US China Conflict

‘চিনের সঙ্গে যুদ্ধ দু’বছরের মধ্যেই!’ আমেরিকার বায়ুসেনা জেনারেলের ‘মন কি বাত’ প্রকাশ্যে

আমেরিকার বায়ুসেনার এক জেনারেল চিঠি দিয়েছেন তাঁর ঊর্ধ্বতনকে। সেখানে তিনি লিখেছেন, তাঁর মনে হচ্ছে ২০২৫-এর মধ্যে চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে আমেরিকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:০৪
Share:

চিন-আমেরিকা যুদ্ধের সম্ভাবনা! গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চলাকালীনই বর্তমান বিশ্বের দুই প্রধান শক্তির মধ্যে যুদ্ধের ভ্রুকুটি। আমেরিকার বায়ুসেনার এক জেনারেল তাঁর নেতাদের জানিয়েছেন, তাঁর মন বলছে, আগামী দু’বছরের মধ্যে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে আমেরিকা। যদিও পেন্টাগনের তরফে এমন ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চার তারকা সম্পন্ন জেনারেল মাইক মিনিহানের ‘মন কি বাত’ নিয়ে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে বিশ্ব জুড়ে।

Advertisement

আমেরিকার বায়ুসেনার ‘এয়ার মবিলিটি কম্যান্ড’-এর প্রধান জেনারেল মাইক যে গোষ্ঠীতে কাজ করেন তার সদস্যসংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার। মাইক তারই শীর্ষনেতৃত্বকে লিখিত ভাবে (মেমো) যুদ্ধের আগাম আঁচ দিয়েছেন। চিঠিটিতে ১ ফেব্রুয়ারির তারিখ থাকলেও তা শুক্রবারই পাঠানো হয়।

আমেরিকার সামরিক বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলছেন, মাইকের ‘মন কি বাত’ পেন্টাগনের ভাবনার পরিপন্থী। কিন্তু আমেরিকার সেনার একেবারে শীর্ষস্তরে চিনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে যে কী পরিমাণ উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা বোঝা যায়। এই উদ্বেগের ভরকেন্দ্রে রয়েছে তাইওয়ান। আমেরিকার দাবি, চিন সেখানে বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণ কায়েমের চেষ্টায় রত। যা বাইডেনের প্রশাসনের কাছে দিনে দিনে চক্ষুশূল হয়ে উঠছে। মাইকের ‘মন কি বাত’-এও তারই সুর। মাইক মনে করছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪-এ যখন তাইওয়ান এবং আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র, উভয়েই প্রেসিডেন্ট ভোটে যাবে সেই সময় চিন তাইওয়ানের উপর সামরিক কার্যকলাপ শুরু করতে পারে। তাতেই যুদ্ধ বেধে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। কারণ, ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের অন্যতম উপাদান সেমি কন্ডাক্টর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমেরিকা তাইওয়ানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছুটছে। তাই তাইওয়ানে চিনের ‘আগ্রাসন’ আমেরিকার কাছেও বিপদসঙ্কেত স্বরূপ।

Advertisement

যদিও মাইকের এই মন্তব্যকে সত্যি বলে স্বীকার করেনি পেন্টাগন। আমেরিকার এক প্রতিরক্ষা আধিকারিক বলেন, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য চিন নিয়ে বিভাগের মনোভাব প্রদর্শন করে না।’’

ঘটনাচক্রে, তাইওয়ানে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম চিনের লক্ষ্য। সে জন্য প্রয়োজনের যে শি জিনপিংয়ের দেশ বলপ্রয়োগেও পিছপা হবে না, চলতি ঘটনাপ্রবাহ থেকেই তা স্পষ্ট। তেমন হলে আমেরিকাও যে পিছিয়ে যাবে না, এমনটাও মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু লড়াই যদি সত্যি বেধে যায়, তা হলে কী হবে? আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ভরকেন্দ্র হিসাবে রকেটগতিতে উঠে আসা চিনকে আটকে দেওয়া কি আমেরিকার পক্ষে আদৌ সম্ভব হবে? ঠিক তেমনই এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতির মেরুদণ্ড আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি টক্করে গিয়ে আখেরে কি লাভ হবে চিনের? প্রশ্ন অনেক, উত্তর লুকিয়ে কি উদ্বেগে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement