ছুটির মেজাজে সৌরভ। -নিজস্ব চিত্র
পুজোর আর বাকি কয়েকটা দিন। কাশফুল জানান দিচ্ছে, পুজো এসে গিয়েছে। কিন্তু এবারের পুজোয় আমি কলকাতার বাইরে। একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং-এর লোকেশন দেখতে উত্তরবঙ্গ যাব। সেখান থেকে ভুটান যাওয়ার প্ল্যানিং রয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই পুজো মানে আমার কাছে ছিল ঠাকুর দেখা, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুন্দরী মেয়েও দেখা। তার সঙ্গে খাওয়া দাওয়া তো মাস্ট। আমি মফস্সলে বেড়ে উঠেছি। আমার পুরনো পাড়া বেলঘরিয়া। একদম ছোটবেলায় পুজোর সময় কলকাতা আসা হত না খুব একটা। পরে কলেজে পড়ার সময় যখন কলকাতা আসা শুরু করেছি সে এক আলাদাই মজার ব্যাপার।
এক সময় চুটিয়ে থিয়েটার করতাম। ওই সময়ের পুজোটা আমার সবচেয়ে ভাল কেটেছে। পুজোর আগে রিহার্সাল চলছে, কিন্তু পুজোর প্ল্যানিং-এর জন্য কিছুই মাথায় ঢুকছে না। সাত জন বন্ধুর সাত রকমের প্ল্যানিং শুনতে শুনতেই ষষ্ঠী, সপ্তমী কেটে যেত। আর তখন গ্রাস করত একরাশ হতাশা। দেখা যেত, যা যা প্ল্যান করেছিলাম তার কড়ি শতাংশ করে উঠতে পারিনি। সেই সময়টা খুব মিস করি।
প্রকৃতির কোলে সৌরভ
আরও পড়ুন: মহালয়ার ইছামতী, শিউলি ফুল খুব মিস করি: মনামি ঘোষ
তবে সত্যি কথা বলতে কি, সেই ছোটবেলার মতো পুজো নিয়ে উত্তেজনাটা কোথাও গিয়ে অল্প হলেও ভাটা পড়েছে। আমার মনে হয়, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝি এমনটা হয়েই থাকে। তবে কপালে টিপ পরা, চোখে বেশি করে কাজল দেওয়া মেয়ে তাকিয়ে থাকলে সৌরভ আগেও একটু ক্যাবলা হয়ে যেত, এখনও হয়ে যায়। আর কাছের বন্ধুগুলো এখন যে যার কাজে ব্যস্ত। আগে যারা একসঙ্গে বাঁচতাম, তাঁরাই এখন পুজোর সময়টুকু দেখা করি। হ্যাঁ, তবে এখনও পর্যন্ত কিন্তু আমি পুজোর কেনাকাটা কিন্তু খুব রিলিজিয়াসলি করি। মাকে নিয়েও শপিং-এ যাই।
ও একটা কথা বলা হয়নি, সবাই বলে পুজোর সময় নাকি প্রেম ফ্রেম হয়। আমার মনে হয় কালসর্প যোগ ছিল। ঠিক পুজোর আগেই প্রেমগুলো কেটে যেত। আর আমাকেও পুজোর সময় খালি হাতে ঘুরতে হত। যাই হোক, পুজো আসছে। সবাই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করবেন। ঠাকুর দেখবেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy