খোঁজ। একটি সরকারি বাসে তল্লাশি চালানোর সময় ওই চার জনকে ধরা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ট্যাব-কাণ্ডে জড়িত আরও এক জনের খোঁজ পায় পুলিশ। ওই অভিযুক্ত পেশায় মুহুরি।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃত পাঁচ জনের নাম রোশন জামাল, মুতাব্বর আলি, উসমান আলি, মনসুর আলম এবং মহম্মদ মুজাম্মেল। এঁরা সকলেই চোপড়া বিধানসভা এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, রবিবার মালদহগামী উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাসে বিহারের কিষানগঞ্জ হয়ে দিল্লি চম্পট দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের। গোপন সূত্র মারফত ওই খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
ট্যাব-কাণ্ডে শুধু উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকেই গ্রেফতার হয়েছেন ১২ জন। তা ছাড়াও চলতি সপ্তাহে মালদহ থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, রবিবার যে পাঁচ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে, এঁরাই ট্যাব-কাণ্ডের মূলে রয়েছেন। আর পুরো জালিয়াতির কাজটাই হয়েছে ওই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে। উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা জালিয়াতিতেও নাম উঠেছিল চোপড়ার। চোপড়ার নাম জড়ায় আধার কার্ড জালিয়াতি কাণ্ডে। সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ‘উল্লেখযোগ্য’ জায়গা চোপড়া।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, রবিবার ধৃত পাঁচ জন চোপড়ায় বসে রাজ্য জুড়ে সাইবার জালিয়াতির একটি চক্র পরিচালনা করতেন। সরকারি পোর্টাল ‘হ্যাক’ করে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দেওয়ার এঁরাই অন্যতম কাণ্ডারি।
এখনও পর্যন্ত ট্যাব-কাণ্ডে এ রাজ্যের ১৫টি জেলার নাম জড়িয়েছে। ইসলামপুর থেকে ধৃতদের সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অনুমান করা হচ্ছে, সেখানকার কোনও স্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা সরিয়ে ফেলার তদন্তের স্বার্থেই ওই পদক্ষেপ।