ইউরোপের আরওকিছু দেশ জানিয়েছে, সীমিতসংখ্যক হলেও তারা ট্যাঙ্ক পাঠাবে। সাধ্য মতো সাহায্য করবে ইউক্রেনকে। ফাইল চিত্র।
সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে না নামলেও ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের ভান্ডার খুলে দিয়েছে আমেরিকা-ইউরোপ। কয়েকশো কোটি ডলারের অস্ত্রের পাশাপাশি পশ্চিমের দেশগুলি একত্রে মোট ৩২১টি শক্তিশালী ট্যাঙ্ক দিচ্ছে ইউক্রেনকে। গত কাল একটি সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বাদিম ওমেলচেঙ্কো।
জার্মানি পাঠাচ্ছে লেপার্ড ২ ট্যাঙ্ক। আমেরিকা দিচ্ছে তাদের এম১ অ্যাবরামস ট্যাঙ্ক। ব্রিটেন ও পোল্যান্ড জানিয়ে দিয়েছে, তারাও ট্যাঙ্ক পাঠাবে। ইউরোপের আরওকিছু দেশ জানিয়েছে, সীমিতসংখ্যক হলেও তারা ট্যাঙ্ক পাঠাবে। সাধ্য মতো সাহায্য করবে ইউক্রেনকে। অনেকেরই বক্তব্য, এই ভাবে পশ্চিমের একজোট হওয়া ‘বদলে দিতেপারে খেলা’।
যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ বেন বেরির কথায়, ‘‘ইউক্রেনের হাতে একসঙ্গে এত ট্যাঙ্ক আসা যুদ্ধের গতি বদলে দেবে। আধুনিক সামরিক অস্ত্রের মধ্যে ট্যাঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। শত্রুদের দূরে সরানো, দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে।’’ তবে জয়ের কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না কেউই। কারণ ইতিহাসে ট্যাঙ্ক দিয়ে যুদ্ধজয়ের কোনও নজির নেই। তবে প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এর। ১৯৪০ সালে নাৎসি বাহিনীকে ঠেকাতে ব্রিটিশ ও ফরাসি বাহিনী ব্যবহার করেছিল ট্যাঙ্ক। কিন্তু ইউক্রেনের বক্তব্য, তারা শুধু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে চায় না। তারা দখল হওয়া জমি রাশিয়ার থেকে ছিনিয়ে নিতে চায়। ইউক্রেনকে রুশ দখলমুক্ত করতে চায়।
ইউক্রেনের ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রিটেন ১৪টি চ্যালেঞ্জার ট্যাঙ্কের পাশাপাশি সেল্ফ প্রোপেলড গান, সশস্ত্র যুদ্ধযান ও আরও অস্ত্র পাঠাচ্ছে। আমেরিকা, জার্মানিও অন্যান্য অস্ত্র সাহায্য করছে। পশ্চিমের এ ভাবে রুশ-বিরোধিতা নিয়ে আজ সরব হয়েছে উত্তর কোরিয়া। তারা বলেছে, ‘‘ওয়াশিংটন বিপদসীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে।’’ উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে আমেরিকার বিরোধিতা করবেন। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকা যে ভাবে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য পাঠিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে, তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’’ তিনি আরও জানান, পশ্চিমের দেশগুলির এ ধরনের কাজ করার অধিকার বা যৌক্তিকতাথাকতে পারে না।