প্রতীকী ছবি
ভিড়ের মধ্যে হই হুল্লোড় করে কালীঠাকুর দেখতে বেরনোই পুজোর আসল মজা। সপরিবারে, সাজগোজ করে ফুচকা কিংবা চাটের দোকানে রসনা তৃপ্তিই হোক, বা মেলায় নাগরদোলা চড়া, পুজো মানেই দেদার ভিড় ঠেলা।
সেই ভিড়ের মধ্যে হাঁটতে গিয়ে যদি সন্তানকে খুঁজে না পান? বুকের ভেতর ছ্যাঁত করে উঠলেও পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই পুজোর সময়ে ছোট বাচ্চাদের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়া নিত্য ঘটনা। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতে ভয় না পেয়ে ঠান্ডা মাথায় কী কী পদক্ষেপ করতে পারেন, জেনে নিন এই প্রতিবেদনে।
সন্তানকে নিজের পরিচয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাখুন:
একেবারে ছোটরা ভিড়ে হারিয়ে গেলে সাধারণত বাবা-মায়ের নাম-পরিচয় বলতে পারে না। কারণ তারা অভিভাবকদের ‘বাবা’ বা ‘মা’ বলেই চিনতে অভ্যস্ত। কিন্তু এ রকম কোনও পরিস্থিতিতে সুরক্ষিত থাকার জন্যই নিজেদের পরিচয় ভাল করে শিখিয়ে রাখুন ওদের।
ঠিকানা বা ফোন নম্বর সেলাই করে দিন জামায়:
পুজোর ভিড়ে কোনও ভাবে হারিয়ে গেলে সন্তানকে সহজে খুঁজে পেতে তার জামার ভিতরে বা পকেটে নাম-ঠিকানা লেখা কাগজ সেলাই করে দিন। সন্তানকে সেটা জানিয়ে রাখুন। এর ফলে কখনও এ রকম হলে যে ব্যক্তিই আপনার বাচ্চাকে খুঁজে পান না কেন, অনায়াসে আপনাকে যোগাযোগ করতে পারবেন।
একই জায়গায় থাকতে শেখান কিংবা সুরক্ষিত জায়গা চিনিয়ে রাখুন:
ছোটরা হারিয়ে গেলে ভয়ে-ভাবনায় প্রথমেই বাবা মাকে খুঁজতে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। সে কারণে বাবা-মা তাকে খুঁজতে এলেও হদিস পান না সহজে। তাই বাচ্চাকে রাস্তায় বেরনোর আগে শিখিয়ে দিন, কোনও ভাবে হারিয়ে গেলে যেখানে শেষ বার সে বাবা মাকে দেখেছে, সেখানেই যেন অপেক্ষা করে। অথবা আশপাশে পুলিশ বা নিরাপত্তা রক্ষীর কাছে যেন গিয়ে জানায়, সে হারিয়ে গিয়েছে।
কোনও পরিবারের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইতে শেখান:
এই ধরনের পরিস্থিতিতে একা মানুষের বদলে কোনও পরিবারের কাছে গিয়ে সাহায্য নিতে শিখিয়ে রাখুন বাচ্চাকে। এতে বিপদের আশঙ্কা কমে যায়।
এ ছাড়া সন্তানকে বোঝান ভয় পেয়ে কান্নাকাটি না করতে। ছোটদের কান্না অনেক সময়ে এমন অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যাতে তার সুরক্ষা নিয়ে সমস্যা তৈরি হতে পারে। অভিভাবক হিসেবে নিজের সন্তানকে খুঁজে না পাওয়ার চেয়ে ভয়ের আর কিছুই হতে পারে না। কিন্তু এ রকম সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখুন। সবার আগে পৌঁছে যান সেই জায়গায়, যেখানে শেষ বার বাচ্চাকে দেখেছেন। এ ছাড়া সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে খবর দিন। তাঁরা সত্বর পদক্ষেপ নিলে খুব সহজেই আপনি নিজের সন্তানকে খুঁজে পেতে পারবেন।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy