এত দিনের জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন তিনি!
তিনি নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়। সমাজ মাধ্যমে ‘নন্দিনীদি’ নামে জনপ্রিয়। কলকাতার অফিস পাড়ায় রাস্তার ধারে ভাতের হোটেল চালান। তা’ও বাঁধানো দোকানে নয়। ফুটপাতে ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট একটি জায়গায়।
এ বার নন্দিনী বিয়ে করছেন। পাত্র কে? শ্বশুর বাড়ি কোথায়? বিয়ে কবে? বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে।
কী বললেন তিনি? শোনানো যাক। তার আগে নন্দিনীর জীবনের লড়াইটা একটু বলতেই হয়।
সময়টা লকডাউনের। সবাই আতঙ্কের মধ্যে। সেই সময় পরিবারকে বাঁচাতে লড়াই করতে নামেন নন্দিনী। ডালহৌসির কয়লাঘাটা অঞ্চলে ফুটপাতের উপর একটি পুরনো দোকান নিজেরা নেন। সেটিই বাবা-মেয়ে চালাতে থাকেন। তার পরে এক প্রকার দোকানের অনেকটা দায়িত্ব নিজেই সামলাতে উঠে পড়ে লাগেন নন্দিনী। সমাজ মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়াতে থাকে।
কেতাদুরস্ত চেহারা। কথায় বার্তায় তুখড়। অতিথি সেবায় তাঁর খ্যাতি তুঙ্গে। ব্যক্তিত্বময়ী। কিন্তু স্পষ্টবক্তা।
হোটেলে খেতে আসা তাঁর নিয়মিত গ্রাহকদের জন্য এ বার একটি সুখবর। ক’দিনের মধ্যেই শাঁখা-পলা হাতে দোকানে দেখা যেতে পারে তাঁকে!
নন্দিনীর দোকান নিয়ে বর্তমানে একটা সমস্যা চলছে। সেই সমস্যার আবহেই সাত-পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন তিনি। পাত্র কলকাতারই। তিনিও হোটেলের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। দীর্ঘ দিনের পরিচয় তাঁদের। ছোটবেলার বন্ধু। বন্ধুত্ব থেকে বেশ ক’বছর আগে তা প্রেমের পথে বাঁক নিয়েছে। তবে বিয়ে কবে, তা নিয়ে এখনই খোলসা করতে চাইলেন না তিনি।
আজ সকালেই আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় নন্দিনীর সঙ্গে। বিয়ে নিয়ে সব কিছু খোলসা করতে তিনি নারাজ। হবু বরের নামও জনসমক্ষে আনতে চাইছেন না আপাতত।
বিয়ের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি বিয়ে করছি। বিয়ের বয়স হয়েছে। করতেই তো হবেই। তবে এখনও বিয়ের তারিখ ঠিক হয়নি।’’
কোথায় হবে বিয়ে? প্রশ্ন করা হলে স্পষ্টবাদী নন্দিনীর সোজাসাপটা জবাব, ‘‘আমি কোনও তারকা নই। রাস্তার ধারে দোকান চালাই। শহর ছাড়িয়ে অন্য কোথাও বিয়ে করব, ভাবতেই পারি না।’’
দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিয়ে হবে। মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন, জানতে চাওয়া হলে হেসে বললেন, ‘‘আগে বিয়েটা ঠিক হোক। সম্পর্কটা সামাজিক পরিচিতি পাক। তার পর মধুচন্দ্রিমা। এই নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি।’’
বিয়ের তারিখ নিয়ে নিজে কিছু বলতে না চাইলেও, একটি সূত্র মারফত শোনা গেল, খুব তাড়াতাড়ি কনের সাজে দেখা যাবে তাঁকে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে নাকি পুজোর মরসুমের মধ্যেই বিয়ে করবেন তিনি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy