গৌরব চট্টোপাধ্যায়
পুজোর কলকাতা। সারা রাত জেগে থাকা একটা শহর। আলো আর শব্দের বন্যায় ভাসতে থাকা একটা শহর। আলোয়, রঙে নিজেকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা একটা শহর। ভিড়ের গায়ে গা স্পর্শ করে চলমান একটা শহর। তবু অদ্ভুত ভাললাগা উপহার দেয় পুজোর কটা দিন।
এখনও পর্যন্ত পুজোর শপিং করা হয়নি। ফলে, কী পোশাক পরব এখনও জানি না। তবে নিলয় সেনগুপ্ত আর অভিষেক রায়ের ডিজাইন করা ধুতি-পাঞ্জাবি পরি। পুজোয় যে বছর কলকাতায় থাকি সে বছর ধুতি-পাঞ্জাবি পরতেই পছন্দ করি। অনেক সময় হয় কি, আমি পাঞ্জাবির সঙ্গে জিনস পরি আর লেদার শু। লোফার বা এই ধরনের লেদার শু, উইদাউট লেস। এগুলোও পরে থাকি। আমার আসলে জুতোর ব্যাপারটা অদ্ভুত। ধুতি-পাঞ্জাবির সঙ্গেও এই ধরনের জুতো পরি।
সাধারণত আমি নিজে গাড়ি ড্রাইভ করি। কিন্তু পুজোর সময় কলকাতার ট্রাফিকের যা অবস্থা হয়, ড্রাইভ করা প্রেফার করি না। তাই একটা জায়গায় সবার সঙ্গে বসে আড্ডা দেওয়া পছন্দ করব। স্কুলের বন্ধু, পরিবারের ভাইবোন, কাজের জায়গার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই আড্ডা হয়। বন্ধুবান্ধবদের আড্ডায় দেবলীনাও (কুমার) থাকবে। এমনিতে সারা বছর শুটিংয়ের পরে বা রবিবার কিছুক্ষণের জন্য ওর সঙ্গে দেখা হয়। তো ওই ক’দিন আলাদা করে না হলেও ওর সঙ্গেও আড্ডা হবে।
গৌরবের পুজো লুক
পুজোর সময় ভাইবোনেদের সঙ্গে ঘুরতে বেরনোর প্ল্যান হত আগে। বেরতামও। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ভাইবোনেরা বাইরে থাকে। আমার তুতো বোন কানাডায় সেটেল করে গিয়েছে। আমার আর এক ভাই ইউকে-তে সেটেলেড। কলকাতায় থাকা ভাইবোনেদের সংখ্যা কম এখন। কিন্তু যারা যারা আছে একদিন হয়তো সবাই মিলে কোথাও খেতে গেলাম বা একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটালাম। অষ্টমীর দিন আমাদের বাড়ির পাশে গিরিশ ভবন, মুখার্জি বাড়ি বলি আরকি, তো সেখানে জগদ্ধাত্রী পুজোয় দাদু (উত্তমকুমার) যাত্রা করতেন, আমিও করেছি। এখনও সেটা হয়। সেখানে আমাদের অষ্টমীর দিনটা কেটে যায়। ভাইবোন, ফ্যামিলির সবাই সেখানে থাকি। দাদুকে যেহেতু আমি দেখিনি তাই তাঁর স্মৃতি বলতে কিছুই নেই। উনি আমার কাছে শুধুই একজন আইডল।
পুজোর সময় সব রকমই খাই। কলকাতায় থাকলে একদিন বিরিয়ানি খাওয়া হবেই হবে। অষ্টমীর দিন নিরামিষ খেতে হয়, খিচুড়ি। বাকি দিনগুলো নিজেদের মতো... যখন যেটা ইচ্ছে খাই।
আরও পড়ুন-বন্ধুরাই আমার এ বারের পুজো মাতিয়ে রাখবে: মধুমিতা
পুজোর আমজে গৌরব
গত বছর বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেক করেছি। অন্নপূর্ণা সার্কিট গিয়েছিলাম, বেসক্যাম্প কমপ্লিট করেছি। নেপাল হয়ে ট্রেক করেছিলাম। এ বছর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান নেই। ট্রেকিংয়ের সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার আগামী বছর ট্রেক করার ইচ্ছে আছে।
পুজো শেষ হলেই আবার কাজে ফেরা। আবার ব্যস্ততা। পুজোর ক’টা দিন তাই নিশ্চিন্তে আড্ডা দিয়ে, ইচ্ছেমতো খেয়ে কাটিয়ে দিতে চাই।
আশা করব প্রত্যেকেই পুজোর ক’টা দিন ভাল কাটাবেন, সুস্থ থাকবেন, আনন্দে থাকবেন। প্রত্যেকের জন্য রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy