Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Durga Puja 2020

দুর্গা পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পছন্দ করে শাড়ি পাঠাবেন, অথচ নিজে কিচ্ছু নেবেন না!

সারা বছর মিষ্টি খেতে পারি না, পুজোর সব ক’টা দিন মিষ্টি খাব।

মিমি চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪৫
Share: Save:

পুজো মানে মায়ের আঁচলের গন্ধ, শিউলি ফুলের ছোঁয়া। যেখানেই থাকি, কাজের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, পুজো এলেই শহরের মধ্যেও প্রকৃতির সঙ্গে একটা যোগ তৈরি হয় আমার।

আজ সকালেই যেমন নীল আকাশ মাখা রোদ দেখে মনে হল এই তো পুজো এসে গেল! এ বার সব ঠিক হয়ে যাবে। ভাবছিলাম, ছোটবেলায় আমি আর দিদি শিউলি ফুল কুড়োতে যেতাম। বেশ হাল্কা চালে রেষারেষি হত- কে কত বেশি ফুল তুলে আনতে পারবে। বড় হলাম, পুজোর মানেও বদলাল। পুজো এখন আলো আর হাসির মরসুম- সারা বছর এই দিনগুলোর অপেক্ষায় থাকি।

তবে এ বার পুজোটা মনখারাপের। গড়িয়াহাটের রাস্তা দিয়ে দিব্যি সবাই ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে। কলকাতা এমন দেখেছে কখনও? পুজো আসছে এই মজাটা তো গড়িয়াহাট আর নিউ মার্কেটের ভিড়েই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এইগুলো দেখার জন্যই আমি কোনও দিন কলকাতার দুর্গাপুজো বাদ দিই না, কোত্থাও যাই না। কলকাতায় এসেই যে পুজোর মজা, হুল্লোড় দেখেছি, চিনেছিও!

আরও পড়ুন: ভয় উড়িয়ে বাড়ির পুজোতেই ডবল মজা!

কিছু দিনের জন্য লন্ডনে থাকব শুটে। পুজোর আগে কলকাতা ছাড়লেও ঠিক পুজোর আগের দিনই ফিরব কলকাতায়। লন্ডন থেকে শুট সেরে যখন ফিরব, তখন নিশ্চয়ই দেখব আমার শহর সেজে উঠেছে আলোয়। ‘ড্রাকুলা স্যার’-এর পোস্টারও নিশ্চয় দেখতে পাব। আর ‘এস ও এস কলকাতা’-ও আসছে, আমাদের ছবি!

নুসরত আমাকে পুজোয় শাড়ি দেবেই।

আমার কাছে পুজো মানে পজিটিভিটি। এত বড় ইন্ডাস্ট্রি আমাদের, শুধু ওটিটি দিয়ে তো হবে না। খুলে গেল সিনেমা হল। না হয় ৫০ জন মিলেই লোকে সিনেমা হলে এসে দেখুক। শুরু তো হোক! আমার মনে হয়, এ বার পুজোয় মানুষ সিনেমা হলে যাবেই। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইন্ডাস্ট্রিকে এত সহযোগিতা করেছেন, ভাবাই যায় না। সিনেমা হল কিন্তু ওঁর চেষ্টাতেই খুলে গেল। দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ) কারও কাছে কিচ্ছু নেন না। অথচ নিজে প্রত্যেক বার দুর্গা পুজোয় পছন্দ করে শাড়ি পাঠান। মা-বাবা জন্মদিন হয়তো ভুলে গেল, কিন্তু দিদি জন্মদিন পুজো কিচ্ছু ভোলেন না।

আমি নিজে অনলাইনে কেনাকাটা করি। আমার সঙ্গে যাঁরা সারা বছর কাজ করেন, তাঁদের পুজোর উপহার দিই। নিজের জন্য কিছু কিনি না। আমার যাঁরা ডিজাইনার আছেন, তাঁরা দেন। মা থাকলে মা হয়তো একটা কাঞ্জিভরম কিনে দিল। তবে নুসরত আমাকে পুজোয় শাড়ি দেবেই। আর এখন তো পুরো রঙ্গোলি- ওর। তাই যে শাড়ি বলব, বাড়ি চলে আসবে। আরও কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের কিছু উপহার পাঠাব। শীত আসছে, তাই হয়তো শাল উপহার দেব। কারও বই-খাতা হলে সুবিধে হয়। কিছু জায়গা আছে, সেখানে ওই উপহার পাঠাব। দেওয়ার মধ্যে অদ্ভুত এক আনন্দ যেন। আর সেই আনন্দ পুজোতেই মেলে।

আরও পড়ুন: সিদ্ধি না খেলে পুজোই মাটি, এ বছর ট্রাই করব?

তবে পুজোয় নিজে কিছু না কিনলেও খাওয়া নিয়ে কোনও আপস করি না মোটেই। সারা বছর মিষ্টি খেতে পারি না, পুজোর সব ক’টা দিন মিষ্টি খাব। নবমীর দিন আমি সবাইকে খাওয়াই। আমার অ্যাপার্ট্মেন্টের সবাই, ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা, নুসরত, পার্নো।

করোনা থাকলেও এ বারও মা কিন্তু আসছেন! আর দুর্গা পুজো মানেই নারীশক্তির উপাসনা। ছোট ছোট অনুভূতির মধ্যে দিয়ে এ বারও ভরে যাক আমাদের পুজোর পেয়ালা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy