US on Syria War

আসাদ দেশ ছাড়তেই সিরিয়ায় আমেরিকার হানা! আইসিস ঘাঁটি লক্ষ্য করে পর পর গোলাবর্ষণ

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পরপরই হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। সেখানকার আইসিস জঙ্গিঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে রবিবারই। হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন এই হামলার নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৬
Share:

(বাঁ দিকে) সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সিরিয়া ছেড়েছেন। রাজধানী দামাস্কাস এখন বিদ্রোহীদের দখলে। এই সুযোগে সিরিয়ায় হামলা চালাল আমেরিকা। সেখানকার আইসিস ঘাঁটি লক্ষ্য করে রবিবার হামলা চালানো হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সিরিয়ায় অবস্থিত অন্তত ৭৫টি আইসিস ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করেছে তারা। এ নিয়ে রবিবার বিবৃতিও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

Advertisement

হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘‘আইসিস ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সিরিয়ার মসনদের যে কোনও শূন্যতাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। আমেরিকা সে সম্পর্কে অবহিত। আমেরিকা কখনওই তা হতে দেবে না।’’ আমেরিকার সেনাবাহিনী রবিবার তাঁর নির্দেশে সিরিয়ার অভ্যন্তরে আইসিস ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে, জানিয়েছেন বাইডেন। আকাশপথে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। আইসিস ঘাঁটিগুলিতে সেই বোমা পড়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে আমেরিকান বাহিনী। উল্লেখ্য, আইসিস গোষ্ঠীকে দমিয়ে রাখতে দক্ষিণ-পূর্ব সিরিয়ায় ৯০০ সেনাবাহিনী রেখেছে আমেরিকা। তার মাধ্যমেই রবিবার হামলা চালানো হয়েছে।

আসাদের পতন প্রসঙ্গেও রবিবার হোয়াইট হাউস থেকে মন্তব্য করেছেন বাইডেন। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিনে ন্যায়বিচার হয়েছে। সিরিয়ার পীড়িত জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’’

Advertisement

অন্য দিকে, সিরিয়ায় সরকারহীনতার সুযোগ নিয়ে গোলান মালভূমি দখল করে নিয়েছে ইজ়রায়েল। ১৯৭৪ সালে ওই মালভূমি নিয়ে দুই পড়শি দেশের চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু রবিবার ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনিই ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্সকে (আইডিএফ) রবিবার গোলানের সিরিয়ার অংশে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও শত্রু শক্তিকে আমরা নিজেদের সীমান্তে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দেব না। সিরিয়ার সঙ্গে গোলান নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল, তা সেখানকার সরকার পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে গিয়েছে।’’

২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার কুর্সিতে ছিলেন আসাদ। তাঁর পরিবার ছয় দশক ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিল। ২০১১ সালে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়, যা বার বার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের সাক্ষী থেকেছে। লেবাননে ইজ়রায়েল এবং ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজ়বুল্লার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরেই গত ২৭ নভেম্বর সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)। ধীরে ধীরে তারা দামাস্কাসের দিকে অগ্রসর হয়। দখল করে নেয় একের পর এক শহর। রবিবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাজধানীতে ঢুকে পড়লে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আসাদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement