Advertisement
E-Paper

Signal: হোয়াটসঅ্যাপ-কে বিপাকে ফেলেছে ‘সিগন্যাল’, কোথায় এর সুবিধা

সিগন্যাল-এর মতো বার্তা-অ্যাপ বাস্তবিকই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে মার্ক জাকারবার্গের হোয়াটসঅ্যাপকে।

২০১৮ সালে মস্কি মার্লিনস্পাইককে নিয়ে সিগন্যাল তৈরি করেন ব্রায়ান অ্যাকটন।

২০১৮ সালে মস্কি মার্লিনস্পাইককে নিয়ে সিগন্যাল তৈরি করেন ব্রায়ান অ্যাকটন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ১৭:২৬
Share
Save

সম্প্রতি বড়সড় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্ব জুড়ে প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ ছিল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। তার পর আস্তে আস্তে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। কেন এই বিপর্যয়, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছে। এমনিতেই এখন প্রতিযোগিতার বাজারে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে হোয়াটসঅ্যাপ। এক সময় তার যে আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা ছিল, আজ অনেকটাই তা তলানিতে। এর অন্যতম কারণ বাজারে আরও একটি বার্তা-অ্যাপের অনুপ্রবেশ। যার নাম ‘সিগন্যাল’।

সিগন্যাল-এর মতো বার্তা-অ্যাপ বাস্তবিকই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে মার্ক জাকারবার্গের হোয়াটসঅ্যাপকে। বিশেষ করে, হোয়াটসঅ্যাপের দুই জনক ব্রায়ান অ্যাকটন ও জাঁ কম-এর মধ্যে প্রথম জন যেখানে বাজি ধরেছেন তাঁদের ‘ওপেন-সোর্স’ প্রযুক্তির ভিত্তিতে গড়ে তোলা অলাভজনক বার্তা-অ্যাপ সিগন্যালের উপরে।

২০১৮ সালে মস্কি মার্লিনস্পাইককে নিয়ে সিগন্যাল তৈরি করেন ব্রায়ান অ্যাকটন। এই ব্রায়ানই ২০০৯ সালে জাঁ কম-এর সঙ্গে তৈরি করেছিলেন হোয়াটসঅ্যাপ। জাঁ-ব্রায়ানের তৈরি করা হোয়াটসঅ্যাপ জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছনোর পর ২০১৪ সালে তা অধিগ্রহণ করে ফেসবুক। সেই অধিগ্রহণের তিন বছর বাদে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ব্রায়ান। আসলে মার্ক জাকারবার্গের সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপকে বাণিজ্যিক কারণে ব্যবহারের ভাবনার ঘোরতর বিরোধী ছিলেন ব্রায়ান অ্যাকটন, সেই থেকেই বিরোধ।

সিগন্যাল অ্যাপের এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ, তাদের প্ল্যাটফর্মে যাঁরা রয়েছেন তাদের তথ্য কোনও ভাবে নেয় না সংস্থা। দেখায় না কোনও বিজ্ঞাপনও। তবে জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠার পিছনে তাদের আসল কারণ, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বজায় রাখা। অর্থাৎ, দুই ব্যক্তির মধ্যে আদান-প্রদান হওয়া যাবতীয় তথ্য শুধুমাত্র তাঁদের মধ্যেই রাখা। যে কারণেই প্লে-স্টোরে ফ্রি-অ্যাপের ক্যাটেগরিতে সবার উপরে পৌঁছে গিয়েছে সিগন্যাল। অন্য একটি বার্তা-অ্যাপ টেলিগ্রামও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছে তথ্য-সুরক্ষিত রাখার সুবাদে। ফ্রি-অ্যাপ ক্যাটেগরিতে তারা আপাতত দুই নম্বরে।

ব্যবহারকারীদের মতে, সবচেয়ে নিরাপদ অ্যাপ সিগন্যাল। এই অ্যাপে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার সময় ফোন নম্বর ছাড়া কিছুই চাওয়া হয় না। নির্দিষ্ট সময় পর পর অ্যাপটি পিন (পার্সোনাল আইডিন্টেফিকেশন নম্বর) চায়। যা না দিতে পারলে অ্যাপের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অনেকের মতে, এটি অত্যন্ত নিরাপদ। ঝকঝকে তকতকে চেহারার অ্যাপটিকে নিরাপদ ভাবার পিছনে আরও অনেকগুলি কারণ রয়েছে। প্রথমত, ‘সিল্‌ড সেন্ডার’ অপশন। এতে মেসেজ প্রেরক এবং গ্রাহক— দু’তরফই নিজের পরিচয়ের অনেকটা গোপন রাখতে পারেন পরস্পরের থেকে। এ ছাড়াও, একজন ব্যবহারকারী কোনও ছবি সিগন্যালের মাধ্যমে অন্যকে পাঠানোর সময় সেখানে থাকা মানুষের মুখাবয়ব ঝাপসা করে দিতে পারেন। এতে ছবিতে থাকা মানুষের পরিচয়ও সহজেই গোপন রাখা যায়।

Signal App Tech Social Media

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy