শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়
শবর দাশগুপ্ত কিংবা বব বিশ্বাস, তাঁর অভিনয়ে জীবন্ত হয়ে ওঠে সব চরিত্র। হতে পারতেন সত্যজিৎ রায়ের তোপসেও। ঠিকই ধরেছেন, তিনি শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। পুজোর কথা উঠতেই ‘কহানি’র বব বিশ্বাস যেন একেবারে অন্য মেজাজ। ছোটবেলার হুল্লোড় থেকে বড়বেলার প্রেম, সব নিয়েই অকপট!
সবার প্রিয় অপুর পুজোর প্ল্যান কিন্তু একটু আলাদা। পুজোর ভিড় একদমই না-পসন্দ। তাই পুজোর ক’দিন ভিড় থেকে নিস্তার পেতে নিরুদ্দেশেই চলে যেতে চান শাশ্বত। যদিও এ ব্যাপারে পাশে নেই পরিবার।
ইচ্ছে থাকলেও ভিড়ের মধ্যে বেরোতে পারেন না স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে। তাই ভরসা বন্ধুরা। তাঁদের সঙ্গে প্রতিবারই গাড়ি নিয়ে কোথাও একটা ঘুরে আসেন অভিনেতা। কোভিডের জন্য দু’বছর তাতে ভাটা পড়লেও এ বারে কিন্তু প্ল্যান রেডি। কংক্রিটের জঙ্গল থেকে ক’টা দিন ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়বেন তিন বন্ধুতে। গন্তব্য অজানা।
ক্লাস এইট অবধি শাশ্বতর পুজো কেটেছে দাদুর পাড়ায়, বেলতলা রোডে। ঘোরাঘুরি থেকে পুজোর মজা, সব কিছুরই সঙ্গী ছিলেন দাদুই। পরে অবশ্য শাশ্বত চলে আসেন রাজা বসন্ত রায় রোডে। পাড়ার ক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা থেকে পুজোর কাজ, সবেতেই থাকতেন তিনি। তাঁর কথায় “ওই চাঁদা তোলা থেকে বিসর্জন অবধি, সবেতেই থাকতাম!”
পুজোর প্রেমই বা বাদ যাবে কেন! চাঁদা তোলার ফাঁকফোকরেই দিব্যি চলত চোখে চোখে কথা। পুজোর আগের দিনগুলো বিশেষ একজোড়া কাজল চোখের অপেক্ষায় কাটত। আর তার দেখা পেলেই টলে উঠত কিশোর মন। একটি বার জানলার পর্দা সরার অপেক্ষায় কিংবা বারান্দায় আসার আশায় কেটে যেত সারা বেলা। মা দুর্গার কাছে কত যে প্রার্থনা করতেন!
সে সব দিন এখন স্মৃতির খাতায়। পুজোয় মা দুর্গার কাছে এখনকার শাশ্বতর চাহিদা সামান্যই। সুখ সমৃদ্ধি বা ধন সম্পদ নয়, শুধু এক টুকরো শান্তি। বব বিশ্বাস তাতেই খুশি!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy