Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Kojagori Purnima Rituals

কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে খোলা আকাশের নীচে রাখুন এই খাবারটি, মিলবে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ

হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয়, এই শারদ পূর্ণিমার রাতে স্বয়ং দেবী লক্ষ্মী স্বৰ্গ থেকে মর্ত্য ভ্রমণে আসেন। তাই এই দিনে দেবীর বিশেষ পুজো অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ০০:৪৩
Share: Save:

হিন্দু ধর্মে আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমার এক বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র মতে, এই শারদ পূর্ণিমায় স্নান ও দান করলে পুণ্য লাভ হয়। বাঙালি ঘরে লক্ষ্মী পুজো তো বটেই, এই রাতে অনেক জায়গায় হয় চন্দ্রমার পুজো। ভারতের কোনও কোনও জায়গায় এই রাত আবার রাস পূর্ণিমা বা শারদ পুনম নামেও পরিচিত। দেশের প্রায় সব জায়গাতেই এই শারদ পূর্ণিমাকে বিশেষ ভক্তিভরে পালন করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ।

হিন্দু শাস্ত্রে মনে করা হয়, এই শারদ পূর্ণিমার রাতে স্বয়ং দেবী লক্ষ্মী স্বৰ্গ থেকে মর্ত্য ভ্রমণে আসেন। তাই এই দিনে দেবীর বিশেষ পুজো অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। এই পূর্ণিমায় খোলা আকাশের নীচে ক্ষীর রাখার প্রচলন রয়েছে। মনে করা হয়, খোলা আকাশের নীচে সেই ক্ষীরে পূর্ণিমার চাঁদের আলো এসে পড়ে। আর সেই আলো থেকেই তাতে অমৃত বর্ষণ হয়। রাতভর খোলা আকাশের নীচে রেখে দেওয়া সেই ক্ষীর পরদিন ঈশ্বরের কাছে নিবেদনের পরে সপরিবারে ভাগ করে খাওয়া হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এতে গোটা পরিবারের শরীর-মন সুস্থসবল থাকে। অপর দিকে যাঁদের চন্দ্রাদোষ আছে, এই ক্ষীর গ্রহণ করলে তাঁদের সেই দোষ কেটে যায়।

শুধু তাই নয়। বিশ্বাস এ-ও বলে, যেহেতু শারদ পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী স্বয়ং মর্ত্যে নেমে আসেন, তাই সারা রাত ক্ষীর বাইরে রাখলে সেই পরিবার পায় দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ।

আপনিও কিন্তু এ বছরের শারদ পূর্ণিমায় নিজের হাতে ক্ষীর বানিয়ে এ ভাবে মা লক্ষ্মীকে নিবেদন করতে পারেন। মিলবে দেবীর আশীর্বাদ। চাঁদের অমৃত রশ্মির গুণে এই ক্ষীর আপনাকে তো বটেই, পুরো পরিবারকে রাখবে সুস্থসবল। ঘর ভরে থাকবে সুখ-সমৃদ্ধিতে।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE