ছোটবেলার লক্ষ্মীপুজো বলতেই চোখে ভেসে ওঠে আমার নিষ্ঠাভরে আলপনা দেওয়া। আমি আলপনা দিতাম আর আমার বোন গুটি গুটি পায়ে এসে তা নষ্ট করে দিত। দীর্ঘ সময় পেরিয়েছে, এখন আমার বোনের জুতোয় পা গলিয়েছে ওর মেয়ে। গতকাল, বুধবার আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো ছিল। লেখার মাধ্যমে হয়তো বোঝানো যাবে না। কিন্তু কাল সারা দিন ঘরের সমস্তটা জুড়েই আমার বোনঝির গলার আওয়াজ!
বরাবরই পুজোর দায়িত্ব একেবারে আমার হাতে থাকে না। এই বিষয়ে আমাদের বাড়ির প্রধান ব্যক্তি হলেন আমার বাবা। পুজোর সরঞ্জাম কেনা থেকে শুরু করে মূল দায়িত্বটাই থাকে বাবার কাঁধে। পাশাপাশি সমান ভাবে সবটা সামলান আমার মা এবং বোন। আর আমার বাড়ির পরিচারিকা দিদি তো রয়েছেনই।
খাওয়াদাওয়ার দায়িত্বটাও আমার মায়ের হাতে। কিন্তু খাবার চেখে দেখার বিষয়ে আমি বড় বিচারক! বোন খাবারের মেনুটা ঠিক করে দেয়। আমি কিন্তু কিছু করি না। আমি শুধু ছবি তুলব!
খিচুড়ি ভোগ এবং পায়েস ছাড়া যেন লক্ষ্মীপুজো সম্পূর্ণ হয় না। এ বারের ভোগেও তাই রয়েছে। খিচুড়ি, পায়েস, লাবড়া, আলুর দম। আর আমাদের বাড়ির লক্ষ্মীপুজোর ভোগের একটি বিশেষ পদ হল ইলিশ মাছের ভাপা। এছাড়াও পায়েস, চাটনি আর নাড়ু তো থাকতেই হবে পাতে। এই ভাবেই যেন প্রতি বছর মায়ের পুজো দিতে পারি। আরও যেন ভাল ভাল কাজ করতে পারি এবং অবশ্যই আমার পরিবার যেন সব সময় ভাল থাকে। মায়ের কাছে আমার চাওয়া বলতে এটাই!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy