ছোট থেকে ভূতের নাম শুনলেই আমার আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড়! কাজেই আমার ঝুলিতে ভৌতিক অভিজ্ঞতা থাকবে না তা কী ভাবে হয়! গল্প শুরুর আগেই জানিয়ে দিই ভৌতিক বিষয়ে আমি বরাবরই অন্ধবিশ্বাসী। ভূতের ভয়ে এমন অনেক কর্মকাণ্ড করে থাকি যা হয় তো আপনি শুনলে হেসে লুটোপুটি খেতে বাধ্য। যাক গে, সেই সব বিষয়ে নিয়ে পরে আড্ডায় বসা যাবে। আগে ঘটনাটা বলি।
তখন আমি খুব ছোট। সম্ভবত পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। আমার একটা বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে আমার মামার বাড়িতে যদি আমি সকাল ৯টার আগে ঘুম থেকে না উঠতে পারি তা হলে আমার ঘরের আশেপাশে ভূতে হানা দেবে। সবটাই কিন্তু আমার নিজে থেকে বানানো ভাবনা। তবে অন্ধের মতো বিশ্বাস করতাম বলে কি না জানি না আমি সত্যিই একদিন সাদা শাড়ি পরা একজনকে দেখতে পেয়েছিলাম। আমি ঘুমোতাম চার তলায়। আর ওই দিন নীচে বাড়ির সকলে চা খাচ্ছিলেন, গল্প করছিলেন। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা আমার অভ্যেস ছিল। একদিন ঘুম থেকে উঠেই মনে হল ছাদের দিকে কাউকে যেন দেখতে পেলাম। তার পর থেকে নাক-কান মুলেছিলাম যে আমি আর দেরি করে ঘুম থেকে উঠব না।
তবে কেবল ছোট বয়সেই নয়। এমন অনেক অভিজ্ঞতা আমার কর্মজীবনেও হয়েছে। ওই যে বললাম ভূতের নাম শুনলেই আমার অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ে। ‘লেডি চ্যাটার্জি’র শুটিং করছিলাম গিরিশ পার্কের একটা হাসপাতালে। আমি নাম নেব না কিন্তু এটা হলফ করে বলতে পারি সেখানে ভূত আছেই আছে! শোনা যায় সেই হাসপাতালেই নাকি দুর্ভাগ্যজনকভাবে অনেকগুলি শিশুর মৃত্যু হয়েছিল একসঙ্গে। ওই জায়গায় শুটিং করার অভিজ্ঞতা আমি ভুলব না। আমার সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিল। এমনকি এতটাই ভয় পেয়েছিলাম যে হাসপাতালের লিফ্ট বাদ দিয়ে শুটিং ফ্লোরের সমস্ত কলাকুশলীদের সঙ্গে নিয়ে সিঁড়ি ভেঙে চার তলা থেকে ওঠানামা করেছি।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy