'বৌদি ক্যান্টিন' ছবির মিউজিক লঞ্চ
পুজোয় আসছে 'বৌদি ক্যান্টিন', এক অন্য স্বাদের গল্প নিয়ে। শ্যাডো ফিল্মস এবং রোডশো ফিল্মসের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটির পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এক গৃহবধূর নিজের রান্নার দক্ষতায় ভর করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর গল্প বলবে এ ছবি।
ইতিমধ্যেই 'বৌদি ক্যান্টিন' নিয়ে প্রবল উত্তেজনা দর্শক মহল। পুজো শুরুর আমেজে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, পঞ্চমীতে মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি। অভিনয়ে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, অনুসূয়া মজুমদার প্রমুখ। শ্রীজাতের কথা ও জয় সরকারের সুরে গানগুলি গেয়েছেন ইমন চক্রবর্তী, অর্কদীপ মিশ্র, ঈশান মিত্র, মধুমন্তী বাগচিরা। তার মধ্যে এখনই ‘তিড়িং বিড়িং’, ‘অল্প আঁচেই রান্না হোক’, ‘একলা হতে হতে’ বেশ জনপ্রিয়।
২১ শে সেপ্টেম্বর, বুধবার 'বৌদি ক্যান্টিন'-এর গান প্রকাশ হল সল্টলেকে। পরমব্রত, শুভশ্রী, জয় সরকার, শ্রীজাতের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে বর্ণময় হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠান। পরিচালক পরমব্রতের কথায়, “এই ছবির গল্প খুব সহজ। আমরা বড় বেশি জটিল করে ভাবি সব কিছু। কিছু বিষয়ের ক্ষেত্রে সত্যিই মনে হয়, এগুলো নিয়ে কাজ করি। মানুষের গল্প বলি পর্দায়। সেই ভাবনা থেকেই এই ছবি।”
গল্পের প্রধান চরিত্র পৌলমীর ভূমিকায় শুভশ্রী। বাস্তবে মা হওয়ার পরে এটি তাঁর প্রথম ছবি। তিনি বলেন, “এই ছবিটা টাটকা ছবি আমার জন্য। যে ক’টা ছবি মুক্তি পেয়েছে এর আগে, সেগুলো বাসি ছিল। এটা আমি এ বছর রান্না করেছি এবং এ বছরই পরিবেশন করছি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্কদীপ এবং ঈশানও। ঈশান ধরলেন ‘অল্প আঁচেই রান্না হোক’। অন্য দিকে, অর্কদীপ দু’কলি গেয়ে শোনালেন ‘তিড়িং বিড়িং’। সঙ্গে গলা মেলালেন জয় সরকার। সব মিলিয়েই একেবারে জমজমাট সঙ্গীত সন্ধ্যা!
ছবির গান নিয়ে সুরকার জয় বলেন, “মেদহীন একটা ছবি। গানগুলো সে ভাবেই এসেছে। তিনটে তিন রকমের গান। একটা হালকা চালের। একটা রোজকার জীবনের সঙ্গে রান্নার কিছু উপকরণ মিলিয়ে দেওয়া গান। আর একটা খুব মানসিক টানাপড়েনে থাকা সময়ের গান। তিনটে তিন রকম স্বাদের।”
শ্রীজাতের কথায়, “বৌদি ক্যান্টিন যেমন অন্য একটা গল্প নিয়ে আসছে মানুষের কাছে, তেমনই অন্য রকম গানও নিয়ে আসছে। পরম নিজেও গানের মানুষ। ওর মধ্যে সুর আছে। আমাদের দিয়ে চমৎকার সমস্ত গানের কাজ করিয়ে নিয়েছে। এ বার শ্রোতাদের যদি ভাল লাগে, আমাদের পরিশ্রম সার্থক।”
শেষপাতে পরমব্রতের সংযোজন, “আসলে অনেকটা স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালবাসা জড়িয়ে আছে গোটা ব্যাপারটায়। বৌদি কখনও দিদির মতো, কখনও মায়ের মতো, কখনও বন্ধুর মতো। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ইদানিং বৌদির সঙ্গে কিছু অন্য অনুষঙ্গ জড়িয়ে ফেলার প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের ছবিতে একটা পরিবারে যে ভাবে বৌদিকে আদরের ডাকে ডাকা হয়, সে ভাবেই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।”
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy