পুজো এক্কেবার দোরগোড়ায়। এই অতিমারির সময়ে শেষ মুহূর্তে নিজেকে নজরকাড়া করে তুলবেন কেমন করে? রইল কিছু টিপস।
১)নিমপাতা ফুটিয়ে জলটা ছেঁকে রাখুন। সেই জল দিয়ে দিনে তিন বার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২) যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁরা অ্যালোভেরা গাছের পাতা ভেঙে যে জেলিটা পাওয়া যায়, তা মুখে মাখুন। এতে খুব তাড়াতাড়ি ত্বক উজ্জ্বল হবে।
৩) যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাঁরা সবুজ মুগ ডাল বেটে ত্বকে ব্যবহার করুন। অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বকে জেল্লা আসবে। ঘামের সমস্যা থেকেও রেহাই পাবেন।
৪) মুসুর ডাল রাতে ভিজিয়ে রেখে, পরদিন সকালে সেটা বেটে সপ্তাহে ৩/৪ বার ত্বকে অবশ্যই লাগান। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ত্বক হয়ে উঠবে চোখে পড়ার মতো।
দই ও মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান।
৫) শশা বেটে ত্বকের খোলা জায়গাগুলোতে লাগান। রাতারাতি ফারাক বুঝতে পারবেন। এতে ত্বকে দারুণ উজ্জ্বল ভাব আসবে।
৬) চোখের নীচে এবং চার পাশে কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল থাকলে আলুর রস নিয়মিত ব্যবহার করুন।
৭) গ্রিন টি বানানোর পরে টি-ব্যাগটা হালকা করে ত্বকে ব্যবহার করুন।
৮) আজ থেকেই নিয়ম করে প্রচুর পরিমাণে জল খান। নিয়ম করে আখরোট এবং আমন্ডও খান প্রতিদিন।
আরও পড়ুন: ফটো ফ্রেম বা পোশাক, পুজোর উপহারে ‘ব্যক্তিগত ছোঁয়া’ কী ভাবে
৯) রোদ, গরম, ঘাম, প্রচুর দূষণের মধ্যে আমরা থাকি। এই সবের কারণে চুলের আর্দ্র ভাব একদম চলে যায়। ফলে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ। মেথি বেটে স্ক্যাল্পে লাগালে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি প্রাণ ফিরে পাবে আপনার চুল।
১০) দই ও মধু মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে স্ক্যাল্পে লাগালে চুল নিজে থেকেই কন্ডিশনিং হবে।
১১) নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে গরম করে লাগালে চুল খুব তাড়াতাড়ি নরম হবে।
শশা বেটে ত্বকের খোলা জায়গাগুলোতে লাগান।
১২) ১২) শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ গরম তেল লাগিয়ে রেখে তার পরে শ্যাম্পু ও কন্ডিশিনিং করতে হবে। সব শেষে সিরাম লাগাতে হবে। এই সাধারণ ধাপগুলো মেনে চললেই প্রাণ ফিরে পাবে নির্জীব চুল।
১৩) পুজোর এক সপ্তাহ আগে সম্ভব হলে পার্লারে গিয়ে স্পা বা নারিশিং ট্রিটমেন্ট করালে ভাল হয়। কেরাটিন ট্রিটমেন্টও খুব জরুরি চুল সুস্থ রাখার জন্য। তবে আগে থেকে বুকিং করে যাবতীয় সতর্কতা নিয়ে তবেই পার্লারে যাবেন।
আরও পড়ুন: গাঁদা কিংবা গোলাপ, নানা ফুলের ব্যবহারেই জেল্লাদার ত্বক
১৪) রাস্তার ধুলোবালিতে তো চুল নষ্ট হবেই। পার্লারে গিয়ে যদি কেউ স্টাইলিং প্রোডাক্ট দিয়ে চুল সেট করেন অথবা বাড়িতেও যদি জেল বা ওয়্যাক্স দিয়ে চুল সেট করে ঠাকুর দেখতে যান, তবে বাড়ি ফিরে এসে যতই ক্লান্ত লাগুক, অবশ্যই গরম তেল (হট অয়েল) লাগিয়ে শ্যাম্পু করুন। কোনও কৃত্রিম প্রোডাক্ট লাগিয়ে ঘুমোবেন না।
১৫) পুজো শেষ হয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায় খুব চুল উঠছে। কারণ ওই ক’দিন স্টাইলিংয়ের কারণে প্রচুর অত্যাচার সহ্য করে আমাদের চুল। সিঁদুর খেলার ফলেও চুলের ক্ষতি হয়। সাদা ভিনিগার ও জল সমান অনুপাতে (ওয়ান ইজ টু ওয়ান রেশিও) মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগালে উপকার পাবেন। চুল পড়া বন্ধ হবে। খুসকিও দূর হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy