সনিয়া, রাহুল এবং খড়েগ (বাঁ দিক থেকে)। ছবি: পিটিআই।
নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের হাতে মিজ়োরামের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার বার্তা দিল কংগ্রেস। সোমবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। তাতে ঠাঁই পাননি রাজীব গান্ধী থেকে মনমোহন সিংহের জমানা পর্যন্ত পাঁচ দফায় প্রায় ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো প্রবীণ নেতা লাল থানহাওলা।
সোমবার রাহুলের দু’দিনের মিজ়োরাম সফরের ঠিক আগেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে এআইসিসির তরফে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি লালসাতা প্রার্থী হয়েছেন আইজল পশ্চিম-৩ কেন্দ্র থেকে। দলীয় সূত্রে খবর, পাঁচ বছর পরে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে তিনিও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্য দুই ‘দাবিদার’, প্রদেশ কংগ্রেস নির্বাচন কমিটির প্রধান জ়োডিনতুলুঙ্কা রলটে (হাচেক) এবং লালনুনমাওইয়া চুয়াংগো (আইজল উত্তর-১)-ও প্রার্থিতালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন।
১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে মিজ়োরামে কংগ্রেস হেরে গিয়েছিল। ক্ষমতা দখল করেছিল জোরামথাঙ্গার নেতৃত্বাধীন ‘মিজ়ো ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (এমএনএফ)। এ বারও এমএনএফের সঙ্গেই মূল লড়াই কংগ্রেসের। পড়শি রাজ্য মণিপুর থেকে গোষ্ঠীহিংসার কারণে মিজ়ো জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত কিকু-জ়ো জনগোষ্ঠীর উৎখাত হওয়ার ঘটনা মিজ়োরামের বিধানসভা ভোটে বড় ইস্যু হতে চলেছে বলে পূর্বাভাস। আগামী ৭ নভেম্বর এক দফাতেই সে রাজ্যের ৪০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং তেলঙ্গানার সঙ্গেই।