''ভালবাসার সুরে ঠিকানা''– এই পুজোয় নতুন গান নিয়ে জান কুমার শানু!
১৯৮৮ সাল। মুক্তি পেয়েই হিট কুমার শানুর পুজোর গান 'কল্কা পাড়ের নীল শাড়িতে প্রথম দেখেছি।' এই ২০২২-এ মুক্তি পেল শিল্পী–পুত্রের নতুন গান 'ভালবাসার সুরে ঠিকানা'। আনন্দবাজার ডিজিটালের আনন্দ উৎসবে এক্সক্লুসিভ জান কুমার শানু।
গানের চৌহদ্দিতেই বেড়ে উঠেছেন জান। এ বছর তিনি প্রথম পুজো দেখবেন কলকাতার। তাই এ শহরের মানুষের জন্য নিয়ে এসেছেন তাঁর নতুন গানের ডালি। নতুন প্রজন্মের র্যাপগান ও রিদম ঘিরে দেদার উদ্দীপনার যুগে তিনি এখনও বিশ্বাস রাখেন সুরেই। গানের ক্ষেত্রে, তিনি বাবার মতোই, জানালেন জান।
কুমার শানু হয়তো এ গান শুনেছেন সকলের আগে! গান হিট করতে বিশেষ কিছু টিপস্ও নিশ্চয়ই দিয়েছেন পুত্রকে! এমনটা মনে হতেই পারে এ খবর পেয়ে। তবে আদতে পুরো ব্যাপারটাই নাকি চুপিসাড়ে ঘটিয়েছেন জান। তাঁর দাবি, বাবাকে সারপ্রাইজ গিফট দিতেই তাঁর এই আয়োজন। এই উদ্যোগে জান সঙ্গে পেয়েছেন অরূপ প্রণয়াম ও প্রিয় চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁদের সঙ্গে জানের সম্পর্ক স্নেহের। 'প্রিয়তমা মনে রেখো' গানটিতে কুমার শানুর জন্য সুর দিয়েছিলেন অরূপ, জানের প্রিয় আঙ্কল। সে গান কুমার শানুর কেরিয়ারে অন্যতম। জানের 'ভালবাসার সুরে ঠিকানা' গানটি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে তাঁর নিজের মা ও চিন্ময়ী দুর্গা মায়ের অনেক আশীর্বাদ আছে বলেই মনে করেন শিল্পী।
বাবা জনপ্রিয় শিল্পী কুমার শানু। তারকাসন্তানের তকমা এবং তার জেরে তুলনা যে তাঁর সঙ্গী হবেই, তা বিলক্ষণ জানেন শানু-তনয়। তবে তাঁর মতে, এই তুলনা, সমালোচনা তাঁর পরম পাওয়া। এবং সবের জন্য তিনি কৃতজ্ঞ বাবা কুমার শানুর কাছে। নতুন পুজোর গান তাই আসলে পরিবারের চিরাচরিত রীতির প্রতিই তাঁর শ্রদ্ধাজ্ঞলি।
কথায় কথায় জান খবর দিয়েছেন, এই পুজোতে মুক্তি পেল বাবা কুমার শানুরও একটি গান। পরিবারে তাই এখন খুশির হাওয়া। এই মুহূর্তে জান গান মুক্তির অপেক্ষায়। তার পরেই গান শোনাবেন বাবাকে। একেবারে সামনাসামনি দেখবেন বাবার অভিব্যক্তি। এর আগে বহু অনুষ্ঠান করেছেন। তিনি এর আগে। সেই সব মঞ্চে বাবার হিট গান না শুনিয়ে নিস্তার মেলেনি। এ নিয়ে গর্বেরও শেষ নেই জানের। তাঁর মতে, এখন তাঁর পরিচয় তিনি কুমার শানুর ছেলে। আগামীতে এক দিন জানের বাবা হিসেবে কুমার শানুর পরিচিতি তৈরি করারও স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস, সময় লাগলেও নিজের এই লক্ষ্যে তিনি এক দিন ঠিকই পৌঁছবেন।
তাঁর নতুন গান জুড়ে আছে রেট্রো ফিল। জান বিশ্বাস করেন, এই বিশেষ অনুভূতি কলকাতার মানুষের মন কাড়বেই। শ্রোতাদের ফিরিয়ে দেবে পুজোর গানের নস্টালজিয়ায়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy