হিজাব বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে এই মাসে এখনও পর্যন্ত চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ফাইল ছবি।
বছর পড়েছে মাত্র চার সপ্তাহ আগে। আর এই কয়েক দিনের মধ্যেই কমপক্ষে ৫৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ফেলেছে ইরানের প্রশাসন!
তাদের প্রকাশিত এক রিপোর্টে সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছে ইরানে কাজ করা নরওয়ের এক মানবাধিকার সংস্থা, ‘আইএইচআর’। তাদের দাবি, হিজাব বিতর্ক ঘিরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে জর্জরিত দেশের আম-জনতার মধ্যে আতঙ্ক উস্কে দিতেই এই পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। যদিও এই ৫৫ জনই যে হিজাব বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তা নয়। তবে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গেলে পরিণতি যে কতটা কঠোর হতে পারে তা প্রমাণ করতেই এই মৃত্যুদণ্ডের হার বাড়ানো হয়েছে বলে মত বিভিন্ন মহলের।
অন্য এক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে যে, হিজাব বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে এই মাসে এখনও পর্যন্ত চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে কনিষ্ঠতমের বয়স ১৮ বছর। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করারআগে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে এবং তার প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় ওই সংগঠন।
হিজাব প্রসঙ্গে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বর্তমানে ১০৭ জনের উপরে মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া ঝুলছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর। আইএইচআর-এর ডিরেক্টর মাহমুদ আমিরি মোঘাদ্দামের কথায়, ‘‘সরকারের তরফে কার্যকর করা সমস্ত মৃত্যুদণ্ডের পিছনেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।...মূলত মানুষের মনে ভয়ের উদ্রেক করতেই এই আয়োজন।’’ তাঁর আরও দাবি, আন্তর্জাতিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে তেমন কড়া প্রতিক্রিয়া না দেখা যাওয়ায়‘প্রশাসনের সাহস আরও বাড়ছে’।
চলতি মাসেই ৫৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে ২০২২ সালে মোট কতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তার মোট হিসাব এখনও প্রকাশ করা হয়নি কোথাও। তবে আইএইচআর-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের কাছে যা খবর, তাতে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ইরানে কম করে হলেও ৫০০ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হয়েছে।