Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Durga Puja 2020

ধুতি সামলাতে পারি না, তবে এ বার পুজোয় ট্রাই করতে পারি

পুজোয় কলকাতা দাপিয়ে বেড়াতাম যখন ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভে পড়তাম। কো-এড স্কুলে পড়তাম। বন্ধুবান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাড়ি বুক করে সারা রাতের হুল্লোড়!

'নিউ নর্মালের বাড়তি ফ্যাশন, ডিজাইনার অভিষেক রায়ের ডিজাইনার মাস্ক!' বললেন ক্রুশল আহুজা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।

'নিউ নর্মালের বাড়তি ফ্যাশন, ডিজাইনার অভিষেক রায়ের ডিজাইনার মাস্ক!' বললেন ক্রুশল আহুজা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া।

ক্রুশল আহুজা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:০০
Share: Save:

অনেকেই জানতে চান, সিন্ধি পরিবারের ছেলের কেমন লাগে বাঙালির দুর্গাপুজো? তাঁদের বলি, আমি জন্মসূত্রে অবাঙালি হলেও কলকাতায় থেকে ৯৯ শতাংশ বাঙালি। শারদীয়া তাই আমারও উৎসব। হয়তো বাড়িতে পুজো হয় না, কিন্তু ছোটবেলায় বন্ধুদের বাড়ির পুজোয় যেতাম। অঞ্জলি দিয়েছি। ভোগও খেয়েছি। মা-বাবার বাঙালি বন্ধুদের বাড়িতেও আমাদের অবারিত দ্বার। অনেক নিয়মকানুনও কিন্তু জানি দুর্গাপুজোর।

পুজোয় কলকাতা দাপিয়ে বেড়াতাম যখন ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভে পড়তাম। কো-এড স্কুলে পড়তাম। বন্ধুবান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাড়ি বুক করে সারা রাতের হুল্লোড়! রোজ ১৪-১৫টা করে ঠাকুর দেখা চাই-ই। ম্যাডক্স স্কোয়ারে আড্ডা, সুন্দরী দেখলেই তাকানো, চলতই। পুজোর চারটে দিন সবাই ওখানে ম্যাডলি বাঙালি! প্রেম গেলেই ফিরতি প্রেম চলে আসে। যদিও আমার কোনও কানেকশনই তৈরি হয়নি! এই হইচই এখনও আছে। ক্লাবের পুজো দেখতে যাই। শুধু তার মধ্যে থেকেও নিজের জন্য একটু সময় বের করে নিই। তখন নেটফ্লিক্স দেখি। প্রচুর ল্যাদ খাব। সারা বছর যা যা এনজয় করতে পারি না, নিংড়ে নিয়ে উপভোগ করব। সঙ্গে ইচ্ছে আছে হিমাচলে বেড়াতে যাওয়ার। জানি না, হবে কি না। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব। পাহাড় আমায় ভীষণ টানে। কুয়াশার চাদরে সবটাই যেন আবছা, রহস্যে মোড়া। ছুতো খুঁজি গম্ভীর পরিবেশের মধ্যে নিজেকে একাকার করে দেওয়ার।

কাজের দুনিয়ায় পা রাখার পরে অবসর কমেছে। তাই বাড়ির লোকেদের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরিমাণও কমেছে। এই ফাঁক ভরতে গত বছরেও চারটে দিনের দুটো দিন মা-বাবার জন্য তোলা ছিল। দুটো দিন বন্ধুদের সঙ্গে। রাত করে ঠাকুর দেখেছি হাতে গোনা দুটো-চারটে। এ বছর সেটাও হবে কি না বুঝতে পারছি না।

আরও পড়ুন: যতই অতিমারি আসুক, অষ্টমীর সকালের জন্য দুর্দান্ত শাড়ি দেবেই মা

ম্যাডক্স স্কোয়ারে সুন্দরী দেখলেই তাকানো চলতই।

ঠাকুর দেখা কমলেও শপিং কিন্তু বন্ধ থাকবে না। জানি মা, বাবা, বন্ধুদের কী ভাল লাগে। সেইগুলো কিনব অনলাইনে। এ বার আর দোকানে গিয়ে নয়। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর এটুকুই পার্থক্য। কাছের মানুষদের জামাকাপড় দিই। কয়েক জনকে হয়তো জুতো বা পারফিউমও দিতে পারি। এ বছর ঠিক করেছি, ইউনিটের যাঁরা খুব কাছের তাঁদেরও কিছু উপহার দেব। কী দেব? সেটা ঠিক হয়নি যদিও। রইলাম বাকি আমি। নিজের কেনাকাটাতেও কোনও ফাঁকি দেব না। সারা বছরের পরেও পুজোর এই চারটে দিন নিজেকে মনের মতো করে উপহার দিই। নিউ নর্মালের বাড়তি ফ্যাশন, ডিজাইনার অভিষেক রায়ের ডিজাইনার মাস্ক!

আরও পড়ুন: বাবার জন্যই পুজোয় প্রেমটা হল না : সন্দীপ্তা


এ বার প্রশ্ন, কোন দিন কী পরব? সে রকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ধুতি সামলাতে পারি না বলে ওটা কোনও কালেই ট্রাই করি না চট করে। তবে এ বছর চেষ্টা করে দেখতেই পারি। এ বার খানাপিনার কথায় আসি? ‘কর্ণ সেন’-এর কিন্তু এ ব্যাপারেও কোনও কম্প্রোমাইজ নেই। চিকেন, মাটন বিরিয়ানি যেমন চাই, তেমনই খিচুড়ি, বেগুনভাজা, আলুর চোখাও ছাড়ি না! আচ্ছা, এ সব সারা বছর পেতে হলে কি বাঙালি মেয়ে বিয়ে করা উচিত?

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy