Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Ananda Utsav 2019

প্রেমিকা আছে কি না? ‘বামাক্ষ্যাপা’ এ ব্যাপারে স্পিকটি নট: সব্যসাচী

প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো আমার ভীষণ পছন্দের।

পুজোর প্ল্যানিং জানালেন অভিনেতে সব্যসাচী চৌধুরী

পুজোর প্ল্যানিং জানালেন অভিনেতে সব্যসাচী চৌধুরী

সব্যসাচী চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:১১
Share: Save:

পুজোর একটা আলাদা গন্ধ আছে। গন্ধটা ছোটবেলায় খুব পেতাম। কিন্তু এখন সেটা খুব মিস করি। তবে আমার মনে হয় এখন পুজোটা বেশিই কমার্শিয়াল হয়ে গিয়েছে। এটা আগে একদমই ছিল না। তখন পুজো আসছে মানেই এক মাস আগে থেকে প্যান্ডেল তৈরি শুরু হচ্ছে। ওই সময় আলাদা একটা গন্ধ ছিল। লক্ষ্মী পুজো অবধি সেই গন্ধটা বুঝতে পারতাম।

আমার বাড়ি বেলুড় মঠে। বেলুড় মঠের পুজো খুব পপুলার। অনেক জায়গা থেকে ঠাকুর দেখতে লোকজন আসেন। স্পেশালি অষ্টমীর দিন কুমারী পুজো দেখতে খুব ভিড় হয়। আমার বড় হওয়া, স্কুল সবটাই বেলুড় মঠে। পাড়ার পুজো, সেখানে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, ঘোরা, বাবার সঙ্গে আগে ঠাকুর দেখা, তার পর বন্ধুদের সঙ্গে, এটা পুরো রুটিনের মতো ছিল। বেলুড় মঠকেই আজও খুব কমফর্টেবল মনে করি। ছোটবেলাতেও কলকাতায় রাতের বেলা পুজো দেখতে আসা, ঘোরা সেগুলো তো ছিলই।

আমি এক বার পুজোর সময় এক জনের গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে বহু বছর ধরে বনেদি পুজো হয়ে আসছে। সেইটার একটা আলাদা স্মৃতি আমার কাছে রয়েছে। কারণ মাঠ জুড়ে কাশফুল, তার মধ্যে ঢাক বাজছে এটা কলকাতায় পাওয়া যাবে না। এটা এখানকার লোকেরা সিনেমাতে দেখে। আমার মনে হয়েছিল ওই পুজোটায় আলাদা একটা ভক্তি আছে। যেটা কিনা কলকাতায় ট্রাফিকের ভিড়ে, জ্যামের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন:পুজোতে খুব আশা করি নতুন প্রেম হবে: ঊষসী​

আমি ছোটবেলা থেকেই শপিংয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলাম না। আমার কাছে প্রধান আগ্রহ ছিল ঠাকুর দেখা। দু’বছর আগে অবধিও বন্ধুদের সঙ্গে প্রচণ্ড প্যান্ডেল হপিং করেছি। কোথায় কী রকম পুজো হয়েছে, কী প্যান্ডেল হয়েছে সব দেখতাম। আগে বাবা-মার সঙ্গে যেতাম। পরবর্তী কালে বন্ধুদের সঙ্গে। প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানো আমার ভীষণ পছন্দের।

প্রেমিকা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সব্যসাচী

এখনও আমি খুব পুজোসংখ্যা পড়ি। ছোটবেলায় ‘আনন্দমেলা’ বেরলেই আগে আমার বাড়িতে আসত।এ বছরও বাবা সেটা কিনেছে। দু’মাস আগেই। এখন আগে আগে বেরিয়ে যায়। আগে পুজোর সময় বেরত। আমি প্রচণ্ড বই পড়ি। তার মধ্যে আনন্দমেলা আমার ফেভারিট। আমার মনে আছে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধায় সবাই লিখতেন। এ ছাড়া পুজো সংখ্যা বলতে ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’, ‘পত্রিকা’ পড়ি। আগে ‘নবকল্লোল’-ও পড়তাম। আমার বাবা অবশ্য সব ক’টা পুজোসংখ্যা পড়েন।

পুজোর গান বলতে আমার মুখস্থ হয়ে গিয়েছে, আমাদের পাড়াতে প্যান্ডেলে যে যে গানগুলো বাজে, আমি ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে গেলাম কিন্তু ওই গানগুলোই বাজানো হয় আজও। তো এখন এমন হয়ে গেছে যে পাড়ায় এমনিই কেউ ওই গানগুলো বাজালে আমার পুজোর কথাই মনে পড়ে যায়। দেবব্রত বিশ্বাস, হেমন্ত মানে পুরনো দিনের গান সব। পুজোর ক’টা দিন গানগুলো এত বার রিপিট হতে থাকে যে গানগুলো মনের মধ্যে বসে গিয়েছে। বেলুড় মঠে বা আমাদের পাড়ার প্যান্ডেলে এখনও এ সব গানই বাজে।

পুজোয় মেয়ে দেখা একটা বয়স অবধি ছিল। এখন সেই বয়সটা পেরিয়ে গিয়েছে। একটা বয়স অবধি সবারই এটা থাকে। আমারও ছিল। যদিও প্রেমিকা আছে কি না সে বিষয়ে আমি কোনও কথাই বলতে চাই না।

আমি খুব সিম্পল মানুষ। সাজুগুজু খুব একটা করি না। ইনফ্যাক্ট মা আমাকে জোর করে পাঞ্জাবি টাঞ্জাবি পরায়, কিনতে বলে। এ বছরও বলেছে। মায়ের জোরাজুরিতে সে সব কিনতেও হয়।

আরও পড়ুন:‘ময়ূরপঙ্ক্ষী’-র শুটিংয়ে এতই ব্যস্ত যে শপিং হয়নি এখনও: সোহিনী​

বামাক্ষ্যাপার ভূমিকায় সব্যসাচী

প্রত্যেক বছর পুজোয় কলকাতায় থাকতেই পছন্দ করি। কলকাতার মতো আর কোথাও তো পুজো হয় না। কিন্তু এ বছর আমার ভুটান যাওয়ার প্ল্যান আছে। আমি সাধারণত একাই ট্রাভেল করি, মোটর সাইকেল ট্রিপ করি। আমার একটা হার্লে ডেভিডসন স্ট্রিট ৭৫০ বাইক আছে। গত এপ্রিলে আমি লাভা গিয়েছিলাম। কিন্তু এ বার ভুটান। আপাতত আমার এটাই প্ল্যান। কিন্তু সবটাই নির্ভর করছে শুটিং কত দিন বন্ধ থাকছে তার উপর। কলকাতার পুজো তো ডেফিনেটলি মিস করবই। তবুও এ বার ভাবলাম একটু ঘুরেই আসি।

বেড়াতে যাওয়ার আগে রুট ম্যাপিং করে নিই। কোথায় থাকব অনলাইনে বুক করে নিই। আমি যখন যেখানে যাই পুরোটাই নিজে নিজে প্ল্যান করি। আমি অ্যাডভেঞ্চার আর একা ঘুরতেই বেশি পছন্দ করি। নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করতে ভালবাসি। এখান থেকে শিলিগুড়ি, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং, কালিম্পং, লাভা, লাটাগুড়ি সব আমি একাই বাইকে করে ঘুরেছি। অনেক সময় এমনও হয়েছে যে থাকার জন্য ঠিকঠাক জায়গা পাচ্ছি না। এমনও হয়েছে খুব ছোট একটা জায়গায় কারও সঙ্গে আলাপ হয়েছে। সেখানেই থেকে গিয়েছি। ওখানকার মানুষের সঙ্গেই খাবার খেয়েছি। এই সবই মানিয়েগুছিয়ে নেওয়ার উপর নির্ভর করে। এ সব সময় আমি অন্য কিছু মাথায় রাখি না। আমার কাছে এমন করে ভ্রমণ করাই খুব আনন্দের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy