Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Durga Puja 2022

নিরাপত্তা সবার আগে, কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে মণ্ডপের সুরক্ষা

জনসমুদ্রের ঠেলায় পুজোয় যখন তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কাকেও একেবারে অবহেলা করা যায় না। মাথায় রাখুন কয়েকটি লক্ষণ যা দেখে বুঝবেন মণ্ডপ সুরক্ষিত কিনা

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:০৭
Share: Save:

পুজোয় সদলবলে ঘুরতে বেরোবেন তো অবশ্যই। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টা মাথায় আছে তো? একে তো কোভিডের সময়, তদুপরি জনসমুদ্রের ঠেলায় যখন তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কাকেও একেবারে অবহেলা করা যায় না। কিন্তু বাড়ি বসে তো পুজো কাটিয়ে দেওয়া যায় না তাই বলে। বরং জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ দেখে চিনবেন কোন মণ্ডপ সুরক্ষিত আর কোনগুলিই বা এড়িয়ে চললে মঙ্গল।

১. কোভিডবিধি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলা কিন্তু গত দুই বছর ধরেই বাধ্যতামূলক। কিছু শিথিলতা এলেও মাস্কের ব্যাবহারে কড়াকড়ি, প্রবেশপথে স্যানিটাইজারের আবশ্যিক প্রয়োগ এবং বাধ্যতামূলক তাপমাত্রা পরীক্ষায় ফাঁকি রয়ে যাচ্ছে যে মণ্ডপে সেখানে পা না ফেলাই ভাল।

২. ভিড় নিয়ন্ত্রণ: লাইনে দাঁড়াতে বিরক্ত লাগলেও পুজোর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ব্যাবস্থা অত্যন্ত উপযোগী। মণ্ডপ থেকে দূরে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা, প্রবেশপথ ও নির্গমনপথ আলাদা হওয়া, নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শনার্থীর থেকে বেশি লোককে একেবারে মণ্ডপে প্রবেশ করার অনুমতি না দেওয়া সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারে যেমন, রুখে দিতে পারে কোভিডের সংক্রমণের সম্ভাবনাও।

৩. বড় স্ক্রিন: মণ্ডপের বাইরে বড় স্ক্রিনে প্রতিমা ও পূজাঅর্চনার লাইভ ভিডিয়ো সম্প্রচারের বন্দোবস্ত রেখে থাকেন বহু পুজো-উদ্যোক্তা। এর ফলে বহু দর্শনার্থী মণ্ডপে ভিড় না বাড়িয়ে বাইরে থেকেই দেখে নেন পুজোর খুঁটিনাটি। ফলে জনস্রোতের সমস্যা সামাল দেওয়া অনেকটা সহজ হয়ে ওঠে।

৪. সিসিটিভি ক্যামেরা: মণ্ডপের ভিতরে একাধিক সক্রিয় সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। এতে রোধ করা সম্ভব অসামাজিক কাজকর্মের সম্ভাবনা। উদ্যোক্তারা মণ্ডপের সব কোণায় নজর রাখতে পারেন বলে তাঁরা সর্বদা সতর্ক থাকেন।

৫. অগ্নিনির্বাপণ ব্যাবস্থা: মণ্ডপে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার অ্যালার‍্ম ও পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা দেখে নিন বা জেনে নিন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে। যদি সবক’টির উত্তর না হয়, তবে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ

৬. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: মণ্ডপে মণ্ডপে বর্জ্য পদার্থ ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান থাকা প্রয়োজন। মণ্ডপের যেখানে সেখানে নোংরা ফেলা হলে প্রতিমাদর্শনের অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর হবে না। পাশাপাশি এতে নানাবিধ রোগ সংক্রামিত হওয়ারও বিপুল সম্ভাবনা। কাজেই সুরক্ষার খাতিরে প্যান্ডেলে ডাস্টবিন থাকা ও তা নিয়মিত সাফাই করার আয়োজন থাকা বাঞ্ছনীয়।

৭. স্বেচ্ছাসেবকদের পোশাকবিধি: ভিড়ের মধ্যে যেকোনও আপদকালীন প্রয়োজনে যদি প্যান্ডেলের স্বেচ্ছাসেবকদের পাওয়া না যায়, তাহলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। উদ্যোক্তারা যদি স্বেচ্ছাসেবকদের চিহ্নিত করার মত কোনও পোশাক নির্ধারণ করে না দেন, তবে সেই মণ্ডপকে মোটেই সুরক্ষিত বলা যায় না। এই পোশাক যত উজ্জ্বল রঙের হবে, পুজোর দিনে চারদিকের রোশনাইয়ের মাঝে তাদের চিনে নেওয়া আরও সহজ হবে।

এই প্রতিবেদনটি আনন্দ উৎসব ফিচারের একটি অংশ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE