যদিও পুজোর ফটোশুটে অনেকেই আমায় ধুতি পরতে দেখেছেন। ওটা শুধুই ছবি তোলার উপলক্ষে। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
গত বছর পুজোর আগে দম ফেলার ফুরসত ছিল না। ওই সময়েই প্রথম সম্প্রচার ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকের। প্রচণ্ড খাটাখাটনির পর তাই মারাত্মক ক্লান্ত। পুজোয় তাই একটাই চাওয়া ছিল, চার দিনের ছুটি। ঠিক করেছিলাম, শিলং বা দার্জিলিংয়ে ছোট্ট ট্যুরে যাব। হল কই? ফলে, মা, বন্ধু, বাড়ির সবার সঙ্গে মিলেমিশে হুশ করে যেন পাখা মেলে উড়ে গেল চারটে দিন। বাইরের ভাল-মন্দ খাওয়া ছিলই। ক্লান্তি তাড়াতে দেদার ঘুম। এত কিছুর মধ্যেও জিম বন্ধ ছিল না। ফিটনেসের সঙ্গে আপোস কোনও কালেই করিনি।
ছেলেবেলা থেকেই ভিড়ভাট্টা থেকে শত হাত দূরে। এক জায়গায় অনেক মাথা! দেখলেই যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। ফলে, প্যান্ডেল হপিংয়ে আমি নেই। গত বারের লিস্টে ছিল মাত্র দুটো ঠাকুর। বালিগঞ্জ পার্ক আর একডালিয়া এভারগ্রিন। এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতে ঘুরে ঠাকুর দেখার কথা মাথাতেই আনছি না। পরিস্থিতি সহায় থাকলে ইচ্ছে আছে কোনও একটি বৃদ্ধাবাসে যাওয়ার। সারা বছর যাঁরা একা থাকেন তাঁদের একটু সঙ্গ দেব।
বাকি শপিং। অতিমারি রুখতে অনলাইন শপিং ইন। সবাইকে বলব, সুরক্ষিত থাকতে এ বছর আর উইন্ডো শপিং না-ই করলেন। আমার যদিও সারা বছরই কেনাকাটা চলতে থাকে। আলাদা করে প্রতি বছর না কিনলেও চলে। এ বছরেও হয়তো তেমনটাই হবে। হয়তো বন্ধুদের জন্য কিছু কিনব। ওদের প্রতি বছরেই পুজোর উপহার দিই। আমার পছন্দ করে দেওয়া পোশাক। পুজোয় ওরা যখন পরে মন ভাল হয়ে যায়। যদিও আমি উপহার পেতে বেশি ভালবাসি।
আরও পড়ুন: ধুতি সামলাতে পারিনা, তবে এ বার পুজোয় ট্রাই করতে পারি
পুজোয় বিরিয়ানি খাব না! হতেই পারে না। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
বাঙালি ছেলেদের কাছে অষ্টমীর সকাল ধুতি-পাঞ্জাবির দিন। এখনও। আমি ধুতি একেবারেই সামলাতে পারি না। তাই আমার তালিকায় পাঞ্জাবি মাস্ট। শুধু ধুতির বদলে জায়গা করে নেয় পাজামা বা চোস্ত। যদিও পুজোর ফটোশুটে অনেকেই আমায় ধুতি পরতে দেখেছেন। ওটা শুধুই ছবি তোলার উপলক্ষে। কালার প্যালেটে আর কোনও রং থাকুক না থাকুক লাল, সাদা, কালো থাকবেই।
পুজো এলে নাকি প্রেমও আসে? এখানেও আমার দুর্ভাগ্য! প্রেমের বয়সে বোর্ডিং স্কুলে, নৈনিতালে! ছুটি পেতাম দেওয়ালিতে, গরমে, শীতে। ফলে, অষ্টমীর সকালে পুষ্পাঞ্জলির ফুল দেওয়ার ফাঁকে আড় চোখাচোখি বা ডেটিং— কোনওটাই হল না। বড় হয়ে কলকাতায় চলে আসার পর থেকে আবাসনের পুজোয় অংশ নিই।
আরও পড়ুন: অনলাইনে নয়, পুজোর উপহারের জামাকাপড় নিজের হাতেই কিনব
দশমী এলেই মনখারাপ। ছুটি শেষ। নিজের মতো করে সময় কাটানোও শেষ। গত বছর দশমীর সকালে বালিগঞ্জ পার্কের দুর্গাবাড়িতে ছিলাম। দুর্দান্ত নাচতে পারি না। ঢাকের তালে বিজয়ার নাচ দূর থেকে দেখতে ভালবাসি। সবাই নাচছিলেন। দু’চোখ ভরে দেখছিলাম।
আর একটি জিনিস না হলে আমার পুজো অসম্পূর্ণ। সেটা বিরিয়ানি। পুজোয় বিরিয়ানি খাব না! হতেই পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy