নিউ নর্মাল জীবন। নিউ নর্মাল পুজো। আমেজ একেবারে ছড়ায়নি, তা কিন্তু নয়। করোনাসুরের দৌরাত্ম্যে ২০২০-র পুজো বারমুখো কম, ঘরমুখো বেশি। যাঁরা সারা বছর সাধারণের বিনোদন উপকরণের জোগানদার, সেই সব তারকার পুজো এ বছর কেমন কাটবে? অকপট স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতাভরী চক্রবর্তী।
মাইকে নম: মাধব শুনতে পেলাম
‘‘এ বছর আমার পুজো নেই। শুধুই করোনাকালের জন্য নয়, এ বছর আমার বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায় নেই। এমন এক পুজোর আগেই মা-ও চলে গিয়েছিলেন। মেয়ে অন্বেষা, বোন অজপাকে নিয়েই ঘরে বসে মোটামুটি কাটবে পুজো।’’
অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম বলছে, পঞ্চমী থেকেই এত বিষাদের মধ্যেও পুজোর গন্ধ ছুঁয়েছে তাঁকেও। চওড়া লাল পাড়, সাদা শাড়িতে তিনিই যেন জ্যান্ত মা দুর্গা! সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতেও ভোলেননি, ‘‘শুভ পঞ্চমী।
সবার পুজো ভাল কাটুক। সুস্থ থাকুন সববাই। দুগ্গা দুগ্গা….’’
আরও পড়ুন: চার সুন্দরী, পুজো সংখ্যা, তিনটে গান...
২০২০ অবশ্য একেবারে খালি হাতে ফেরায়নি স্বস্তিকাকে। উপহার হিসেবে পেয়েছেন পুজো রিলিজ, অর্জুন দত্তের ‘গুলদস্তা’। যেখানে তিনি তুখোড় মারওয়াড়ি সেলসম্যান ডলি বাগরি।
ষষ্ঠীতে অভিনেত্রীর ভিন্ন রূপ। ফুলের টিকলি, হাত বালা, খোঁপায় গোঁজা আধ ফোটা গোলাপে যেন ফুলের মতোই সুন্দর, স্নিগ্ধ। পুজোর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন অনুরাগীদের সঙ্গে, ‘‘পাড়ায় ঢাক বাজছে। মাইকে নমঃ মাধব শুনতে পেলাম। এইটুকু পেলেই তো হল। শুভ ষষ্ঠী।’’
বাড়িতে থাকব বলে সাজব না নাকি!
বিস্মিত প্রশ্ন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নিজে বাড়ি থাকবেন। সবাইকেও সেটাই অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি অভিনেত্রীর সোজাসাপটা জিজ্ঞাসা, ‘‘ঘরে থাকলে কি সাজগোজ করতে নেই? মন ভাল করতে সাজের তো জুড়ি নেই।’’
এই আপ্তবাক্য মেনে নিজেও চেরি হেয়ার কালারে রাঙিয়ে নেবেন চুল। যাতে রঙিন হয় মনও।
আরও পড়ুন: পুজোর সব শপিং একা হাতে সামলে দিল নন্দিনীই
আর পাঁচ জন বাঙালির মতোই শ্রাবন্তীর কাছেও শরতের এই সময়টা সেরা সময়। কারণ, দুর্গা পুজো। মনের কাছের এই সময়কে মনের মতো করে সাজাতে অভিনেত্রী কী করছেন? পেডিকিওর, ম্যানিকিওর, রূপটানের যাবতীয় উপায়ে মাথা থেকে পা পর্যন্ত যত্নে রাখছেন নিজেকে। যাতে সামান্য মালিন্যও ম্লান করতে না পারে তাঁর আনন্দ। এবং অবশ্যই তার সবটুকু বাড়ি বসে।
বাড়ি সাজবে সেরা উৎসবে
সবাই যখন উৎসবে নিজেকে সাজাতে ব্যস্ত তখন নিজের বদলে বাড়ির সৌন্দর্য ফেরাতে ব্যস্ত ঋতাভরী চক্রবর্তী। ‘‘প্রতি বছরই পুজোর আগে মনের মতো করে বাড়ি সাজাই।’’ যেমন? “ আরাম করে বসার জন্য বসার ঘরে রাখা কুশনগুলোকে নানা রঙের নতুন কভার পরিয়েছি। মেঝেয় পেতেছি ফ্লোর রাগ। বেতের সেন্টার টেবিল জুড়ে টুনি বাল্বের জোনাকি আলো!’’ বলছেন কন্যে।
বসার ঘর সবাই সাজান। ঋতাভরী একই রকম মনোযোগে সাজান তাঁর একান্ত নিজস্ব জগৎ ব্যালকনিকেও। সাজানো বারান্দা তাই আরও উজ্জ্বল রাগ, কুশন কভার আর ক্যান্ডেল স্ট্যান্ডে। এখানে বসেই এ বছর ঋতাভরী কাটিয়ে দেবেন পুজোর চারটে দিন- স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে। থাকবে মা শতরূপা সান্যালের সঙ্গে খুনসুটিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy