বিক্রম ও তাঁর বোনের ভাইফোঁটা
পাঁচ বছরের ছোট বোন। বড় আদরের। বোনের কখন কী প্রয়োজন, তা উচ্চারণ করার আগেই মিটে যায় চাহিদা। কেবল আপন বোন নয়, তুতো ভাই-বোনদের ঘিরেই নায়কের জীবন। সবার থেকে বয়সে বড় হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি ভাই-বোনদের আগলে রাখার দায়িত্ব পালন করতে হয় টলিউড তারকা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের। নিজে আর ছোটটি হয়ে থাকতে পারেননি বেশি দিন। কিন্তু তা নিয়ে আক্ষেপ নেই বিক্রমের। বরং ভাই-বোনদের যত্ন করাটাই এখন তাঁর পছন্দের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর তার প্রমাণ মেলে রাখি বা ভাইফোঁটার মতো উৎসবের দিনগুলিতে। প্রতি বারের মতো এ বার রাখি উৎসব পালন করেননি বিক্রম। রাখির ঠিক ১০ দিন আগে কলকাতা শহরে ঘটে গিয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়ার নির্মম হত্যা। এর পরে কারওরই উৎসবে ফেরার ইচ্ছে হয়নি। তার পরে তিন মাস পেরিয়েছে। বুকে বিচারের দাবি রেখেই মানুষ ফিরছে স্বাভাবিক জীবনযাপনের ছন্দে। ব্যতিক্রম নন বিক্রম।
আজ, ৩ নভেম্বর, নিজের ফ্ল্যাটেই আয়োজন করলেন ভাইফোঁটার। তিন বোনকে নিয়ে হাসি-হুল্লোড়ে সুন্দর সময় কাটালেন সকলে মিলে।
আনন্দবাজার অনলাইনকে বিক্রম বললেন, “খুব সুন্দর একটা দুপুর কাটল আমাদের। বোন নিজের হাতে সব রান্না করেছিল। আমাদের ছোটবেলায় দু’জনেরই খুব পছন্দের পদ ছিল ভাতভাজা। বাঙালির ফ্রায়েড রাইস যাকে বলে। আর তার সঙ্গে চিলি-চিকেন। ওই দিয়ে দুপুরের খাবার সেরে সুন্দর করে কফি বানিয়ে খেতে খেতে আমাদের আড্ডা জমেছিল। আর শেষ পাতে আইসক্রিম।”
বোনকে এ বার কী উপহার দিলেন বিক্রম? সাধারণত, আগে থেকে উপহার কিনে রাখেন না অভিনেতা। যা যা বোনের প্রয়োজন, তার বাইরে অবাঞ্ছিত জিনিস কিনে টাকা নষ্ট করাকে অপছন্দই করেন তিনি এবং তাঁর বোন। তাই পারিবারিক এই নিয়ম মেনে ফোঁটার দিনেই বোনের জন্য উপহার কিনেছেন।
বিক্রমের কথায়, ‘‘বোনের এ বার হেডফোন দরকার ছিল। ওর আগেরটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই এ বার ওটাই ওর উপহার।’’ কিন্তু বিক্রম কী পেলেন বোনের থেকে? বিক্রমের কথায়, ‘‘বোন নিজের হাতে রান্না করেছে এত কিছু। এর পরে উপহার চাইলে আর একটা মারও বাইরে পড়বে না!’’
বিক্রমের কথায় জানা গেল, বাড়ির বড়রা আর ছোটরা দু’ভাবে এই উৎসব পালন করেন। অভিনেতার পুরনো বাড়িতে বড়দের ফোঁটার অনুষ্ঠান। আর ভাই-বোনেরা মিলে এই দিনটি উদযাপন করেন বিক্রমের ফ্ল্যাটে। যেহেতু দু’টি বাড়িই খুব কাছাকাছি, তাই বিকেলে অন্য বাড়িতে গিয়ে চারটি চারপেয়ে ছানার সঙ্গে খেলাধুলোও হয়েছে। সব শেষে বড় দাদার মতো তিন বোনকে পরপর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে কাজে বেরোলেন বিক্রম।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy