সোহিনী গুহ রায়
পুজো বলতে আমার সব সময় মনে হয় যে সেজেগুজে কারও বাড়িতে গিয়ে আড্ডা মারব এবং পুজো প্যান্ডেলে অঞ্জলি দিতে যাব। অঞ্জলি তো সবার আগে। মায়ের অঞ্জলি তো যে ভাবেই হোক আমাকে দিতেই হবে। আর অঞ্জলি দিতে গেলে শাড়িও পরতেই হবে। আমার কাছে পুজো মানেই আসলে অঞ্জলি আর দারুণ দারুণ খাওয়াদাওয়া।
মহালয়ার দিন থেকে আমার আবার একটা পুজো পুজো গন্ধ পাওয়ার ব্যাপার থাকে। সেটা পুজো শেষ না হওয়া অবধি চলে। আমি কলকাতার মেয়ে নই। নর্থ বেঙ্গলের মেয়ে। আমার বাড়ি কোচবিহার। খুব ছোট একটা শহর। ওখানে পুজোর সময় প্যান্ডেলে গিয়ে বসে থাকতাম, গান শুনতাম, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। পুজো প্যান্ডেলে তখনকার হিন্দি সিনেমার গান বাজত। ছোটবেলায় পুজোতে আর দেওয়ালিতে খুব নাচের অনুষ্ঠান করতাম। এখন সেটা করতে পারি না। এগুলো খুব মিস করি।
পুজোয় কলকাতা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না। কারণ মাত্র চার দিন ছুটি থাকতে পারে। তার পর ‘ময়ূরপঙ্ক্ষী’ সিরিয়ালের শুটিং স্টার্ট হয়ে যাবে। এই ক’দিন কলকাতার বাইরে থাকলে শহরের পুজো মিস হয়ে যাবে। যদিও প্যান্ডেল হপিং করা পছন্দ করি না। তবু পুজোর সময় কলকাতার বাইরে থাকতে পছন্দ করি না। যদিও আমি খুব একটা ঘোরাঘুরি করি না। কিন্তু কিছু আত্মীয়দের বাড়ি পুজো হয়। সেখানে যাই।
আরও পড়ুন:কাটোয়ার বাড়িতে দু’দিন কাজহীন পুজো কাটাব: শ্রুতি দাস
ফোটোসেশনের মাঝে সোহিনী
ওই ক’দিন আমি দেশীয় পোশাকই পরব। এমনিতে শুটিং ছাড়া ইন্ডিয়ান জামাকাপড় খুব একটা পরা হয় না। শাড়ি, সালওয়ার কামিজ এসব পরব। আর ফুলটুল দিয়ে সাজাও হয় না। সারাটা বছর যেটা করা হয় না, সে ভাবেই সাজব। ফুল আমার ভীষণ ভাল লাগে। তবে রোজ ফুল দিয়ে সাজব তা নয়। অঞ্জলি দেওয়ার সময় বা নবমীর রাতে ফুল দিয়ে সাজব। সাদা রঙের কোনও ফুল খোঁপায় দেব। আমার আবার সাদার উপর শাড়ি ভীষণ ভাল লাগে। হ্যান্ডলুম যেগুলো হয়, হোয়াইট-ব্ল্যাক। অনেকে হয়তো পছন্দ করেন না। অনেকে আমাকে বলে, ‘বয়স্ক লাগছে’। কিন্তু এ রকম শাড়ি আমার খুব পছন্দের।
আমরা শুটিং করতে এতটাই ব্যস্ত এখন যে এখনও শপিং করার সময় পাইনি। কিন্তু আশা করছি পুজোর আগে হয়ে যাবে। পুজোর ক’টা দিন বাড়ির রান্নাই খাব। অতএব মায়ের রান্নাই ভরসা। সারা বছর আমরা একটু স্বাস্থ্যকর খাওয়া পছন্দ করি। কিন্তু পুজোর ক’টা দিন মা নানা রকম পদ বানাবে। সকালবেলা লুচি, আলুর দম। দুপুরে স্পাইসি রান্না; মাছ-ভাত আরও কত কী! তাই পুজোয় নো ডায়েট।
আরও পড়ুন :গভীর রাতে আম্মার সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং… কী হত জানেন? জানালেন রাইমা
পুজোর আড্ডা বলতে এক দিন এক পরিচালক মনোজিৎ মজুমদারের বাড়ি যাব। তাঁর বাড়িতে পুজো হয়। সেখানে আমরা সবাই মিলে আড্ডা দেব। প্রত্যেক বছরই আমি যাই ওখানে। ইনি আমার প্রথম সিরিয়াল ‘রেশম ঝাঁপি’-র পরিচালক।
প্রেম বলতে আমার সত্যিই কিছু নেই। কিন্তু প্রচুর বন্ধু আছে। অবশ্য একটা রিউমারও আছে, অর্কজ্যোতিকে(পাল) নিয়ে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা বন্ধুই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy